বুধবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

ধ্বজভঙ্গ বা পুরুষত্বহীনতা ( IMPOTENCY)


                         একটা নারী তার রক্তের সম্পর্ক,আপনজন ছেড়ে,এক ভিন্ন, অপরিচিত পুরুষের বাহু বন্ধনে আবদ্ধ হয়।তারপর ধীরেধীরে ভালোলাগা-ভালোবাসা,আর তারপর একে অন্যকে ছাড়া যেন অস্তিত্ব বিলীন।
এ কোন টান বা মায়া?
মহান সৃষ্টিকর্তার অন্যতম আশীর্বাদ হচ্ছে সেক্স। এই সেক্সকে মাধ্যম বানিয়ে সৃষ্টিকর্তা প্রানী জগতকে হাজার লক্ষ কোটি বছর ধরে টিকিয়ে রেখেছেন।
সৃষ্টিকর্তার সমস্ত সৃষ্টর মাঝে সেরা হল মানবজাতি।আর তিনি এই জাতি কুলের ধারা অব্যহত রেখেছেন,একজন নারী-পুরুষের মধ্যে সেক্স এর ফলস্বরূপ সন্তান জন্মদান করিয়ে।
আর এই সেক্স এর সক্ষমতাই পুরুষের মূল হাতিয়ার।আর এই ক্ষমতা না থাকলে,পুরুষকে সমাজে নানা অপমান অপদস্ত এর সাথে সাথে নিজের বংশ রক্ষা করাও যায় না।নিজেকেই বংশের শেষ মানতে বা ফুলস্টপ করতে হয়।

আমাদের দেশে ইম্পোটেন্স বা ধ্বজভঙ্গ রোগীর সংখ্যা কম নয়,যারা পুরুষত্বহীনতায় ভুগছেন।অথচ লজ্জায় নিজের চিকিৎসা করাতে পারছেন না।
আমি এই পুরুষত্বহীনতা নিয়েই আলোচনা করব...............

প্রতিটি পুরুষ তার দেহের হরমন এবং শুক্রক্ষয়জনিত কারনে যৌন উত্তেজনা অনুভব করে।এই উত্তেজনা নির্ভর করে সেক্স এর স্থায়িত্বের উপর।যেমন,কম বা বেশি।
সেক্স এর স্থায়িত্ব কম হলেই যে ইম্পোটেন্স বা ধ্বজভঙ্গ রোগ আছে,তা কিন্তু নয়।
আবার কারো লিঙ্গ ছোট হলেই যে ইম্পটেন্স হয়েছে,তাও না।
আসলে এই সেক্স বিষয়টা,অনেকটা মানসিক কারনের প্রভাবে হয়ে থাকে।
তাছাড়া লিঙ্গ ছোট কিংবা বড়,এটা নির্ভর করে বংশগত প্রভাবে।

যৌনতার প্রভাবে অনেক তরুন অল্প বয়স থেকেই হস্তমৈথুন করে থাকে,আসলে এটি একটি বিকৃত মানসিকতা ছাড়া আর কিছুই নয়।
অনেকে আবার,সংগদোষে কু জায়গা গিয়ে নানাবিধ যৌন রোগের শিকার হচ্ছে।

সঠিক পুস্টিকর খাবারের অভাব কিংবা মানসিক হতাশায় ভোগার কারনে পুরুষের লিঙ্গের উত্থান জনিত সমস্যা হয়।

সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এ রোগ সারানো যায়।যদি কেই জন্মগত ভাবে যৌনতায় অক্ষম হলে সারানো খুবই কস্টসাধ্য ব্যাপার।

লক্ষনঃ ধ্বজভঙ্গের লক্ষনকে তিন ভাগে ভাগ করে নিচে দেওয়া হল........................

#জন্মগত লক্ষনঃ-
                    *শিশুকাল থেকেই মেয়েলী ভাব দেখা দিতে পারে।
                    *যৌবনে পদার্পণের পরেও নারীসুলভ আচরন করে।
                    *শারিরীক দুর্বলতা ও হীনমন্যতায় ভোগে।
                    *মেয়েদের মত সাজগোজ ও অংগভঙ্গি করতে স্বাভাবিক বোধ করে।
                    *শরীরে নানাবিধ হরমনের ঘাটতি দেখা দেয়।
                    *বীর্য পাত হয় না,হলেও ১/২ ফোঁটা দেখা দেয়।
                    *যৌন উত্তেজনা থাকেনা বললেই চলে।

#মানসিক লক্ষনঃ
                   *হস্তমৈথুনের পরে রোগী অপরাধ বোধে ভুগতে থাকে,বার বার এমনটি হলে মানসিক                              হীনমন্যতার ফলে এমনটি হতে পারে।
                   *নারীর প্রতি ভয়ের  কারনে বা মনের দুর্বলতায় ধ্বজভঙ্গ হয়েছে,এমন ভাবনা দীর্ঘ দিন                            ধরে ভাবলে এমনটি হতে পারে।
                   *নারী সন্তুষ্টের ভিতী থেকেও এমনটি হয়।

#দৈহিক লক্ষনঃ
                   *বেশি বেশি হস্তমৈথুনের কারনে বেশি বীর্যপাতের জন্য এমনটি হতে পারে।
                   *কৃত্রিম বীর্যপাতে ক্ষয় হবার জন্য।
                   *পুস্টিকর খাদ্যের অভাবে শরীরের ক্ষয় পুরন না হলে শারীরিক অক্ষমতা হয়।
                   *জটিল বা যেকোন যৌন ব্যাধিতে ভুগলে এমনটি হবার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
                   *বেশি রাত্রী জাগা,নেশা পান,নানা রকম অনিয়মের জন্য উত্থান জনিত সমস্যা হয়,ফলে                         লিঙ্গ উত্থান মজবুত হয় না,আর এ অবস্থা দীর্ঘ দিন চলতে থাকলে ধ্বজভঙ্গ হয়।

চিকিৎসাঃ
১।শারীরিক দুর্বলতার জন্য CALCIUM  CARBONET জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন____TAB__a-cal-500mg,calbo-500mg.
মাত্রা____প্রত্যহ ০+০+১ করে ৬মাস খাবে।

২।শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য  ANTIOXIDENT  জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন____TAB__rex,antox,renbo.
মাত্রা____প্রত্যহ ০+০+১ করে ২মাস খাবে।

৩।দ্রুত বীর্যপাত রোধ বা মনের ভয় ভিতী দূর করার জন্য CLOMIPRAMINE HCL জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন____TAB__anafranil-25mg,timex-25mg.
মাত্রা____প্রত্যহ ০+০+১ করে ২মাস খাবে।তবে ধীরে ধীরে মাত্রা বাড়ানো যাবে।

৪।পেটে গ্যাস হলে ESOMEPRAZOL জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন____TAB__nexam-20/40mg,esotid-20/40mg.
মাত্রা____প্রত্যহ ১+০+১ করে ২মাস আহারের ২০মিনিট আগে খাবে।

৫।হরমনের ঘাটতি থাকলে TESTOSTERONE জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন____CAP__andriol,sastanon.
মাত্রা____প্রত্যহ ০+০+১ করে ১/২মাস খাবে।

৬।মানসিক উত্তেজনা,অস্থিরতা,বা দুশ্চিন্তা থাকলে NORTRIPTYLINE & FLUPENAZIN  জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন____TAB__norzin,moodon,norflu.
মাত্রা____প্রত্যহ ০+০+১ করে ১ মাস খাবে।

পথ্যঃ
         #বেশিবেশি পুস্টিকর খাবার খাবে।
         #প্রোটিন জাতীয় খাদ্য,মাছ,মাংস,দুধ,ডিম খাবে।
         #মানসিক ভাবে চাঙ্গা থাকবে।
         #যৌন চিন্তা মাথা থেকে দূরে রাখবে।
         #একাধীক নারীর সঙ্গ থেকে দূরে থাকবে।
         #কোন প্রকার যৌন রোগ হতে সতর্ক থাকতে হবে।

                  ***ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চললে এ সর্বনাশা রোগ থেকে দূরে থাকা যায়***

ধ্বজভঙ্গ কোন সাধারন রোগ নয়।এ রোগ থেকে মুক্তি পেতে একজন ভালো যৌন বিশেষজ্ঞের সরনাপন্ন হবে।তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা-নীরীক্ষার মাধ্যমে ঔষধ দিবেন।

মঙ্গলবার, ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৬

সৃতিশক্তি বাড়ানোর কার্যকারী উপায়


                   হাস/মুরগীর  ডিম খেলে বেশী পরিমানে সৃতিশক্তি বাড়ে।এটি খুবই স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।সকালের নাস্তায় যাদের নিয়মিত ডিম খাওয়ার অভ্যাস আছে,তারা স্বাভাবিক ভাবেই এই ফয়দাটুকু পায়।
উন্নতদেশ গুলো সকালের নাস্তায় থাকে ডিম,দুধ,পাউরুটু বা কমলালেবু।

দিনের প্রথম আহারে ডিম খাওয়া স্বাস্থ্য সম্মত ও শরীরের জন্য খুবই উপোকারী।

ডিমেরর কোলিন মস্তিস্ককে শানিত করে।এটি ভিটামিন বি জাতীয় একটি রাসায়নিক এবং অনেক সময় ভিটানিন বি কমপ্লেক্স এর অন্তর্ভুক্ত হিসাবে দেখান হয়।
তবে শুধুমাত্র ভিটামিন বি দিয়ে কোলিন এর ঘাটতি পুরোন করা যায় না।
কোলিন মস্তিস্ক সহ স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যক্রম পরিচালনা এবং সৃতিশক্তির বিকাশ লাভ ও এটি সতেজ রাখার জন্য অতি প্রয়োজনীয় উপাদান।
পর্যাপ্ত কোলিনের উপস্থিতিতে চিন্তাশক্তি প্রখর ও গতিশীল হয়।তাছাড়া স্নায়ুর পরিবহন,সৃতি ধরে রাখা ও কোন জিনিষ দেখে খুবই সহজেই চিনতে পারা যায়।

                           কোলিনে ভরপুর শিশুরা খুব সহজে পড়াশোনা মনে রাখতে বা মুখস্ত করতে পারে।এবং ওদের বৃদ্ধ বয়সেও মস্তিস্কের কার্যক্রম অনেকটা অপরিবর্তনীয় থাকে।ওদের সৃতিশক্তি খুব এরকটা ফিকে হয়ে যায় না।

                          গর্ভবতী মায়েদের ডীম,দুধ ও অন্যান্ন খাবারের মাধ্যমে প্রচুর কোলিন গ্রহন করা উচিত।তাতে গর্ভস্থ শিশুর মস্তিস্ক গঠন সুন্দর ও নিখুঁত হয়।এবং তাদের সৃতিশক্তি খুবই ধারালো আর তারা প্রত্যুৎপন্নমতি সম্পন্ন হয়ে থাকে।

                           শিশুর কোলিন গ্রহনের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হচ্ছে মায়ের বুকের দুধ খাওয়া।মায়ের বুকের দুধে কোলিনের পরিমান সবচেয়ে বেশি থাকে।

ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমান কোলিন থাকে।আর আমাদের দেশে ডিম খুবই সহজলভ্য হয়ায়,আমরা কোলিনের চাহিদা খুব ভালোভাবেই পুরন করতে পারি।

সুতরাং ডিমের মাধ্যমে মহামুল্যবান কোলিন খুব সহজেই পেতে পারি।
তাছাড়া কোলিনকে মেমোরী পিল বলা হয়।

                                                                       >>>> সংগ্রহ

গলা ব্যথা নিরাময়ে চা


                         শীত ঋতুতে গলা ব্যথা অনেকেরই সাধারন সমস্যা।এ সময় প্রায় প্রতিটি পরিবারের সদস্যরা ঠান্ডাজনিত গলা ব্যাথায় আক্রান্ত হয়।
গলা ব্যাথা সমস্যায় আক্রন্ত ব্যক্তিকে কয়েকদিনের জন্য দুর্ভোগ ও বিড়াম্বনা পোহাতে হয়।
গলা ব্যাথায় ঔষধের পাশাপাশি গরম চা খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
এটি বেশ কার্যকারী।
ঠান্ডাজনিত গলা ব্যাথার জন্য চা তৈরীর নিয়মাবলী অনুসরন করতে পারেন...............

