চোখ উঠা,আমাদের দেশের জন্য খুবই পরিচিত।এ রোগটি অত্যন্ত ছোয়াছে।এমনকি মহামারী আকারেও দেখা দেতে পারে।
চোখে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমনের জন্য এ রোগ হয়।
লক্ষনঃ
#চোখ খচখচ করে।যন্ত্রনাও হতে পারে।
#চোখ লাল হয়ে রক্তবর্ণ হয়।
#চোখ দিয়ে পানি ঝড়তে থাকে।
#চোখ ফুলে যেতে পারে,আলো সহ্য করতে কস্ট হয়।
#চোখে পিচুটি জমা হয়।এবং তা খুবই দ্রুত।
চিকিৎসাঃ
১।চোখে ব্যাবহারের জন্য CHLORAMPHENICOL জাতীয় ঔষধ।
যেমন___DROP___opsophenicol,a-phenicol.
মাত্রা___দিনে ২/৩ ফোটা করে ৩/৪ বার চোখে ব্যবহার করতে হবে।
অথবা,
ড্রোপ ব্যবহারে ঝামেলা হলে মলম আকারে ব্যবহার করা যেতে পারে।
যেমন___OINT__a-phenicol,aristophen.
মাত্রা___দিনে ৩/৪ বার চোখে ব্যবহার করতে হবে।
২।চোখে ব্যাথা থাকলে PARACETAMOL যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB__napa-500mg,ace-500mg,fast-500mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে আহারের পর ৩ দিন সেব্য।
or SYP__napa,ace,fast
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২চা চামচ করে আহারের পর ৩ দিন সেব্য।
৩।চোখে চুলকানি থাকলে CETRIZINE HCL যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB__alatrol,citizin.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+0+১ করে আহারের পর ৫ দিন সেব্য।
or SYP__alatrol,citizin.
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২চা চামচ করে আহারের পর ৩ দিন সেব্য।
করনীয়ঃ
#চোখের পিচুটি বা পানি পরিস্কারের জন্য পরিস্কার কাপড় ব্যবহার করবে।
#যদিও ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন প্রতিষেধক তৈরী হয়নি, কিন্ত ভাইরাসের উপস্থিতিতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য ঔষধ ব্যবহার করা উচিৎ।
পথ্যঃ
#স্বাভাবিক সব রকম খাবারই খাবে।
# ঠান্ডা খাবার বা পানীয় পরিহার করা উচিৎ।
#বাইরে বের হলে বা রৌদ্রে গেলে চোখে রঙ্গিন চশমা ব্যবহার করতে হবে।
চোখ নিয়ে কোনপ্রকার গাফলতি নয়।আরোগ্য হতে সময় লাগলে,দেরী না করে নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে যাবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন