বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬

মলদ্বারে ফাটল/ভগন্দর/ফিস্টুলা (ANAL FISTULA)


               ফিস্টুলা বা ভগন্দর এক বিরক্তিকর রোগ।আমাদের দেশে হরহামেশায় এই রোগ হয়।রোগটি অনেকটাই স্বনিয়ন্ত্রিত।কেননা কোস্টকাঠিন্যের জন্য অনেকাংশে আমরা নিজেরায় দায়ী।আর এ রোগটির জন্য কোস্টকাঠিন্য বেশিরভাগ দায়ী।
আমাদের মলদ্বারের প্রাচীর খুবই পুরু ও শক্ত।অনেক সময় আমাদের  শক্ত পায়খানা হয়,আবার খাদ্যের সাথে খাওয়া হাড়ের কুচি,ও মাছের কাটা পায়খানার সাথে বের হবার সময় মলদ্বারের প্রাচীরে চিড় ধরায় বা ঘর্ষণের জন্য মলদ্বারের প্রাচীর ছিলে যেয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।কেননা হাড় বা মাছের কাটা পাকস্থলীতে পরিপাক হয় না। এই ক্ষত আপনাআপনি সেরে যায়।
যদি কোন ভাবে এই ক্ষতে জীবানু দ্বারা ফোঁড়া বা ঘায়ের সৃষ্টি হয়ে ইনফেকশন হয়। পরে ক্ষতস্থান থেকে পুজ রক্ত নিচের দিকে নালিপথ তৈরী করে বাইরে বের হয়ে আসে।এই নালীপথের মুখ অত্যন্ত ছোট হয়।
মলদ্বারের এই ইনফেকশনই ফিস্টুলা বা বাংলায় ভগন্দর।
শরীরে তরলের ঘাটতি থেকে যে কোস্টকাঠিন্য হয়,তার থেকেই এই রোগের উৎপত্তি।
তাই কোস্টকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে পারলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়া অনেকটাই কমে যাবে।
এজন্য প্রচুর তরল খাবার বা পানি পান ও মল স্বাভাবিক রাখতে হবে।

লক্ষনঃ
           #মলদ্বারে ভার অনুভুত হয়।
          #মলত্যাগ করার পর ঐ স্থানে শুলায়।
          #মলত্যাগের বেগ আসলে,তীব্র তাড়না হয়।
          #আক্রান্ত স্থান ফুলে যায়,পায়খানার সাথে পুজ রক্ত বা তাজা রক্ত আসতে পারে।
          #আক্রান্ত স্থান ব্যাথা হওয়ায় বসতে অসুবিধা হয়,বা রোগি খুবই অসস্তি বোধ করে।
          #দিনের পর দিন ভুগতে হয়।
          #মলের বিষাক্ত জীবানু দ্বারা ক্ষতস্থান বার বার আক্রান্ত হয়।তাই আরোগ্য হতে বেশ সময় লাগে।

চিকিৎসাঃ
১।মল নরম রাখার জন্য LACTULOSE  জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___SOLU__avolac,acilac.
মাত্রা___প্রত্যহ ৩/৪ চা চামচ করে দিনে ২বার সেব্য।পুরোপুরি অরোগ্য না হওয়া পর্যন্ত।

২।ইনফেকশন দূর করার জন্য CEFIXIME জাতীয় ঔষধ খুবই ভালো কাজ করে।
যেমন___CAP__fix-a-200mg,cef-3-200mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ১৪ দিন সেব্য।

৩।উপরে বর্ণিত ঔষধের সাথে মলদ্বারের ভিতর ব্যাবহারের জন্য  CINCHOCAINE যুক্ত ঔষধ খুবই ভালো কাজ করে।
যেমন___OINT__ANUSTAT
মাত্রা___মলদ্বারের ভিতরে দিনে ২/৩ বার ব্যাবহার করবে।
*** সব থেকে ভালোহয়,মলত্যাগ করার পরপরই ব্যাবহার করলে।

৪।পেটের গ্যাস দূর করার জন্য ESOMEPRAZOL জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___CAP__maxima-20/40mg,esotid-20/40mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ৩০ দিন সেব্য।

৫।আক্রান্ত স্থানে বেশি ব্যাথা হলে DICLOFENAC SODIUM জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB__voltalin-sr-50/100mg,clofenac-sr-50/100mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ব্যাথা না যাওয়া পর্যন্ত।

পথ্য/করনীয়ঃ
                      #প্রচুর পানি ও নরম খাবার খাবে।
                      #নিয়মিত কোষ্ঠ পরিস্কার রাখতে হবে।
                     #মাংসের সাথে হাড় বা মাছের কাটা চিবলে,গেলা ঠীক হবে না।
                     #মল প্রতিনিয়ত নরম রাখবে।
                    #উষ্ণ গরম পানির ছেক দিলে ভালো আরাম পাবে।

*** একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা অস্ত্রোপাচার করালে পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করা যায়।

এ রোগের ঔষধ পুরোপুরি খেতে হয়,নইলে একবার সেরে যাবার পরও পুনরায় হবার সম্ভাবনা থাকে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ভিটামিন ই/VITAMIN E

প্রাথমিক ধারনাঃ ভিটামিন ই ট্যাবলেটে আছে সিনথেটিক ভিটামিন ই। এর সম্পূর্ণ কার্যকারিতা এখনও অজানা।তবে একথা প্রমানিত যে,ভিটামিন ই এন্টিঅক্সিড...