প্রয়োজনীয় উপকরনঃ
             @   দুইটি লেবু গোল গোল টুকরো করে চার ভাগ করে নিন।
             @ এবার ২/৩ টুকরো আদা পয়সার মত পাতলা ও গোল করে কেটে নিন।
             @ পছন্দমত পরিমানে মধু নিন।

প্রস্তত প্রণালীঃ
                        ছোট কাচের কৌটা বা ঢাকনাআলা পাত্রে লেবু ও আদার টুকরো রাখুন।এবার মধু ঢালুন,যতক্ষন পর্যন্ত লেবু ও আদার টুকরো মধুতে পরোপুরি ডুবে না যায়।
এবার পাত্রের মুখ বন্ধ করে ফ্রিজের নরমাল ডেস্কে রেখে দিন।কয়েক ঘন্টা পর দেখবেন মধু জেলীর মত হয়ে গেছে।
এবার এক কাপ গরম পানিতে ১চা চামচ মিশিয়ে তা পান করুন।
এতে ঠান্ডা জনিত গলা ব্যথা থাকলে,তা দূর হবে।
তাছাড়া স্বরভাঙা থাকলেও,তা সেরে যাবে।
এভাবে তৈরী আদা,লেবু,মধুর মিক্সার ফ্রীজে ২/৩ মাস রাখতে পারবেন।
                       তাই পরিবারের সবাই মিলে  এ চা পান করুন এবং প্রাকৃতিক উপায়ে সুস্থ্য থাকুন।

                                                                                                       সূত্র>>স্বাস্থ্য ডেক্স।

সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

চোখ উঠা (CONJUNCTIVITIS


                 চোখ উঠা,আমাদের দেশের জন্য খুবই পরিচিত।এ রোগটি অত্যন্ত ছোয়াছে।এমনকি মহামারী আকারেও দেখা দেতে পারে।
চোখে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের আক্রমনের জন্য এ রোগ হয়।

লক্ষনঃ
            #চোখ খচখচ করে।যন্ত্রনাও হতে পারে।
            #চোখ লাল হয়ে রক্তবর্ণ হয়।
            #চোখ দিয়ে পানি ঝড়তে থাকে।
            #চোখ ফুলে যেতে পারে,আলো সহ্য করতে কস্ট হয়।
            #চোখে পিচুটি জমা হয়।এবং তা খুবই দ্রুত।

চিকিৎসাঃ
১।চোখে ব্যাবহারের জন্য CHLORAMPHENICOL  জাতীয় ঔষধ।
যেমন___DROP___opsophenicol,a-phenicol.
মাত্রা___দিনে ২/৩ ফোটা করে ৩/৪ বার চোখে ব্যবহার করতে হবে।
                 অথবা,
                     ড্রোপ ব্যবহারে ঝামেলা হলে মলম আকারে ব্যবহার করা যেতে পারে।
যেমন___OINT__a-phenicol,aristophen.
মাত্রা___দিনে ৩/৪ বার চোখে ব্যবহার করতে হবে।

২।চোখে ব্যাথা থাকলে  PARACETAMOL যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB__napa-500mg,ace-500mg,fast-500mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে আহারের পর ৩ দিন সেব্য।
                or      SYP__napa,ace,fast
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২চা চামচ করে আহারের পর ৩ দিন সেব্য।

৩।চোখে চুলকানি থাকলে  CETRIZINE HCL  যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB__alatrol,citizin.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+0+১ করে আহারের পর ৫ দিন সেব্য।
                 or      SYP__alatrol,citizin.
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২চা চামচ করে আহারের পর ৩ দিন সেব্য।

করনীয়ঃ
             #চোখের পিচুটি বা পানি পরিস্কারের জন্য পরিস্কার কাপড় ব্যবহার করবে।
            #যদিও ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে এমন প্রতিষেধক তৈরী হয়নি, কিন্ত ভাইরাসের উপস্থিতিতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য ঔষধ ব্যবহার করা উচিৎ।

পথ্যঃ
           #স্বাভাবিক সব রকম খাবারই খাবে।
           # ঠান্ডা খাবার বা পানীয় পরিহার করা উচিৎ।
          #বাইরে বের হলে বা রৌদ্রে গেলে চোখে রঙ্গিন চশমা ব্যবহার করতে হবে।

চোখ নিয়ে কোনপ্রকার গাফলতি নয়।আরোগ্য হতে সময় লাগলে,দেরী না করে নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে যাবে।

বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০১৬

গালে/মুখে ঘা (STOMATITS)


                   মুখে ঘা বা গালে ঘা হবার প্রধান কারন হল অপরিস্কার মুখ বা পেটের অসুখ কিংবা ভিটামিনের অভাব।
তাছাড়া সকল সময় গরম খাদ্য বা পানীয় গ্রহন করলে,মুখে ঘা হতে পারে।আমাদের দেশেও প্রচুর মুখে ঘা এর রোগী আছে।এটি প্রধানত শীত কালে বেশী হয়।
গালে/মুখে ঘা হবার জন্য অত্যাধিক ধুমপান করাও অন্যতম কারন।

লক্ষনঃ
           #যে কোন ঝাল বা মসলা যুক্ত খাবার খেলে মুখে ধরে।
          #জিহ্বার উপর,ঠোটের ভেতরের দিকে,ছিলে যাবার মত ঘা হয়।
          #খাদ্যের আসল স্বাদ পাওয়া যায় না।
          #জিহ্বা বা মুখের মধ্যে ব্যাথা হয়।এই ব্যাথা দাঁত বা মাড়িতে হতে পারে।
          #মুখ সব সময় ভেজা বা রসযুক্ত থাকে।

চিকিৎসাঃ
১।ভিটামিন রিবোফ্লাভিন এর ঘাটতির জন্য,মুখে ঘা বেশি হয়।তাই ঘাটতি মেটাতে RIBOFLAVIN যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB__riboson,riboflavin.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে ৫ দিন সেব্য।

২।সঙ্গে VITAMIN B COMPLEX যুক্ত ঔষধ খেলে উপকার হয়।
যেমন___TAB_v-plex,opsovit
            or       CAP_b-50 fort
             or         SYP_v-plex
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে ১৫ দিন সেব্য।

৩।যদি এলারজী থাকে CETIRIZINE HCL যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB_alatrol,cetizin.
                 or    SYP_alatrol,cetizin.
মাত্রা___প্রত্যহ 0+0+১ করে ৫ দিন সেব্য।
                অথবা ১/২ চা চামচ করে প্রত্যহ ১/২ বার ৫ দিন।

৪।গালে বা মুখে ব্যাথা থাকলে PARACETAMOL  যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB_napa-500mg,ace-500mg.
                   or    SYP_napa,ace.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+0+১ করে ব্যাথা না থাকা পর্যন্ত সেব্য।
                অথবা ১/২ চা চামচ করে প্রত্যহ ১/২ বার ১/২ দিন সেব্য।

৫।মুখের অভ্যন্তরে ইনফেকশন বা শরীরে  জ্বর থাকলে AZITHROMYCIN  যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB_zimax-250/500mg,azin-250/500mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ০+০+১ করে ৫ দিন।

পথ্যঃ
         #বেশি ঝাল বা মসলাযুক্ত খাবার পরিহার করবে।
         #খুব বেশি ঠান্ডা বা বেশি গরম খাবার খাবে না।
         #প্রতিদিন শাকসব্জী খাওয়া উচিৎ।
         #প্রত্যহ খাবার পর দাঁত ব্রাশ করবে।
         #মুখের অভ্যন্তর ও জিহ্বা পরিস্কার রাখা উচিৎ।

***ধুমপানের অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।

 গালে ঘা কে সাধারন ব্যধি ভাবলে ভুল করবে।কেননা তামাক বা ধুমপায়ীদের জন্য এটি খুব খারাপ হতে পারে।তাই দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাবে।

মলদ্বারে ফাটল/ভগন্দর/ফিস্টুলা (ANAL FISTULA)


               ফিস্টুলা বা ভগন্দর এক বিরক্তিকর রোগ।আমাদের দেশে হরহামেশায় এই রোগ হয়।রোগটি অনেকটাই স্বনিয়ন্ত্রিত।কেননা কোস্টকাঠিন্যের জন্য অনেকাংশে আমরা নিজেরায় দায়ী।আর এ রোগটির জন্য কোস্টকাঠিন্য বেশিরভাগ দায়ী।
আমাদের মলদ্বারের প্রাচীর খুবই পুরু ও শক্ত।অনেক সময় আমাদের  শক্ত পায়খানা হয়,আবার খাদ্যের সাথে খাওয়া হাড়ের কুচি,ও মাছের কাটা পায়খানার সাথে বের হবার সময় মলদ্বারের প্রাচীরে চিড় ধরায় বা ঘর্ষণের জন্য মলদ্বারের প্রাচীর ছিলে যেয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়।কেননা হাড় বা মাছের কাটা পাকস্থলীতে পরিপাক হয় না। এই ক্ষত আপনাআপনি সেরে যায়।
যদি কোন ভাবে এই ক্ষতে জীবানু দ্বারা ফোঁড়া বা ঘায়ের সৃষ্টি হয়ে ইনফেকশন হয়। পরে ক্ষতস্থান থেকে পুজ রক্ত নিচের দিকে নালিপথ তৈরী করে বাইরে বের হয়ে আসে।এই নালীপথের মুখ অত্যন্ত ছোট হয়।
মলদ্বারের এই ইনফেকশনই ফিস্টুলা বা বাংলায় ভগন্দর।
শরীরে তরলের ঘাটতি থেকে যে কোস্টকাঠিন্য হয়,তার থেকেই এই রোগের উৎপত্তি।
তাই কোস্টকাঠিন্য প্রতিরোধ করতে পারলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়া অনেকটাই কমে যাবে।
এজন্য প্রচুর তরল খাবার বা পানি পান ও মল স্বাভাবিক রাখতে হবে।

লক্ষনঃ
           #মলদ্বারে ভার অনুভুত হয়।
          #মলত্যাগ করার পর ঐ স্থানে শুলায়।
          #মলত্যাগের বেগ আসলে,তীব্র তাড়না হয়।
          #আক্রান্ত স্থান ফুলে যায়,পায়খানার সাথে পুজ রক্ত বা তাজা রক্ত আসতে পারে।
          #আক্রান্ত স্থান ব্যাথা হওয়ায় বসতে অসুবিধা হয়,বা রোগি খুবই অসস্তি বোধ করে।
          #দিনের পর দিন ভুগতে হয়।
          #মলের বিষাক্ত জীবানু দ্বারা ক্ষতস্থান বার বার আক্রান্ত হয়।তাই আরোগ্য হতে বেশ সময় লাগে।

চিকিৎসাঃ
১।মল নরম রাখার জন্য LACTULOSE  জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___SOLU__avolac,acilac.
মাত্রা___প্রত্যহ ৩/৪ চা চামচ করে দিনে ২বার সেব্য।পুরোপুরি অরোগ্য না হওয়া পর্যন্ত।

২।ইনফেকশন দূর করার জন্য CEFIXIME জাতীয় ঔষধ খুবই ভালো কাজ করে।
যেমন___CAP__fix-a-200mg,cef-3-200mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ১৪ দিন সেব্য।

৩।উপরে বর্ণিত ঔষধের সাথে মলদ্বারের ভিতর ব্যাবহারের জন্য  CINCHOCAINE যুক্ত ঔষধ খুবই ভালো কাজ করে।
যেমন___OINT__ANUSTAT
মাত্রা___মলদ্বারের ভিতরে দিনে ২/৩ বার ব্যাবহার করবে।
*** সব থেকে ভালোহয়,মলত্যাগ করার পরপরই ব্যাবহার করলে।

৪।পেটের গ্যাস দূর করার জন্য ESOMEPRAZOL জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___CAP__maxima-20/40mg,esotid-20/40mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ৩০ দিন সেব্য।

৫।আক্রান্ত স্থানে বেশি ব্যাথা হলে DICLOFENAC SODIUM জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB__voltalin-sr-50/100mg,clofenac-sr-50/100mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ব্যাথা না যাওয়া পর্যন্ত।

পথ্য/করনীয়ঃ
                      #প্রচুর পানি ও নরম খাবার খাবে।
                      #নিয়মিত কোষ্ঠ পরিস্কার রাখতে হবে।
                     #মাংসের সাথে হাড় বা মাছের কাটা চিবলে,গেলা ঠীক হবে না।
                     #মল প্রতিনিয়ত নরম রাখবে।
                    #উষ্ণ গরম পানির ছেক দিলে ভালো আরাম পাবে।

*** একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারা অস্ত্রোপাচার করালে পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করা যায়।

এ রোগের ঔষধ পুরোপুরি খেতে হয়,নইলে একবার সেরে যাবার পরও পুনরায় হবার সম্ভাবনা থাকে।

বুধবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১৬

খোসপাঁচড়া ও চুলকানি (SCABIAE)


                চুলকানি বা খোসপাঁচড়া খুবই সংক্রামক রোগ।অত্যন্ত ছোয়াচে এবং স্পর্শকাতর এই রোগকে পারিবারিক রোগও বলা হয়।এরোগটি পরিবারের একজনের হলে,অন্য সদস্যদের খুব তাড়াতাড়ি হয়।
বিশেষ করে অপরিস্কার,নোংরা পরিবেশে এই রোগ বেশি ছড়ায়।
এই রোগে সারা শরীর চুলকায়,এমনকি আক্রান্ত স্থানে পুজও হতে পারে।
ছোট ছেলেমেয়েরা এ রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।মহিলাদের ক্ষেত্রে স্তনের বোটায় এবং পুরুষের ক্ষেত্রে লিঙ্গ ও অন্ডকোষে বেশি দেখা দিতে পারে।


