সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৭

কোমল পানীয় পান ক্যান্সারের কারন।



                   কোমল পানীয়,আমাদের মাঝে কার অপছন্দের?
আমরা সবাই, এক অদ্ভুদ তৃষ্ণা নিয়ে এটা পান করি।এ যেন স্বারাব পানের মত ব্যাপার।এটা পানের জন্য আমাদের মস্তিস্কে আস্বাভাবিক এক নেশা ছড়িয়ে দেয়।
যদিও এটা কোন মাদক নয়।কিন্তু এর ভয়াবহতা মাদকের চেয়েও কম নয়।

                  বর্তমানে অনেকে আবার এটাকে রুটিনমাফিক প্রতিদিন ১/২ টা করে পান করে থাকেন।যারা এই কোমল পানীয় প্রত্যহ পান করছেন,তাদের সতর্ক হওয়া জরুরী।কেননা এই কোমল পানীয় আসলেই কোমল কিনা,তা নিয়ে বিস্তর গবেষনা হয়েছে বা এখনও হচ্ছে।

                 সম্প্রতি সুইডিশ বিজ্ঞানীরা বলেছেন,কোমল পানীয় আসলে কোমল নয়।প্রতিদিন একটি কোমল পানীয় পানে মূত্রথপলিতে ক্যান্সারের ঝুকি প্রায় ৪০শতাংশ বৃদ্ধি পায়।১৫বছর ধরে গবেষনার পর বিজ্ঞানীরা বলেন,যারা প্রতিদিন ৩০০মিলিলিটার কোমল পানিয় পান করেন,অন্য মানুষের চেয়ে তাদের মুত্রথলিতে ক্যান্সার হওয়ার আশংকা ৪০শতাংশ বেশি।তারা প্রায় ৪৫-৭৬বছর বয়সি ৮হাজার সুস্থ্য মানুষের উপর ১৫বছর ধরে গবেষনা চালান।

                  পরীক্ষা চলাকালীন সময় তাদের খাদ্যাভ্যাস পর্যবেক্ষণ করা হয়।গবেষনা শেষে যাদের মূত্রথলিতে ক্যান্সার হয়েছে তাদের খাদ্যাভাসের সংগে সুস্থ্য মানুষের খাদ্যাভ্যাস মিলিয়ে দেখেন।
এতে দেখা গেছে,যারা কোমল পানীয় পান করেননি,তাদের চেয়ে যারা কমল পানীয় পান করেছেন তাদের মূত্রথলিতে ক্যান্সারের হওয়ার হার ৪০শতাংশ বেশি।
এই গবেষনায় প্রাপ্ত ফল প্রকাশের পর,তারা এও বলেন,কোমল পানীয় পানের সঙ্গে মূত্রথলির ক্যান্সারের কি সম্পর্ক রয়েছে,এ বিষয়ে আরও গবেষনা প্রয়োজন।

                  গবেষনায় মূত্রথলির ক্যান্সারের সঙ্গে জুস,ডায়েট ড্রিঙ্কস,চা এবং কফির কোন সম্পর্ক খুজে পাননি বিজ্ঞানীরা।শুধুমাত্র কোমল পানীয়র সম্পর্কই পাওয়া গেছে।

                 সুতরাং এ কথা বলা যায় যে,যারা নিয়মিত কোমল পানীয় পানে বেশি আসক্ত,তারা আজ থেকেই সাবধান হয়ে যান।আমাদের বাজারে বিভিন্ন নামে কোমল পানীয় পাওয়া যায়।
তাই নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে চাইলে,আজ থেকেই কমল পানীয়কে দূরে ঠেলুন।

                                                                                                  সূত্র>>>>হেলথ ডেস্ক।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ভিটামিন ই/VITAMIN E

প্রাথমিক ধারনাঃ ভিটামিন ই ট্যাবলেটে আছে সিনথেটিক ভিটামিন ই। এর সম্পূর্ণ কার্যকারিতা এখনও অজানা।তবে একথা প্রমানিত যে,ভিটামিন ই এন্টিঅক্সিড...