লক্ষনঃ
           #আক্রান্ত স্থানে চুলকানির তীব্রতা বাড়ে।চুলকালে আরামবোধ হয়।
           #শুরুতে এ রোগ বগলের নিচে,হাটুর পাশে,হাতের ভাজে,কিংবা হাত পায়ের আঙ্গুলের ফাকে ফুস্কুরির মত জল ফোটের সৃষ্টি করে আর প্রচন্ড চুলকায়।
           #নাভির চারিপাশ দিয়েও আক্রমন করতে পারে।
           #চুলকানির জায়গা লাল হয়ে যায়,এবং পরে পুজ হয়।

চিকিৎসাঃ
১।পুজ হলে CLOXACILLIN  যুক্ত ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___CAP__ a-clox-500mg,clobex-500mg
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১+১ করে অর্থাৎ ৬ঘন্টা পরপর ৭দিন সেব্য।

২।সারা শরীরে ব্যবহারের জন্য PERMETHRIN  যুক্ত ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___CREAM__permin,scabex
মাত্রা___প্রত্যহ গোছলের পর গলার নিচ থেকে শুরু করে পা পর্যন্ত সমস্ত শরীরে মাখতে হবে।এভাবে ৩ দিন ব্যবহার করবে।

৩।শরীরের চুলকানি বন্ধের জন্য CHLORPHENIRAMIN MALEAT  যুক্ত ঔষধ ।
 যেমন___TAB_histacin,histalex
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ৭দিন সেব্য।

পথ্যঃ
        #যে সব খাবারে এলারজী,তা পরিহার করবে।
       
                #পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে।
                #নিজের রোগটি অন্যকে যেন সংক্রমিত করতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।
                #নিজের পোশাক নিজে পরিধান করবে।অন্যেরটা নেওয়া বা নিজেরটা দেওয়া পরিহার                             করবে।
               #আক্রান্ত স্থান নখ দিয়ে খোচাবে না।এতে ইনফেকশন হবার সম্ভবনা থাকে।



                                খোসপাঁচড়া বা চুলকানি বাড়তে থাকলে দ্রুত নিকটস্থ্ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাবে।

বুকে জমাট কাশি-বুক ব্যাথা-শ্বাস কস্ট (DYSPNOEA)


         সত্যিকার অর্থে,বুকে ব্যাথা বা কাশি,বিশেষ কোন রোগ নয়।এগুলা কোন রোগের লক্ষন।তাই একে মোটেও হেলাফেলা নয়।
বিভিন্ন কারনে জীবানু দ্বারা দূষনের ফলে শ্বাসতন্ত্রের নানা জটিলতা দেখা দিয়ে সংক্রমন হয়।আর শ্বাসতন্ত্রের এই জটিলতার জন্যই আমাদের বুকের ব্যাথা বা কাশি হয়।
তাছাড়া এর জন্য এলারজীও মারাত্নক ভাবে দায়ী।
বুকে ব্যাথা বা কাশি হৃদরোগ,হাপানী,ফুস্ফুসের জটিল রোগের লক্ষনও হতে পারে।
তাই সঠিক কারন খুজে চিকিৎসা করাতে হবে।
                     নিম্নে সাধারন কাশি বা বুকে কাশ জমে থাকলে বা বুক ব্যাথা হলে,প্রাথমিক চিকিৎসা উল্লেখ করা হল............

লক্ষনঃ
           #কাশি দিলে শ্লেষ বাইরে আসে বা আসে না।
          #কাশি পেকে যায়/ইনফেকশন।
          #বুকের জমাট বাধা শ্লেষ বুকে ব্যাথা সৃষ্টি করে।
          #কাশি বা বুক ব্যাথার সাথে জ্বর থাকতে পারে।
          #বুকের যে কোন স্থানে বা একটি স্থানে ব্যাথা হতে পারে।
          #জমাট শ্লেষ উঠাতে জোরে কাশি দিতে হয়।
          #কফ দীর্ঘ দিন ধরে থাকলে,পরবর্তীতে কাশির সাথে রক্ত আসতে পারে।
          #কাশির সাথে বুকে ব্যাথা,স্বাসকস্ট বাড়াতে পারে।
                *** যদি বুকের বাম পাশে ব্যাথা হয়,তাহলে হার্টের ব্যাথা হতে পারে।
                *** শ্বাসকস্টের সাথে বুকের ভিতর থেকে শাই শাই শব্দ হলে হাঁপানি হতে পারে।

চিকিৎসাঃ
১।বুকের ব্যাথা কমানোর জন্য কিংবা জ্বর থাকলে PARACETAMOL যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB__ napa-500mg,ace-500mg,fast-500mg
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে আহারের পর।বুক ব্যাথা না কমা পর্যন্ত বা জ্বর থাকলে।

২।কফ শক্ত হলে,নরম করে বের করার জন্য MUCOLITIC যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___SYP__a-cold,mucolyt
মাত্রা___প্রত্যহ ২/৩চা চামচ করে আহারের পর।কফ সম্পূর্ণ না বের হওয়া পর্যন্ত।

৩।কাশি পাকলে বা ইনফেকশন থাকলে AZITHROMYCIN যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB__zimax-250/500mg,azin-250/500mg
মাত্রা___প্রত্যহ ০+০+১ করে ৭দিন।বয়সভেদে মাত্রা তারতম্য হবে।

৪।শ্বাসকস্ট থাকলে AMINOPHYLINE যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB__filin-100mg,aninoohylin-100mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+0+১ করে আহারের পর,১৫ দিন সেব্য।

পথ্যঃ
        #উষ্ণ বা গরম খাবার খাওয়া উত্তম।
        #ঠান্ডা খাবার বা পানীয় পরিহার করতে হবে।
       #খোলা বা ঠান্ডা বাতাসে চলাফেরায় সতর্কতা অবলম্বন করবে।
       #বুকে ঠান্ডা বাতাস লাগতে দেবে না।
*** বেশি কাশি হলে প্রকৃতির দান খাটি সরিষার তেল,বুকে মালিশ করলে ভালো আরাম পাওয়া যায়।

    অবস্থার উন্নতি না হলে,দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে।
মনে রাখবে, একনাগাড়ে ২১দিনের বা ৩ সপ্তাহর বেশি কাশি থাকলে মোটেও গাফলতি করা যাবে না।কফ পরীক্ষার জন্য,হাসপাতালে যাবে।

ব্রন (ACNE)


                  ব্রন।মানুষের মুখোমন্ডলের শ্রী বিনাশকারী। যুবক বা যুবতীদের কাছে এ যেন এক মহা বিপদ।সবাই ব্যাস্ত ব্রন কমানোর জন্য,এটা _ওটা লাগিয়েই চলছে।তবুও ব্রন আছেই।
এটা একটি শরীরবৃত্তীয় প্রকাশ।এটি অল্প বয়স্ক ছেলে মেয়েদের বেশি দেখা দেয়।বিশেষ করে  টিনএজারদের।
যখন আমদের শরীরের এন্ডজেন হরমনের প্রতিক্রিয়ায়,চর্ম গ্রন্থির ক্রিয়া বেড়ে যায়,তখনই মুখমন্ডল বা গালে,কপালে ব্রন উঠে।
বয়ঃসন্ধিতে এটি বেশি মাত্রায় প্রকাশ পায়।
ব্রন প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে,তাছাড়া নখের থেকে জীবানু দ্বারা ইনফেকশন হলে,ব্রন পুজের মত গুটি হয়ে দেখা দেয়।

কারনঃ
          #এন্ডজেন হরমনের গোলযোগের কারনে ব্রন হয়।
          #অত্যাধিক মাত্রায় চর্বিযুক্ত ও শর্করা খাবার খেলে ব্রন বেশি হয়।
          #অন্তক্ষরা গ্রন্থীর গোলযোগের কারনে ব্রন হয়।
          #মানসিক দুশ্চিন্তা বা টেনশনের কারনেও ব্রনহতে পারে।
          #পরিপাকতন্ত্রের কোন গোলযোগের কারনে ব্রন হয়।
         #বিভিন্ন প্রকার ঔষধ,যেমন>>জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি,স্টেরয়েড জাতীয় ঔষধ,খিচুনী রোধী ঔষধ একনাগাড়ে ব্যবহার করলে ব্রন হয়।
         #খাদ্যে এলারজীর থেকেও ব্রন হতে পারে।
         #ঘন ঘন কোস্টকাঠিন্য হলে ব্রন হতে পারে।

চিকিৎসাঃ
১।প্রতিদিন মল পরিস্কার না হলে বা কোস্টকাঠিন্য থাকলে LACTULOSE জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___SOLU___avolac,laclose.
মাত্রা___২/৩ চামচ করে খেতে হয়,মল নরম না হওয়া পর্যন্ত।

২।মানসিক দুশ্চিন্তা থাকলে NORTRIPTYLIN & FLUPENAZINE জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB_ norzin,norflu.
মাত্রা___ প্রত্যহ ০+০+১ করে ১৫ দিন সেব্য।

৩।ব্রনে ব্যাথা বা ইনফেকশন থাকলে TETRACYCLIN জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়
যেমন___CAP__a-tetra-250mg,tetracyclin-250mg.
মাত্রা___ প্রত্যহ  ১+১+১ করে ৩০ দিন সেব্য।

৪।উপরের ঔষধ গুলোর সাথে ট্রিটিনইন জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
যেমন__CREAM__retin-a,nilac
মাত্রা___প্রত্যহ ২/৩ বার মুখোমন্ডলে লাগাতে হবে।

বিধি_নিষেধঃ
                    #অক্রান্ত ব্রন নখ দিয়ে খোচাবে না।এতে ব্রনের পরিমান আরও বাড়ে।
                   #ব্রনে সাবান লাগাবে না।মাথার শ্যাম্পু দিয়ে মূখোমন্ডল ধৌত করবে।
                  #আক্রান্ত স্থান পরিস্কার করে,নরম কাপড় দিয়ে মুছে,ক্রিম লাগাবে।

পথ্যঃ
          #বেশি তৈলাক্ত খাবার বা বেশি মসলা যুক্ত খাবার পরিহার করবে।
         #কোমল পানীয় বা চকলেট না খাওয়া ভালো।
         #জাঙ্কফুড বা মুখোরোচক খাবার না খাওয়া ভাল।
         #মুখোমন্ডলে কোন প্রকার প্রসাধনী লাগানো যাবে না।


                   এরপরও ব্রনের পরিমান না কমলে একজন ভালো চর্ম বিশেষজ্ঞের নিকট যাবে।

মঙ্গলবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৬

সাদা স্রাব (LEUCORRHOEA)


              সাদাস্রাব বা লিকোরিয়া,প্রায় সব মহিলাদেরই একটি বিরক্তিকর জটিল ব্যাধি।
মহিলাদের যৌনাঙ্গ,জরায়ু বা যোনিপথ থেকে যে সাদা পিচ্ছিল রস বের হয়ে যোনিপথকে ভেজা রাখে,তাই সাদাস্রাব।অন্যভাবে বললে,
মাসিক স্রাবের আগে বা পরে,স্বামী স্ত্রীর সহবাসের সময়,যখন মহিলাদের যোনিপথে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশী পরিমান স্রাব নির্গত হয়,সেটাই লিকোরিয়া।
তাছাড়া কিছু কিছু যুবতী বা মহিলাদের এমনিতেই সাদা স্রাব অতিরিক্ত আসে,যা যথেস্ট বিরক্তিকর।
সঠিক সময়ে,সঠিক চিকিৎসা নিলে এই রোগ নির্মূল করা সম্ভব।সাদাস্রাব বেশি আসার অনেক কারন আছে,আর তা হচ্ছে..................

কারনঃ
          #যোনিপথ কোন কারনে জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হয়ে সংক্রমিত হলে।
          #কপার টি পরার সময় কোন ভাবে,যোনির ভিতরে জীবানু প্রবেশ করলে।
         #গর্ভপাতের পর যোনিপথে জীবানু সৃষ্টি হলে।
         #মাসিকের কাপড় নোংরা বা অপরিস্কার হলে।
        #মানিসিক দুশ্চিন্তা থেকেও লিকোরিয়া হতে পারে।

লক্ষনঃ
           #যোনি পথ দিয়ে প্রচুর রস বের হয়।
          #নির্গত রস দই বা ঘোলের মত সাদা দেখায়।
          #যোনিতে প্রচুর চুলকায় বা যোনির চারপাশ ফুলে যেতে পারে।
          #কখনও কখনও ক্ষরিত রসে দূরগন্ধ হতে পারে।
         #সহবাসে জ্বালাপোড়া থাকতে পারে।
        #প্রসাব করতে কস্ট হতে পারে।
        #রোগী রুগ্ন ও খিটখিটে স্বভাবের হয়ে যায়।

চিকিৎসাঃ
১।যোনিপথে ব্যাবহারের জন্য ভ্যাজাইনাল ট্যাবলেট খুবই ভালো ফল দেয়।
যেমন___V TAB_gynopevaryl-v, nystat v.t.,canesten v.t.
মাত্রা___১টি ভ্যাজাইনাল ট্যাব প্রতি রাতে মাসিকের রাস্তা দিয়ে জরায়ুতে ব্যবহার করতে হবে।
                এভাবে তীব্রতা অনুযায়ী ৩-৬দিন পর্যন্ত।

২।সাদাস্রাবের জন্য  FLUCONAZOLE  যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___CAP_flugal-50mg,omastin-50mg
মাত্রা___প্রত্যহ ০+০+১ করে ২১দিন সেব্য।

৩।উপরের ঔষধের সাথে  METRONIDAZOLE যুক্ত ঔষধ খুবই ভালো ফল দেয়.
যেমন___TAB_amodis-400,dirozyl-400mg
মাত্রা___প্রত্যহ ০+০+১ করে ২১দিন সেব্য।

৪।যোনির চুলকানি বন্ধের জন্য MEBHYDROLIN NAPADICYLATS যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়.
যেমন___TAB_mebolin-50mg,bexidal-50mg
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ৭ দিন সেব্য।

৫।শরীর দুর্বলতার জন্য  VITAMIN B COMPLEX যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB_v-plex,aristovit-b
মাত্রা___প্রত্যহ১+১+১ করে ৩০ দিন সেব্য।

৬।মানসিক অস্থিরতা বা দুশ্চিন্তা দূর করার জন্য TRIFLUPERAZINE & NORTRYPTILINE  যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB_norzin,norflu,moodon
মাত্রা___প্রত্যহ ০+০+১ করে ২১দিন সেব্য।

৭।পেটে গ্যাস হলে ESOMEPRAZOLE যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB_nexam-20/40mg,esotid-20/40mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ৭ দিন সেব্য।

পথ্যঃ
        #স্বাভাবিক সব খাবার খাওয়া যাবে।তবে এলারজি যুক্ত খাবার পরিহার করা উচিৎ।
        #মাসিকের কাপড় পরিস্কার রাখতে হবে,অন্যের বাবহুত কাপড় পরিধান থেকে বিরত থাকবে।

*** গর্ভাবস্থায় সাদা স্রাবের জন্য ঔষধ খেলে ক্ষতির সম্ভবনা থাকে।তাই প্রসবের পরে লিকোরিয়ার ঔষধ খাওয়া ভালো।


                   সাদা স্রাব খুব বেশি আসলে,মোটেও খাটোকরে দেখবে না।কেননা এর থেকে জরায়ুর জটিল রোগে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা থাকে।তাই দেরী না করে যত দ্রুত সম্ভভ একজন বিশেষজ্ঞের সাথে আলোচনা করবে।

অনিয়মিত ঋতুস্রাব (IRRIGULAR MENSTRATION)


                  প্রতিটি সুস্থ এবং প্রপ্তবয়স্ক মহিলার ঋতুস্রাব বা মাসিক স্বাভাবিক ভাবে ৪-৫ দিন স্থায়ি হয়।প্রতি ২৮দিন পর পর এই মাসিক চক্র চলতে থাকে।এটি একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।এ প্রক্রিয়া ১০ বছর বয়স থেকে ৪৫বছর বয়স পর্যন্ত চলতে থাকে,তবে ৪০বছরের পর থেকেই মাসিক প্রক্রিয়া ক্ষীন হয়ে আসতে থাকে।
কিন্ত শরীর ও মনের নানাবিধ পরিবর্তনের ফলে,এ মাসিক চক্রটি অনিয়মিত হয়ে পড়ে।কোখনো বেশ দেরিতে মাসিক হয়।আবার হুট করে নির্দিষ্ট তারিখ আসার আগেই মাসিক শুরু হয়ে যায়।
দেহের স্বাভাবিক পুস্টি ঘাটতি বা রক্তশুন্যতা থেকেও এই সমস্যা হতে পারে।তাছাড়া অনিয়মিত মাসিকের জন্য মানসিক দুশ্চিন্তাও দায়ী।
আবার কখনও কখনও বিভিন্ন প্রকার যৌন রোগের কারনেও মাসিক অনিয়মিত হয়ে পড়ে।

লক্ষনঃ
           #মাসিক শুরু হবার নির্দিষ্ট তারিখের ৫/১০দিন আগে বা পরে মাসিক শুরু হয়।
          #মাসিক ২-৪ ফোটা শুরু হয়,আবার বন্ধ হয়ে ৩-৪দিন পর শুরু হয়।এবং তা অল্প অল্প হতে                     থাকে।
          #মাসিকের শুরুর আগে বা পরে প্রচুর সাদা সাদা আঠালো স্রাব বের হতে পারে।
         #মাসিক অল্প অল্প করে হয়,৮/১০দিন স্থায়ী হতে পারে।
         #আঁশটে গন্ধযক্ত স্রাব আসতে পারে।
         #মাথা ব্যাথা,মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব হতে পারে।
         #তলপেট কিংবা কোমর ভার ভার লাগে।
         # তলপেটে ব্যাথা হতে পারে।
         #শরীর ম্যাজম্যাজ করে।
         #শরীরে রক্তশুন্যতা দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসাঃ
১।পুস্টিহিনতা ও রক্তশুন্যতা থাকলে MULTIVITAMIN খাওয়া ভালো।
যেমন___TAB__bextram gold,nutram gold,filwel gold.
মাত্রা___প্রত্যহ ০+০+১ করে ৩০ দিন খেতে হয়।

২।বিবাহিতদের হরমনের অভাবজনিত কারনে অনিয়মিত মাসিক প্রতিরোধ করার জন্য জন্মবিরতিকরন পিল খুবই ভালো কাজ করে।এটি অনিয়ন্ত্রিত গর্ভধারণ রোধ ছাড়াও মাসিক নিয়মিত করে।
যেমন___TAB_ovastat,marvelon.
মাত্রা___ মাসিকের ৫ম দিন থেকে ১বড়ি করে প্রতি রাতে ২১দিন খেতে হয়।এভাবে প্রতি মাসিক চক্রে খেতে হয়।তাছাড়া খাওয়ার নিয়মাবলী ঔষধের প্যকের মধ্যে দেওয়া থাকে।

৩।যে কোন যৌন রোগ থাকলে,তার চিকিৎসা করাতে হবে।
গনোরিয়া বা অন্য কোন যৌন রোগের ইনফেকশন কাটানোর জন্য CEFIXIME যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___CAP_cef-3-200mg,fix-a-200mg
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ৭ দিন খেতে হয়।

৪।উপরে বর্ণিত ঔষধের সাথে METRONIDAZOLE যুক্ত ঔষধ খেলে,ইনফেকশন দ্রুত নিয়ন্ত্রন করা যায়।
যেমন___TAB_flamyd-400mg,amodis-400mg,dirozyl-400mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ৭ দিন খেতে হয়।

৫।মানসিক প্রশান্তি কিংবা স্বাভাবিক ঘুম আনোয়নের জন্য DIAZIPAM যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB_easium-5mg,sedil-5mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ০+০+১ করে ১৫ দিন খেতে হয়।

পথ্যঃ
        #পর্যাপ্ত পরিমান পুস্টিকর খাবার খাবে।
        #সারাদিন পরীশ্রম বা ঘুম নয়।হালকা ব্যায়াম করবে।

       *****ঋতু স্রাব অনিয়মিত হলে যথেস্ট পরীক্ষা নীরীক্ষার দরকার আছে,তাই মোটেও অবহেলা নয়।একজন ভালো গাইনী বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিৎ।****

বাধক ব্যাথা/কস্টরজ (DYSMENORRHOEA)


                বাধক ব্যাথা,তরুণী কিংবা বিবাহিত/অবিবাহিত মহিলাদের এক পরিচিত নাম। মেয়েদের  ঠিকমত ঋতু পরিস্কার না হলে এমনটি হয়।
মাসিক রক্তস্রাবের সময় নানাবিধ গোলযোগের কারনে,ডিম্বাশয়,কিংবা জরায়ুর বিভিন্ন অসুবিধায় এ ব্যাথার সৃষ্টি হয়।প্রতিমাসের মাসিকের সময় তলপেটের বাম বা ডান পাশে এবং কোমরে খুব ব্যাথা হয়।তাছাড়া জরায়ু পেশির বেশি সংকোচনের জন্যও এমনটি হতে পারে।ব্যাথার সাথে অল্প পরিমান রক্তও ভাংতে পারে

লক্ষনঃ
          #মাথা ভার ভার লাগা বা মাথা ব্যাথা থাকতে পারে।
           #কারোও বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
           #তলপেটের বাম/ডান বা উভয় পাশেই ব্যাথা হতে পারে।
           #কারোও ব্যাথা তীব্র হতে পারে।
           #কোমর ভার ভার লাগে।
           #খাবারে অরুচি হয়।
চিকিৎসাঃ
১।তলপেটের ব্যাথা কমানোর জন্য HYOSINE BUTYLE BROMIDE যুক্ত ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB_ hysomide,butapen,
মাত্র___ব্যাথা থাকলে ১+১+১ করে সেব্য।

২।পেটে গ্যাস হলে ESOMEPRAZOLE যুক্ত ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB_nexam-20/40mg,esoral-20/40mg.
মাত্র___ প্রত্যহ ১+০+১ করে আহারের ২০মিনিট আগে সেব্য।

৩।মানসিক দুশ্চিন্তা বা ভয়,সংকোচ থাকলে TRIFLUPERAZINE HCL  যুক্ত ঔষধ খাওয়া ভালো।
যেমন___TAB_norzin,moodon.
মাত্র___ প্রত্যহ ১+০+১ করে মাসিক শেষ হওয়ার দিন পর্যন্ত।

৪।হরমনের গোলযোগের কারনেও,মাসিকের সময়ে তলপেট ব্যাথা হতে পারে।তাই মোটেও হেলাফেলা নয়। যদি বাধক ব্যাথা প্রতিমাসেই এমন হতে থাকে,তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের তত্বাবোধানে চিকিৎসা করাতে হবে।

পথ্যঃ
         #রোগীকে পূর্ণ বিশ্রামে রাখতে হবে।
         #দ্রুত ব্যাথা কমানোর জন্য গরম পানি বতলে ভরে তলপেট বা কোমরে সেক দেয়া ভালো।
         #উষ্ণ ও গরম খাবার খাবে।
         #পুস্টিকর ও প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবে।

তলপেট বা কোমর ব্যাথা তীব্র হলে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাবে।

রবিবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

ঘাড়ের ব্যাথা (CERVICAL SPONDYLITIS)


             ঘাড়ের প্রত্যেক সঙ্কচোন বা প্রসারন আমাদের প্রয়োজনেই।অহেতুক বা বিনা কারনে কেউ ঘাড়কে ব্যাতি ব্যাস্ত রাখে না।আর সেই ঘাড় ই যদি ব্যাথায় নড়া-চড়া বন্ধ করে দেয়,তাহলে আমাদের প্রতেকটা কাজের জন্যই অসুবিধা হয়।
বিভিন্ন কারনে ঘাড়ে প্রদাহ হতে পারে।ঘাড়ের ব্যাথায় প্রায় প্রতিটি অঙ্গের নড়াচড়া কঠিন হয়ে পড়ে।আবার কখনো কখনো দেহের অন্য প্রান্তের সমস্যাও ঘাড়ের সমস্যার কারন হতে পারে।

লক্ষনঃ
           #ঘাড় বাকা করতে কস্ট হয় বা ব্যাথা হয়।ঘাড় সোজা রাখতে হয়।
           #ঘাড় এবং কাধের পেছনে বা পাশে ব্যাথা হয়।
           #ঘাড়ে চাপপ্রাপ্ত স্নায়ুর সঞ্চালন অনুভুতি শক্তি বাধা প্রাপ্ত হয়।
           #ঘাড়ে সৃষ্ট ব্যাথা হাত পর্যন্তও বিস্তার করতে পারে।

চিকিৎসাঃ
১।ঘাড়ের ব্যাথা কমানোর জন্য MEFENAMIC ACID  যুক্ত ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB_ flamic-250mg,hpr-250mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ভরা পেটে সেব্য।ব্যাথার স্থায়ীত্বর উপর নির্ভর করে কয়েকটা খেতে হয়।
              অথবা,
                        DICLOFENAC POTASSIUM যুক্ত ঔষধ.
যেমন___TAB_cataflam-50mg,a-fenac-k-50mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ভরা পেটে সেব্য।ব্যাথার স্থায়ীত্বর উপর নির্ভর করে কয়েকটা খেতে হয়।

২।পেটে গ্যাস হলে OMEPRAZOL  যুক্ত ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___CAP_seclo-10/20/40mg,ppi-10/20/40mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে আহারের ২০মিনিট আগে খেলে ভালো ফল পয়াওয়া যায়।৭ দিন।

৩।মনের দুশ্চিন্তা বা মনসিক চাপ বা অস্থিরতা কমানোর জন্য,তাছাড়া স্বাভাবিক ঘুম হবার জন্য CLOBAZAM যুক্ত ঔষধ.
যেমন___TAB_cosium-10mg,clozam-10mg.
মাত্রা___প্রত্যহ রাতে ঘুমতে যাবার আগে ১বড়ি করে সেব্য।ব্যাথা থাকার কয়েকদিন।


বিধি-নিষেধঃ
                   #উচু বালিশ বা বিছানা  বাদ দিতে হবে।
                   #খুব নরম/ফোমের তৈরী বিছানায় ঘুমনোর অভ্যাস বাদ দিতে হবে।
                  #ঘাড়ে ব্যাথার ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপী ভালো কাজ দেয়।
                  #প্রয়োজন হলে ব্যাথা না যাওয়া পর্যন্ত কলার ব্যান্ড ব্যাবহার করবে।

যে কারনেই ঘাড়ে ব্যাথা হোক,তা অবহেলা করা মোটেও ঠিক হবে না।এজন্য যত দ্রুত সম্ভব একজন বিশেষজ্ঞের সরনাপন্ন হবে।

কানে ব্যাথা (EAR ACHE)


                          কানে ব্যথা,প্রয়াই সকল বয়সী মানুষেরই পরিচিত সমস্যা।ঠান্ডা পানি কিংবা আইস্ক্রিম মুখে দিলেই দাঁতের পরেই কানটা যেন আঁটকে আসে।দাঁতের সাথে কানের এক নিবিড় সম্পর্ক।
তাছাড়া অত্যাধিক ঠান্ডার জন্য, কানে কোন প্রকার ইনফেকশন ব্যতিতও ব্যথা হতে পারে।  ঠান্ডার সমস্যা ছাড়াও বিভিন্ন কারনে কানে ব্যাথা হতে পারে।যেমন......
কারনঃ
           #দাঁতের ক্ষয় জনিত কারনে বা মাড়ির রোগের কারনে।
           #পালক বা কাঠি দিয়ে কান চুলকানর সময় আঘাত পেলে।
           #কানের মধ্যে পানি যেয়ে, দীর্ঘ দিন আটকে থাকলে কান পাকে বা পুজ হয়।
           #কানের মধ্যে ফোড়া বা পুজ হলে।
           #কানে আঘাত পেলে।
           #কোন কারনে কানের মধ্যে জীবানু সংক্রমিত হলে।
চিকিৎসাঃ
১।কানের তীব্র ব্যাথার জন্য DICLOFENAC SODIUM যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB__clofenac-50/100mg,a-fenac-sr-50/100mg.voltalin-sr-50/100mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ভরা পেটে,প্রয়োজন অনুযায়ী সেব্য।

২।কানের ভেতরকার ইনফেকশন কাটানোর জন্য ERYTHROMYCIN যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB__erocin-500mg,erythrox-500mg
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ভরা পেটে,৭ দিন সেব্য।
                 অথবা,
                          CIPROFLOXACIN  যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB_ciprocin-250/500mg,cipro-a-250/500mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ভরা পেটে,৭ দিন সেব্য।

৩।কানের অভ্যন্তরে জীবানু দ্বারা সংক্রমিত হলে বা পুজ হলে কানের ভিতর পরিস্কার করার জন্য PERHYDROL যুক্ত ঔষধ ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
  যেমন___  hydrogen per oxide.
                        আক্রান্ত কানে ৪/৫ ফোটা করে প্রত্যহ ২/৩ বার দিলে ভেতরের ময়লা নরম হয়ে ফেনার মত হবে।তখন পরিস্কার তুলা কাঠিতে পেচিয়ে পরিস্কার করতে হবে।

৪।ব্যাথার ঔষধ পেটে গ্যাস সৃষ্টি করে।এজন্য OMEPRAZOL যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___CAP_seclo-20/40mg,ppi-20/40mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে আহারের ২০মিনিট আগে ব্যাথার ঔষধ চলাকালীন সেব্য।

পথ্যঃ
          #খুব বেশী ঠান্ডা পানিয় বা যে কোন খাবার পরিহার করা উচিৎ।
          #পুকুর কিংবা নদিতে গছল না করলেই ভালো হয়।
          #কানের অভ্যন্তরে শক্ত কাঠি প্রবেশ করানো একদম অনুচিত।
          #দাঁত কিংবা মাথার কোন রোগ থাকলে,তার চিকিৎসা করাতে হবে,কেননা দাঁত ও মাথার সাথে                   কানের জড়ালো সম্পর্ক রয়েছে।
          #কানে ঠান্ডা বাতাস লাগতে দেবে না,বা ঠান্ডার মধ্যে চলাফেরা না করাই শ্রেয়।


            এরপরও  কানের ব্যথা ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হলে,দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে যাবে।

শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৬

একজিমা/বিখাউজ (EKZIMA)


                 একজিমা /বিখাউজ!! অত্যন্ত খারাপ এক চর্ম রোগ।শরীরের যে কোন স্থানে এ রোগ হতে পারে।বিভিন্ন কারনে শরীরে এন্টিজেন এবং এন্টিবডির প্রতিক্রিয়ায় এ রোগের জন্ম হয়।আক্রান্ত স্থানে প্রদাহের সৃষ্টি হতে পারে।বিশেষ করে বিভিন্ন প্রকার চর্ম রোগ একত্রে জটিল অবস্থার মাধ্যমে বিখাউজ এর জন্ম দেয়।
তাছাড়া বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল রিয়েকশন যেমন,প্রসাধণী এর মাধ্যমেও এই রোগ হতে পারে।সাধারনত দু রকমের বিখউজ দেখা দেয়।
তা হচ্ছে, কোন কিছুর সংস্পর্শে এসে চামড়ায় প্রদাহের মাধ্যমে বিখাউজ এর জন্ম দেয়।আবার কোন কিছুর সংস্পর্শ ছাড়ায় শারীরিক কোন কারনে চামড়ায় বিখাউজের জন্ম নিতে পারে।
এ রোগের আক্রান্তে স্থানের চামড়া খাওয়া মত উঠে যেতে থাকে।আবার কোথাও ছোট গোল আকৃতির মত হয় এবং আবরন উঠে যায়।

লক্ষণঃ
         #প্রথমে খুব চুলকায়,ছোট ঘামাচির মত দেখা যায়।
         #বেশির ক্ষেত্রে চামড়ার ভাজে,বগলে,হাটুতে,কব্জি,আঙ্গুলের ফাকে বেশি হয়।
         #আক্রান্ত স্থানে চলটা থাকে,এবং শুকনো মনে হয়।
        #চুলকানোর পর কষ পড়ে,এবং জ্বলে।
        #এটি কখনো কখনো  ফাটা এবং কাটা মতন দেখায়।
        #আক্রান্ত স্থানের বর্ডার দাউদের মত স্পস্ট নয়।

চিকিৎসাঃ
১।চুলকানি বেশি হলে CETRIZIN HCL যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB_alatrol,cetzin
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে প্রয়োজন অনুযায়ী।
               or  SYP___alatrol,cetzin
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২চা চামচ করে প্রয়োজন অনুযায়ী।বয়স ভেদে মাত্রা ভিন্ন হবে

২।আক্রান্ত স্থানে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন ক্রিম
                   CREAM_dermoveate,clovet,dermasol
মাত্রা___আক্রান্ত স্থান পরিস্কার করে প্রত্যহ ২/৩ বার লাগাবে।
                 অথবা,
          হাইডকরটিসান যুক্ত মলম ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
যেমন___  CREAM__unicort-n,hydrocort,aristocort
মাত্রা___আক্রান্ত স্থান পরিস্কার করে প্রত্যহ ২/৩ বার লাগাবে।

৩।আক্রান্ত স্থান সংক্রমিত হলে CEFIXIM যুক্ত ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___CAP_cef-3-200mg,fix-a-200mg
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে ৭দিন সেব্য।

৪।শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ANTIOXIDENT যুক্ত ঔষধ খেলে  ভালো ফল            পাওয়া যায়।
যেমন___TAB_rex,antox
মাত্রা___প্রত্যহ 0+০+১ করে ৩০ দিন।
পথ্যঃ
        #এলারজি যুক্ত খাবার পরিহার করবে।
        #যৌন রোগ হতে খুব সতরক থাকতে হবে।
       #ব্যাক্তগত স্বাস্থ্যনিতী মেনে চলবে।    
         #মনে রাখবে বিখাউজ/একজিমার বেলাইয় আত্নরক্ষামুলোক ব্যবস্থা গ্রহন করতে হয়।
         #আক্রান্ত স্থান খুব ভালো করে পরিস্কার রাখতে হবে।
        #বেশি করে পটাশিয়াম পার ম্যাংগানেট দ্রবন দিয়ে ভালো করে ধুতে হবে।


              রোগ সংক্রমনের আশঙ্কা থাকলে একজন ভালো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবে।

দাউদ(RINGWORM)


                        আমাদের দেশে এ দাউদে আক্রান্ত লোকের সখ্যা প্রচুর।এটি জীবানু ঘটিত চর্মরোগ রোগ।একজনের শরীরে এই রোগ একবার ঢুকতে পারলেই,সারা শরীরে এটি আক্রমন করে।এমনকি অন্য সুস্থ্য লোককেও আক্রমন করতে পারে।এ রোগ চামড়া,চুল,আংগুলের নখেও হতে পারে।নোংরা  কাপড়ের মাধম্যেও এ রোগ হতে পারে।যেমন_মোজার মাধ্যমে পায়ে।শার্টের মাধ্যমে বগলে,মেদের পেটিকোরটের ফিতার বাধন বরাবর,এমনকি ব্লাউজের নিচের রেখা বরাবরও হতে পারে।
দাউদ এক এক স্থানে সংক্রমনের জন্য একেক রকমের নামকরন করা হয়।

শরীরের বিভিন্ন স্থানের উপর সংক্রমনের উপর নির্ভর করে এর নামগুলো নিচে দেওয়া হল,
১।TENIA CRURIS:: এটি বোগল বা কূকচিতে দেখা দেয়।প্রথমে ফুস্কুড়ির মত দেখায়,পরে ছড়িয়ে                                          পরে রিং এর মত গোলাকার হয়ে যায়।
২।TENIA CORPORIS::বুকে বা পেটে দেখা দেয়।এটি দেখতে বেশ বড় ও গোলাকার।
৩।TENIA BARBAE::এটি সাধারনত গালে দেখা দেয়।গালের উপরের দিকে ওঠে না বরং নিচের                                             দিকে নামতে থাকে।
৪।TENIA CAPITIS::এটি ছোটদের মধ্যে বেশি হয়।মাথা ও খুলেতে আক্রমন করে।
৫।TENIA PEDIS::সাধরনত পায়ের পাতা,তলা এবং আঙ্গুলে আক্রমন করে।
৬।TENIA ANGUIUM::এটি একমাত্র নখে হয়।আক্রান্ত নখ খাওয়া খাওয়া হয়ে যায়।

লক্ষনঃ
          #আক্রান্তস্থান খুব চুলকায় এবং ফুস্কুড়ির মত ফুলে ওঠে।
          #ক্ষত হলে আঠালো কষ বেরোয়,এবং এর চারদিক ফুলে উঠে বরডার এর মত হয়।
          #আক্রান্ত স্থান চুলকালে বেশ জ্বালা পড়া করে।
          #ক্ষত স্থানে কষ ব্যাতিত রক্ত ঝরে না বললেই চলে।
          #এক্রান্ত স্থান শুকনো হলে চামড়ার রঙের মত দেখায়।
         #ঘা একটূ শুকিয়ে পুনরায় হতে পারে।

চিকিৎসাঃ
১।দাউদ সশরীরের বিভিন্ন স্থানে বা যে কোন স্থানে আক্রমন করলে ফাংগাস বিরোধী ঔয়াহধ খেতে হয়।এর জন্য সবচেয়ে কার্যকারী হচ্ছে FLICONAZOL যুক্ত ঔষোধ।
যেমন___CAP_flugal-50/150mg.floconal-50/150mg,omastin-50/150mg
মাত্রা__৫০মিলি এর জন্য,প্রত্যহ ০+০+১ করে ১০-১৫দিন সেব্য।
             ১৫০মিলি এর জন্য,প্রতি ৪দিন অন্তর ৭টী ক্যাপ্সুল খাওয়া ভালো।

২।আক্রান্ত স্থানে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন মলম,এগুলো খুবই ফলদায়ক।
  যেমন___CREAM_pevison,fungison,aristocort
মাত্রা___ আক্রান্ত স্থানে প্রত্যহ ২/৩ বার।

৩।আক্রান্ত স্থান বেশি মাত্রায় সংক্রমিত হলে,উপরোক্ত ঔষোধের সাথে AZITHROMYCIN  যুক্ত ঔষোধ খাওয়া যেতে পারে।
  যেমন___TAB_zimax250/500,azin-250/500mg
মাত্রা___ প্রত্যহ ০+০+১ করে ৫দিন।

৪।চুলকানি বন্ধের জন্য CTERIZINE HCL যুক্ত ঔষোধ খাওয়া যেতে পারে।
  যেমন___TAB_alatrol,cetizen
মাত্রা___ প্রত্যহ ১+০+১ করে ৫দিন

পথ্যঃ
        #যে সব খাবার খেলে এলারজী হয়,তা পরিহার করবে।
        #পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকবে।
        #আক্রান্ত স্থানে সাবান বা সোডা ব্যাবর করবে না,কেননা এর উৎপন্ন ফেনার সাথা শরীরের অনত্র্য এর জীবানু ছড়াতে পারে।

                        সংক্রমন বেশি মনে হলে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যাবে।

বুধবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১৬

সাইনুসাইটিস(SINUSITIS)


            সাইনুসাইটিস !! সব বয়সীর জন্যই এক ঝামেলাদায়ক,বিশ্রী বিরক্তকর ব্যাধি।কিছু সময় পরপর কপালের দুই পাশ দিয়ে, কিছু একটা যেন চলাচল করছে,একটানা প্রদাহ হচ্ছে।কপাল ও মাথার খুলির সম্মুখ ভাগে প্রদাহ তীব্র থেকে তীব্রতরও হতে পারে।
এটি জীবানুঘটীত।ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া এর সংক্রমন বা উদ্ভব ঘটায়।
তবে যাদের সর্দি লেগেই থাকে,তাদের এ রোগ হওয়ার প্রবনতা বেশী।
তাছাড়া,নাকের সাথে সংযুক্ত ছিদ্র পথ সর্দিতে বন্ধ হলে,সাইনাসের অভ্যন্তরিন বাতাসের ভারসাম্য থাকে না,যার কারনে একটা আভ্যন্তরীন চাপ সৃষ্টি হয়,ফলে মাথা ব্যাথার জন্ম নেয়।
মাথার খুলির সম্মুখভাগে এ রোগ হয়,যা দুই পাশের কপাল নিয়ে বিস্তৃত।

কারনঃ
         #এলারজী বা ভাইরাসের সংক্রমন থাকলে,নাক দিয়ে অনবরত পানি ঝরলে।
         #নাক বন্ধ হবার উপক্রম,এমন অবস্থায় ভুগতে থাকলে।
        #নাকের অভ্যন্তরে পলিপ টিউমার বা মাংস বৃদ্ধি পেলে।
        #নাকে কোন প্রকার ইনফেকশন থাকলে।
লক্ষনঃ
        #মাথা ভার ভার লাগে।
        # মাথার সামনের অংশ ব্যাথা করে।
       #কপালের ভ্রূ টিপে ধরলে আরাম বোধ হয়।
       #সর্দি লেগেই থাকে,নাক শির শির করে।
       #গলার স্বরের তারতম্য মনে হয়।
       #জ্বর থাকতে পারে,কিংবা পুরো শরীর ব্যাথা হতে পারে।

চিকিৎসাঃ
১।নাকের শির শির বন্ধের জন্য LORATADINE যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB_lodin,oradin
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে প্রয়োজন অনুযায়ী।
                অথবা,
                           PROMETHAZINE HCL যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___SYP_phenergan,progan,otosil
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২ চা চামচ করে ২বার,১-৫দিন।বয়সভেদে মাত্রা তারতম্য।

২।শরীরে ব্যাথা,মাথা ব্যাথা,কিংবা জ্বর থাকলে PARACITAMOL যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB_ace plus,napa extra,fast plus
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১,বা ১+১+১ করে প্রয়োজন অনুযায়ী।

৩।সংক্রমনের সম্ভাবনা থেকে রক্ষার জন্য এন্টিবায়োটিক ERYTHROMYCIN যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB_erythrox-250/500mg,servitrocin-250/500mg,erocin-250/500mg
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে ,৭দিন।
                 অথবা,
                             AZITHROMYCINযুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে.
যেমন___TAB_zimax-250/500mg,azin-250/500mg
মাত্রা___প্রত্যহ 0+0+১ করে ৫দিন সেব্য।

৪।এন্টিবায়োটিক সেবনে পেটে গ্যাস হতে পারে,এ জন্য OMEPRAZOL  যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___CAP_seclo-10/20/40mg,ppi-10/20/40mg
মাত্রা___প্রত্যহ ১+0+১ করে ৫দিন সেব্য।

৫।নাক সর্দিতে বন্ধ হলে,XYLOMETAZOLIN যুক্ত ঔষধ ড্রপ আকারে ব্যাবহার করা যায়।
যেমন___DROP_rinozol-0.05/0.1%
মাত্রা___২/৩ ফোটা নাক দিয়ে টানতে হবে।

৬।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ANTIOXIDENT জাতীয় ভিটামিন খেলে ভালো উপকার হবে।
যেমন___renbo,antox,nox
মাত্রা___প্রত্যহ ০+০+১ করে ১মাস,আহারের পর।

পথ্যঃ
          #গরম ও উষ্ণ খাবার খাওয়া।
          #বেশী ঠান্ডায় চলা ফেরা না করা ।
         #খালি পায়ে ঠান্ডা মেঝেতে/মাটিতে চলাফেরা না করা।
         #অধিক বেশী বা ক্ষীণ আলো ব্যবহার না করা।

                 মনে রাখবে,সাইনুসাইটিস প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ করাই উত্তম।
সাইনুসাইটিস থেকে ভালো ভাবে বাচার জন্য একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সরনাপন্ন হতে হবে।কেননা,তিনি বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে ঔষধ দিবেন।

নাক দিয়ে রক্ত পড়া/EPISTAXIS


            আমদের মধ্যে যে কারোও প্রায়ই নাক দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়।এটি বিভিন্ন কারনে দেখা দিতে পারে।অল্প সময় পর পর  নাক দিয়ে রক্ত পড়ে,এবং তা ১-২ দিন অনবরত পড়তে থাকে।
এর উপযুক্ত কারন খুজে,চিকিৎসা করানো উচিৎ।এটি অনেক সময় জটিল কোন রোগ নির্দেশ করে,যেমন,রক্ত জমাট বাধার জটিলতার মত রোগ।

নাক দিয়ে রক্ত কেন ঝরেঃ
                               #জন্মগত কারনে যদি রক্ত জমাট বাধার ক্ষমতা কম থাকে।
                               #সানুসাইটিস,নাক দিয়ে অবিরাম পানি ঝরা,জ্বর আক্রান্ত শরীরে দেখা দিতে পারে
                               #নাকের ভিতর টিউমার বা ক্যান্সার থাকলে।
                              #বুক,মাথা বা নাকে আঘাত লাগলে।
                              #বেশী উচ্চ রক্তচাপ থাকলে।
                              #নাকের ভিতর ঘা/ইনফেকশন থাকলে,
চিকিৎসাঃ
১।অতিরিক্ত রক্ত ঝরতে থাকলে, INJ__HEMOLYSIN.  এর ১এম্পুল ভেংগে মুখে খাওয়ানো যেতে পারে।তাতেও কাজ না হলে শিরা পথে ইঞ্জেকশন করতে হয়।এ কাজের জন্য একজন বিশেষজ্ঞ দরকার।

২।রোগীকে পূর্ণ বিশ্রামে রেখে চিকিৎসা করতে হবে।
      প্রশান্তি আনয়নের জন্য DIAZEPAM যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB_sedil,seduxen
মাত্রা___প্রত্যহ ০+০+১,করে ১০-১৫দিন সেব্য।

৩।রক্ত জমাট বাধার ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য VITAMIN-K যুক্ত ঔষধ দেয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB_vitamin-k
মাত্রা___প্রত্যহ ০+০+১,করে ১০-১৫দিন সেব্য।

৪।নাকে ইনফেকশন/ক্ষত থাকলে AZITHROMYCIN যুক্ত ঔষধ দেয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB_zimax-250/500,azin-250/500mg(৮-১৬বছর পর্যন্ত ২৫০mg এবং ১৬বছরের  ঊরধ_৫০০mg)
মাত্রা___প্রত্যহ ০+০+১,করে ৫দিন সেব্য।

৫।শরীর দুর্বলতার জন্য MULTIVITAMIN যুক্ত ঔষধ দেয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB_bextram gold,nutrum gold,filwel gold(৫০বছর এর মধ্যে)
             or  TAB_bextram silver,nutrum silver,filwel silver(৫০বছর এর বেশি)
মাত্রা___প্রত্যহ ০+১+০,করে ৩০ দিন সেব্য।

পথ্যঃ
          #খেতে পারলে সব ধরনের খাবার খেতে পারবে।
          #যতটা সম্ভব ঠান্ডা থেকে দূরে থাকাই ভালো।

                   রোগীর জটিলতা বাড়তে থাকলে,দ্রুত নিকটস্থ সেবা কেন্দ্রে যেতে হবে।

মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৬

নাক দিয়ে পানি ঝড়া ও হাচি (HAY FEVER)


                       এটি এক রকম হটাত করেই হয়।এতে রোগী প্রচন্ড হাচি দিতে থাকে,রোগীর নাক বন্ধ হবার উপক্রম হয় এমনকি নাক দিয়ে টপটপ পানি ঝড়তে থাকে।সাধারনত ধুলা বালু,তুলার আশ,বাতাসে ভেসে বেড়ানো ধুলিকনা,ঘরে লুকিয়ে থাকা ময়লা এমনকি কোন খাবারের থেকে এলারজি জনিত কারেনে,এমনটি হয়।এতে রোগী অনবরত হাচি দিতে থাকে,যা খুবই বিরক্তকর।
এটি ন্যাজোফেরেঞ্জিয়াল মিউকসার একটি ভাইরাস জনিত সংক্রমন।
ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে এ রোগ বেশী দেখা দেয়।
তবে কারো ধুলা কিংবা খাবারে এলারজী থাকলে,তার এ রোগ বেশী হয়,এমনকি সারাবছরই এ রোগের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

লক্ষনঃ
           #চোখ-মুখ ফোলা ফোলা থাকে।
          #চোখের সাদা অংশ লাল হয়ে যায়।
          #চোখ চুলকায় এবং নাকের মধ্যে শির শির করে।
          #নাক দিয়ে পানি পড়ার সাথে সাথে নাক বন্ধ হবার উপক্রম হয়।
         #ঘন ঘন হাচি আসে।
         #শরীরে তেমন একটা জ্বর থাকেনা,থাকলেও সামান্য।
        #মাথা ভার ভার বোধ কিংবা ব্যাথা হতে পারে।
চিকিৎসাঃ
১।হাচি বা নাকে পানি পড়া বন্ধের জন্য CHLORPHENERAMINE MALEATE যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB_histacin,cinamin,histalex
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ ভরা পেটে,৩ থেকে ৭ দিন।
               or   SYP_histacin,histalex,cinamin
মাত্রা___প্রত্যহ ১-২ চা চামচ ৫-৭ দিন।বয়সভেদে মাত্রার তারতম্য হবে।
                  অথবা,
                             PROMETHAZINE HCL যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB_phenergan-10,otocil-10
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১
               or SYP_phenergan,phenerex,methazene
মাত্রা___প্রত্যহ ১ থেকে ২ চা চামচ ৫-৭ দিন সেব্য।বয়সভেদে মাত্রার তারতম্য হবে।
                 অথবা,
                      CITIRIZINE   যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে,
যেমন___TAB_cetizin,atrizin,alatrol
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ ভরা পেটে ৩-৭ দিন
              or SYP_cetizin,atrizin,alatrol
মাত্রা___প্রত্যহ ১ থেকে ২ চা চামচ ৫-৭ দিন সেব্য।বয়সভেদে মাত্রার তারতম্য হবে।
                অথবা,
                          LORATIDINE  যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে,
যেমন___TAB_oradin,orin,loratin
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ ভরা পেটে ৩-৭ দিন
                or SYP_oradin,orin,loratin
মাত্রা___প্রত্যহ ১ থেকে ২ চা চামচ ৫-৭ দিন সেব্য।বয়সভেদে মাত্রার তারতম্য হবে।

২।শরীরে ব্যাথা কিংবা গলা ব্যাথা কিংবা জ্বর থাকলে PARACITAMOL যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB_ace-500,napa-500,fast-500
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ বা ১+১+১ ভরা পেটে ৩-৭ দিন
                  or SYP_ace,napa,fast
মাত্রা___প্রত্যহ ১ থেকে ২ চা চামচ ৫-৭ দিন সেব্য।বয়সভেদে মাত্রার তারতম্য হবে।
                অথবা,
                         মাথা ব্যাথা বেশী হলে,PARACITAMOL+CAFFEIN  যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB_napa extra,ace plus,fast plus
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ বা ১+১+১ ভরা পেটে

৩।শরীরে দুর্বলতা থাকলে VITAMINE B যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB_v-plex,b-50 fort
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ বা ১+১+১ ভরা পেটে ১৫ দিন।
                    or SYP_v-plex,b-50 fort
মাত্রা___প্রত্যহ ১ থেকে ২ চা চামচ ১৫ দিন সেব্য।বয়সভেদে মাত্রার তারতম্য হবে।

পথ্যঃ
        #গরম ও উঞ্চ তরল খাবার  বা পানিয় গ্রহন করা।
        #এলারজি যুক্ত খাবার পরিহার করা।

বিধি-নিষেধঃ
        #ঠান্ডা বাতাসে চলাফেরা না করা।
       #নাকে ধুলা বালু রোধী মাস্ক ব্যবহার করা।
       #বন্ধ নাকের জন্য লবন পানি ব্যবহার করা, এক কাপ হালকা গরম পানিতে ২/৩ চিমটি লবন ফেলে,এ লবন যুক্ত হালকা গরম পানি নাকে টেনে টেনে নাক পরিস্কার করা।এতে ভাল ফলাফল পাওয়া যায়।
      #গলা ব্যাথা থাকলে,হালকা গরম পানিতে গরগরা করা।

এরপরও আশানুরুপ ফল না মিললে দ্রুত নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যেতে হবে

সর্দি জ্বর(COMMON COLD)

                            সর্দি ঊর্ধ্বশ্বাসনালীর একটি ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া জনিত সংক্রমন।এটি সাধারনত পথের ধূলা বালি,গুমোট আবহাওয়া,পানির পরিবর্তন,এলারজেন এর কারনে হতে পারে।ভাইরাসের উপর দ্রুত কাজসম্পন্ন ঔষুধ নেই বললেই চলে।তবে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমন প্রতিরোধ করা যায়।
সর্দি জ্বর বা কাশি সাধারনত  ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হয়।
কিছু সাধারন নিয়ম কানুন মেনে চললে এবং সঠিক চিকিৎসা প্রয়োগে,এ সমস্যার পরিত্রান পাওা যায়।
তাছাড়া জ্বরের সাথে সর্দি ঊরধশ্বাসনালীর জটিল রোগের লক্ষনও হতে পারে।তাই সর্দি জ্বরকে একটুও অবহেলা করা যাবে না।
লক্ষনঃ
            #নাক দিয়ে অকারনে পানি পড়া।
           #নাক ও চোখ শির শির করা।
          #হালকা মাথা ব্যাথা কিংবা ভারী মনে হতে পারে।
         #কপালে হালকা বা চিনচিন টাটানো।
        #নাক চুলকায়।শুকনো কাশি দেখা দেয়া।
       #হালকা জ্বর ও নাক বন্ধ হবার উপক্রম হয়।
      #গলায় হালকা ব্যাথা থাকতে পারে।
     #শরীরের তাপমাত্রা ১০০ ডীগ্রী হতে পারে।
চিকিৎসাঃ
১।নাক দিয়ে পানি পড়া কিংবা শির শির করা বন্ধের জন্য CLORPHENIRAMIN MALEATE  যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___বাজারে প্রচলিত কিছু ঔষধ>>>TAB__piriton,histacin,histalex,cinamin.
মাত্রা___প্রত্যহ  ১+০+১(ভরা পেটে) ৩ থেকে ৭ দিন।
              or SYP_piriton,histacin,histalex,cinamin.
মাত্রা___প্রত্যহ ১-২ চা চামচ ২বেলা সেব্য,৩-৭ দিন।বয়স ভেদে মাত্রা তারতম্য হবে।
                 অথবা,
                            CETRIZINE HCL যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB__alatrol,cetrizen,atrizin.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১(ভরা পেটে) ৩ থেকে ৭ দিন।
                   or SYP_alatrol,cetrizen,atrizin.
মাত্রা___প্রত্যহ ১-২ চা চামচ ২বেলা সেব্য,৩-৭ দিন।বয়স ভেদে মাত্রা তারতম্য হবে।
                 অথবা,
                            LORATADINE যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB__orin,oradin,lotadin
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১(ভরা পেটে) ৩ থেকে ৭ দিন পর্যন্ত।
                 or SYP_orin,oradin,lotadin
মাত্রা___প্রত্যহ ১-২ চা চামচ ২বেলা সেব্য,৩-৭ দিন।বয়স ভেদে মাত্রা তারতম্য হবে।

২।গায়ে জ্বর বা মাথা ব্যাথা থাকলে PARACITAMOL যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB__napa-500,ace-500,reset-500,fast-500
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ বা ১+১+১ (ভরা পেটে) জ্বর বা মাথা ব্যাথা থাকা পর্যন্ত।
                  or SYP_napa,ace,reset,fast
মাত্রা___প্রত্যহ ১-২ চা চামচ ২বেলা সেব্য,৩-৭ দিন।বয়স ভেদে মাত্রা তারতম্য হবে।
                   অথবা,
                             জ্বরের সাথে মাথা ব্যাথা বেশি থাকলে PARACITAMOL+CAFFEIN যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB__napa extra,ace plus,fast plus
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ বা ১+১+১ মাথা ব্যাথা থাকা পর্যন্ত।

৩।শরীর দুর্বল মনে হলে  VITAMINE-B  যুক্ত ঔষধ খাওয়া যেতে পারে।
যেমন___TAB__v-plex,albevit,
               or CAP__b-50 fort.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ বা ১+১+১, ভরা পেটে,১৫ দিন।
                 or SYP_v-plex,albevit,b-50 fort.
মাত্রা___প্রত্যহ ১-২ চা চামচ ২বেলা সেব্য,১৫ দিন।বয়স ভেদে মাত্রা তারতম্য হবে।

পথ্যঃ
          @স্বাভাবিক সব রকম খাবার খাবে।
          @খুব ঠান্ডা পানি বা পানীয় খাবে না।
          @হালকা গরম পানি ব্যাবহার করলে আরাম পাবে।
          @বেশি ঠান্ডায় বাহিরে বের হবে না।

এরপরও যদি সর্দি বা জ্বর না থামে,তাহলে দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে যেতে হবে।

রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১৬

ঔষধের শ্রেনী বিভাগ বা নির্দেশিকা/THERAPEUTIC INDEX (CLASS WISE)


                 
               বাজারে প্রচলিত কিছু ঔষধের বৈজ্ঞানিক নামনুসারে,এবং মানবদেহের বিভিন্ন রোগের শ্রেনী অনুযায়ি নিচের ইনডেক্সটি সাজানোর চেস্টা করেছি।এতে খুব সহজে অসুখের ধরন অনুযায়ি প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য,প্রয়োজনীয় ঔষধটি খুজে পাবেন।
আশাকরি খুবই উপকৃত হবেন......।।

                                  GASTRO INTESTINAL SYSTEM
@ ANTACIDS
@ANTIULCERENT>> 1.H2 RECEPTER BLOCKERS>ranitidine,famotidine
                                      2.PROTOB PUMP INHIBITORS>omiprazol,lansoprazol,esomeprazol
@GASTROPROKINETIC AND ANTIEMETIC>>>>>domperidon
@ANTISPASMODICS>>>>drotaverin hcl,tiemonium methaylsulphate
@LAXATIVES>>>>>milk of  magneshia
@ANTIDIARRHEAL>>>loperamidmide hcl


                              ENDOCRINE SYSTEM(ANTIDIABETICS & STEROID)
@SULPHONYLUREA>>>>>gliclazide,glibenclamide,glimepiride
@BIGUANIDE>>>>>metformin hcl
@SWEETENERS>>>>asprtame,sucralose
@STEROID>>>>>>dexamethasone


                                                    NUTRITION AND BLOOD
@VITAMINS>>>>>>thiamine hcl,vitamine b complex,ascorbic acid,vitamine                                                                          e,mecobalamin,vitamine(b1+b6+b12),
@MINERAL>>>>>>>elemental zinc,zinc
@ELECTROLYTE>>>>>>>>potassium cloride
@ANTIOXIDENT>>>>>>>>beta carotine+vitamine c+vitamine e,antioxidant vitamin+minerals

@BONE HEALTH REGULATORS>>>>>>elemental calcium,calcium+vitamine d3
@VITAMINE&MINERALS>>>>>>>>zinc+vitamine b complex
@MULTIVITAMINE & MULTIMINERALS>>>>multivitamine+multiminerals,iron polymaltose                                                                                         complex+vitamine b+zinc
@HEMATINIC>>>>>>ferrous sulfate,folic acid,zuinc sulfate


                                     CARDIOVASCULAR SYSTEM
@CALCIUM CHANNEL BLOCKERS>>>>>>>amlodipine besylate,nifedipine
@BETA_RECEPTOR BLOCKERS>>>>>>atenolol,
@CALCIUM CHANNEL BLOKER & BETA_RECEPTOR                                         BLOCKER>>>>>>>amlodipine+atenolol
@ANGIOTENSIN 11RECEPTOR ANTOGONIST(ARBs)>>>>losartan potassium
@ARBs & DIURETIC>>>>>>losertan potassium+hydroclorothiazide
@DIURETIC>>>>>>>>spironolacton+furosemide
@ANTIPLATELETS>>>>>>>>aspirin,aspirin+clopidogrel,clopidogrel
@ANTIANGINAL>>>>>>>>isosorbide mononitrate,nitroglycerin
@ANTIHYPERLIPIDEMIC>>>>>simvastatin,atorvastatin



                                                                   SKIN
@ANTIFUNGUL>>>>>>>>clotrimazole,tioconazole
@IMMUNOSUPPRESSANT>>>>>>>>>>tacrolimus
@SCABICIDAL>>>>>>>>permethrin
@ANTIBACTERIAL & ANTI INFLAMMATORY>>>>>neomycin                                                                                                 sulfate+betamethasone,neomycine sulfat+bacitracin
@ANTIACNE>>>>>>>azilaic acid


                                                               INFECTION
@PENICILLINS>>>>>.amoxaciline,flucloxaciline,cloxaciline,ampicilline,procaine                                                   penicilline+benzyl penicillini sodium
@CEFALOSPORINS>>>>>cefalezin,cefradine.cefadroxil                                                                                             monohydrate,cefuroxim,cefixime,ceftriaxon,ceftazidime,cefotaxime sodium
@QUINOLONE AND FLUOROQUINOLONES>>>>.nalidixic                                                                                   acid,ciprofloxacin,levofloxacin,gatifloxacin,sparfloxacin
@MACROLIDES>>>>>>azithromycin,erythromycin,clarythromucin
@TETRACYCLINES>>>>tetracycline hcl,doxycycline hcl,oxytetracyclines
@CO_TRYMOXAZOL>>>salfamethoxazol+trimethoprim
@ANTYFUNGUL>>>>>>nystatin,fluconazole
@ANTIPARASITE>1.ANTIPROTPZOAL>>>metronidazole,secnidazole
                                  2.ANTIHELMINTIC>>>>albendazole,levamisol hcl


                                                       ANTIFIBRINOLYTIC
      
>>>>>>TRANEXAMIC ACID


                                                        EYE,NOSE & EAR
@EYE DROP>>>>>>>DROP__tetracyclin hcl,cloramphenicol,ciprofloxacin,moxifloxacin,
@NASAL DECONGESTANT>>>>>>DROP__xylometazoline hcl


                                              CENTRAL NERVOUS SYSTEM
@ANXIOLYTIC>>>>>>>>clobazam,bromazipam
@ANTIDEPRESSANTS & ANTIPSYCHOTIC>>>>>nortriptyline+fluphenazine                                                                            hcl,flupentixol+melitracen
@ANTIEPILECTC>>>>>>>>clonazepam
@HYPNOTIC & ANXIOLYTIC>>>>>eszopiclon,midazolam
@ANTIMIGRAINE>>>>>>>>pizotifen,rizatriptan
@ANTIEMETIC & ANTIVERTIGO>>>>>cinnarzine


                                               RESPIRATORY SYSTEM
@ANTIASTHMATICS>>>1.TABLET & SYRUP>>>>>>>                                                                                                     salmolin,bumbuterol,theophylline,montelucast
                                           2.INHALER>>>>salbutamol,salmeterol+fluticason
@ANTIHISTAMINE>>>>>ketotifen,loratadine,cetrizine hcl,chloropheniramine                                                                      meleate,diphenhydramine hcl
@COUGH SYRUP>>>>>bromhexine hcl,ambroxol hcl


                                        MUSCULOSKELETAL & JOINT DISEASE
@NON STERODAL ANTI INFLAMMATORY DRUGS>>>>>>>diclofenac sodium,diclofenac                                potassium,aceclofenac,aspirin,indomethacin,naproxen,ketoprofen,ibuprofen,ketorolac                         tromethamine
@ANALGESIC & ANTIPYRETIC>>>>>>paracitamol,paracitamol+caffeine
@OPIOID ANALGESIC>>>>>>>nalbuphine hcltramadol hcl
@MUSCLE RELAXANT>>>>>>tolperison hcl
@ANTIOSTEOARTHRITIS>>>>glocosamine hcl+chondroitin sulfate

                                                    সূত্র__ACMES THERAPEUTIC

শনিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০১৬

ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষায় করণীয়


           ""সুস্বাস্থ্যই সুখের ভিত""
                                এ বাক্যের নিগুড় কথা সেই ব্যক্তিই জানেন,যার আছে সুস্বাস্থ্য।
আর একজন স্বাস্থ্যহীন ব্যক্তি যখন বুঝেছেন,তখন তার অনেক দেরি হয়ে গেছে।কেননা ততক্ষনে স্বাস্থ্যহীন লোকটির তার দেহকে সুস্থ্য ও সবল করে তোলা খুবই কস্টসাধ্য ব্যপার হয়ে দাড়ায়।প্রায়ই সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।
                               কাজেই সুস্বাস্থ্য অটুট রাখতে নিজের দেহের যত্ন নেওয়া অতীব জরুরি।
শরীর স্বাস্থ্যবান,সুস্থ্য ও সবল রাখার নিয়মকানুন সঠিকভাবে মেনে চললে স্বাস্থ্যহানী হওয়ার বা রোগাক্রান্ত হয়ার আশঙ্কা থাকে না।
            নিম্নলিখিত স্বাস্থ্যনীতি সকলেরই মেনে চলা উচিতঃ
@শারীরিক পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা।
@পোশাক পরিপাটি ও পরিচ্ছন্ন রাখা।
@বাসস্থান পরিচ্ছন্ন রাখা।
@টাটকা সবজি ও বাসি,পচা খাবার পরিহার করা।
@পানীয় জল বিশুদ্ধ করে পান করা।
@বিশ্রাম ও নিদ্রা ভারসাম্যপূর্ণ রাখা।
@অতিরিক্ত নিদ্রা/অনিদ্রা দুই ই ক্ষতিকর,বাজে অভ্যাস ত্যাগ করা।
@মানুষিকভাবে চাংগা থাকতে আমোদ_প্রোমদের ব্যাবস্থা থাকা চাই।
@সুস্থ্যতার জন্য ব্যায়ামের বিকল্প নেই।
@কু_অভ্যাস থাকলে ত্যাগ করা।
@পুস্টিকর খাবার গ্রহন করা।

               >>>>>>>>>ধুমপানের অভ্যাস না করা,এল্কোহোল পান না করা<<<<<<<<<<<

অগ্রাধিকার চিকিৎসা সেবা সমূহ


বাংলাদেশে  PRIMARY HEALTH CARE এর ক্ষেত্রে যে বিষয় সমুহকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়
  
@স্বাস্থ্য বিষয়ে শিক্ষা।
@সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সামাজিক সংগঠন।
@মা_বাবার সেবা করা।
@মা ও শিশু স্বাস্থ্য।
@পরিবার পরিকল্পনা।
@টিকাদান কর্মসূচী।
@ডায়রিয়া ও কলেরা নিয়ন্ত্রন।
@ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রন।
@কালাজ্বর ও যক্ষা নিয়ন্ত্রন।
@কুশঠ রোগ নিয়ন্ত্রন।
@গলগন্ড ও রক্তস্বল্পতা নিয়ন্ত্রন।
@কৃমি নিয়ন্ত্রন।
@এ আর আই কার্যক্রম পরিচালনা বা শ্বাসতন্ত্র সংক্রমন নিয়ন্ত্রন।
@সেবা দানকারী প্রতিস্টানের ল্যাবরেটরী কার্যক্রম তদারকি করা বা জোরদার করা।
@সাধারন রোগ বা দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্থদের চিকিৎসা করা।
@নিরাপদ পানি এবং পয়ঃনিস্কাশনের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
@জন্ম ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান হিসেব রাখা।
@বিভিন্ন রোগতত্বের পর্যবেক্ষণ করা।
@জীবন রক্ষাকারী প্রয়োজনীয় ঔষধ সরবরাহ করা।

                                বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি সরকারি/বেসরকারী সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠানই PRIMARY HEALTH CARE  এর ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলি লক্ষ্য রেখেই কাজ করে।

প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা


               বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং ইউনিসেফ (UNICEF) এর ভূয়সী উদ্দোগের ফলে চিকিৎসা সেবা আজ প্রায় সব দেশে,সবার দুয়ারে দুয়ারে।এই দুই সংগঠনের মুল উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে,প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যায় (primary healt care) উন্নত দেশগুলোর সাথে সাথে নিম্নউন্নত দেশগুলোকেও নিশ্চিত করা।
সবার জন্য স্বাস্থ্য _এ অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছতে সংগঠন দুইটি অঙ্গীকারবদ্ধ।ইতিমধ্যে বিশ্বের প্রায় সব দেশই প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা যথাযথ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এ অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌছে গেছে।
            এ মুহূর্তে বাংলাদেশের জন্য প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা  কার্যক্রমকে যথাযথ প্রয়োগের মাধ্যমে সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিত করা জাতীয় স্বার্থে অতীব প্রয়োজনীয় ও অত্যাবশ্যকীয়।

               ""প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা হচ্ছে অত্যন্ত অত্যাবশ্যকীয় ,যা,বিজ্ঞানভিত্তিক  পদ্ধতি এবং যা  প্রযুক্তিতে এবং সামাজিকভাবে গ্রহনযোগ্য,এবং তাতে সকল মানুষের সার্বজনীন অধীকার ও স্বতঃস্ফফুর্ত অংশগ্রহন রয়েছে।""

                  এটি কয়েকটি উপাদানের উপর নির্ভরশীল.........
         @ স্বাস্থ্য শিক্ষা  এবং খাদ্য ও পুষ্টি                   @নিরাপদ পানি
         @ মৌলিক পরিচ্ছন্নতা ও পয়ঃনিষ্কাশন        @মা ও শিশু স্বাস্থ্য
         @পরিবার পরিকল্পনা                                    @টিকাদান কর্মসূচী
         @স্থানীয় ও সাধারন রোগের নিয়ন্ত্রন ও প্রতিরোধ
         @ক্ষত কিংবা আঘাতের চিকিৎসা করা   এবং
         @ জরুরী ঔষধের পর্যাপ্ত সরবারহ করা

উন্নত দেশগুলোর সাথে তালমিলিয়ে,আজ বাংলাদেশও দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেছে।
তাই আজ বাংলাদেশের কোন শিশুই ধনুষ্টঙ্কার কিংবা পোলিও রোগে মারা যায় না।যক্ষা এখন আমাদের জন্য কোন দুরারোগ্য রোগ নয়।বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যন্ত অঞ্চলেও সরকারি ভাবে যক্ষার চিকিৎসা করা হয়।

ইসলামের আদর্শে স্বাস্থ্য সুরক্ষা

     মহান আল্লাহর একটি অন্যতম নিয়ামত হচ্ছে স্বাস্থ্য।আর এই স্বাস্থ্যকে সুরক্ষার জন্য মহানবী(সাঃ) বলেন,"তোমরা অসুখের চিকিৎসা কর, যে প্রভু রোগ পাঠিয়েছেন তিনি ঔষধও পাঠিয়েছেন,এবং তার মধ্যে রোগের নিরাময় রেখেছেন"।
                                   রোগ প্রতিরোধ এবং নিরাময়ের ক্ষেত্রে ইসলামী পদ্ধতিই শ্রেস্ট
@ পরিচ্ছন্নতায় অযু ও গোছলের কোন বিকল্প নেই।এতে রোগ বালাই দূরে থাকে।

@ দাঁতের সুরক্ষায় মেসওয়াক।মেসওয়াক না করলে দাঁত ও মাড়ি দুর্বল হয়ে যায়,এবং মুখের নানাবিধ
     রোগ হয়।তাছাড়া মূখে দুর্গন্ধ ছোড়ায়।মুখগহ্বর নোংরা থাকলে,মুখের মধ্যে ক্যান্সার সহ নানাবিধ রোগ হতে পারে।

                   রোগ নিরাময়ে নামাজ
                                            মহানবি (সাঃ) এরশাদ করেন "নিশ্চয় নামাযে শেফা রয়েছে"।মানুষ আজ জীবিকার তাগিদে সদা ব্যাস্ত।স্বাস্থ্য সচেতনতা আজ শুন্যের কোঠায়।খাবার দাবারে একদমই খেয়াল নেই।আর এই প্রান রক্ষাকারী খাবার ই হয়ে উঠেছে যেন যমদূত।
 যেমন...রক্তে কলেস্টরেলের মাত্রা বেড়ে গিয়ে উচ্চরক্ত চাপ,স্থুলতা,হদরোগ,লিভার রোগ,বাত রোগ সহ নানান রোকম দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়।
আর কলেস্টরেল সহ স্থুলতা কমাতে দরকার ব্যায়াম।আর আমরা যদি নামায যথাযথ ভাবে আদায় করি,তাহলে এই ব্যায়ামের কাজটি হয়ে যায়।
                  সুতরাং,রোগ নিরাময়ে নামাজের কোণ বিকল্প নেই।
                        খাবার সময় পরিমিত আহার গ্রহনব করা
                                                ইসলামের প্রতাপশালী খলীফা হযরত ওমর (রাঃ) বলেন "বেশী পানাহার থেকে বেচে থাক,কারন অধিক পানাহার দেহকে নস্ট করে"।
অধিক পানাহার দেহে নানা রকম রোগ বালাই এর জন্ম দেয়।এবং অলসতার জন্মদাতা।
                  তিনি আরও বলেন,আল্লাহ স্থুলদেহী আলেম কে বেশী পছন্দ করেন না।
  তাছাড়াও, চিকিৎসা বিজ্ঞান দেহের ওজন স্বাভাবিক রাখতে বলে।কেননা স্থুল ব্যাক্তি খুবই অলস হয়।আর স্থুলদেহে নানা রকম রোগ বাসা বাধে।
                          মধুর মধ্যে মানুষের শেফা রয়েছে
                                              সুরা নাহালের ৪৯তম আয়াতে আল্লাহ বলেন,"মধুর মধ্যে মানুষের শেফা রয়েছে"।মধু শেফা দানকারী।মধু খেলে কঠিন রোগ দূর হয়।
                        কালোজিরা মরন ব্যাতিত সকল রোগের মহা ঔষধ
                                             হযরত আবু সালামাহ (রাঃ) আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন,"তোমরা কালোজিরা ব্যবহার করবে,কেননা এতে, একমাত্র মরন ব্যাতিত সকল রোগের শেফা রয়েছে" ............(বোখারি ও মুসলিম)
                        সুরমা চোখের জ্যোতি বাড়ায়
                                             হযরত জাবের ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) বলেন,আমি রাসুল (সাঃ) কে বলতে শুনেছি যে,ঘুমোনর আগে অবশ্যই চোখে সুরমা লাগিও,কেননা সুরমা দ্রিস্টিশক্তি প্রখর করে।
                         খাত্না বহুরোগের প্রতিরোধ করে
                                              প্রুষের খাত্না করা গুরুত্বপূর্ণ।এটা সুন্নত।
খাত্না না করলে পুরুষের নানা রকম দুরারোগ্য ব্যাধি হতে পারে।
যেমন......... মুত্রতন্ত্রের সংক্রমন,জননতন্ত্রের সংক্রমন,এমনকি নানা রকম যৌন ব্যাধিও হতে পারে।
তাছাড়া,...চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বলেন,খাত্না না করলে পুরুষাঙ্গে ক্যান্সারও হতে পারে।

                          সুতরাং,এ কথা চোখ বুজে বলা যায় যে,ইসলামের আদর্শে জীবন গড়লে স্বাস্থ্য সুরক্ষার ব্যাপারে নিশ্চিত থাকা যায়।

রবিবার, ২৭ নভেম্বর, ২০১৬

আমার কিছু কথা..................

প্রানী জগতের সুচনালগ্ন থেকে,প্রানীর শরীরের সুক্ষতিসুক্ষ কোষের জটিল থেকে জটিলতর গ্রন্থি উন্মচন করতে বিজ্ঞানীরা সদা ব্যাস্ত। বিজ্ঞানের নব নব উদ্দাবন থেকে মানুষ পেয়েছে নতুন মাত্রা।সৃষ্টির উদ্দিপনায় মানুষের কোন বাধাই আর বাধা থাকছে না। সমস্টিগত উৎকর্ষতার আজ নতুন নতুন প্রচেস্টা।
          প্রানীদেহ এক বিচিত্র রহস্যে ঘেরা। তেমনি মানুষের শরীরও রহস্যময়।এই রহস্য উদ্দাবনের জন্য আদিকাল থেকেই মানুষের প্রচেস্টা অব্যাহত।
         উন্নত বিশ্বের সাথে সমানতালে বাংলাদেশের চিকিৎসাবিজ্ঞান আজ উন্নতির চরম চূড়ায় পৌছেছে। মানুষের উন্নতির সাথে সাথে চিকিৎসা সেবে আজ প্রায় সবার দুয়ারে দুয়ারে।
        আর ইন্টারনেটের এ যুগে বিশ্ব আজ হাতের মুঠোয়।
         তাই চিকিৎসাসেবা আরও সহযতর করতে আমার এই ভিন্ন প্রচেস্টা।
কেননা জীবনের প্রয়োজনে মানুষ আজ অলটাইম দৌড়ের উপর। নিজের স্বাস্থ্য সচেতনা যেন শূন্যের কোঠায়।কর্ম পাগল মানুষগুলো প্রয়োজনের ক্ষেত্রেও ডাক্তারের কাছে যেতেই চায় না।
       আর এই সব কর্মব্যস্ত মানুষের কথা মাথায় রেখে,আমি ডাঃ লিংকন এনেছি অনলাইন ভিত্তিক ওয়েব সাইট  LINKONDOCTOR.BLOGSPOT.COM
       আশাকরি এতে সবাই উপকৃতি হবেন।
       এই সাইট দিয়ে সবাই ঘরে বসে খুব সহজেই নিজের রোগ ও রোগস্বলিত বিষয় বুঝতে পারবেন।
আর প্রাইমারী চিকিৎসা সেবা নিয়ে সুস্থ্য থাকুন।

                                                                      ধন্যবাদন্তে>>> ডাঃনাজমুল ইসলাম (লিংকন)।

ভিটামিন ই/VITAMIN E

প্রাথমিক ধারনাঃ ভিটামিন ই ট্যাবলেটে আছে সিনথেটিক ভিটামিন ই। এর সম্পূর্ণ কার্যকারিতা এখনও অজানা।তবে একথা প্রমানিত যে,ভিটামিন ই এন্টিঅক্সিড...