রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০১৭

অসুস্থতায় রয়েছে সৃষ্টিকর্তার প্রভুত কল্যান।


               শারীরিক সুস্থ্যতা সৃষ্টিকর্তার এক বৃহৎ নেয়ামত।মানুষ মাত্রই সুস্থ্য থাকতে চাই। সবল বা যৌবনদীপ্ত থাকতে ভালোবাসে।সুস্থাতার জীবনতরী চালাতে চায়।কেউ অসুস্থ্য হতে চায় না।শরীরের রোগব্যধি বা কোন প্রকার ক্ষত পছন্দ করে না। মুমূরষ হতে না হতেই হা-হুতাশ আরম্ভ করে দেয়।অনেকে আবার আক্ষেপের সাথে নানা রকম মন্দ কথা বলা শুরু করে দেয়,যা একদমই অনুচিত।

             সুস্থ্যতা যেমন আল্লাহর নেয়ামত,তেমনি অসুস্থ্যতাও আল্লাহর নেয়ামত।আল্লাহ যাকে পছন্দ করেন,তাকেই রোগ ব্যাধি বা কস্ট দুঃখ দেন।রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছেন অনেক নবি-রাসুল ,সাহাবি,বুজুরগ ও আল্লাহর ভালোবাসার ব্যক্তিরা।
বিশেষ করে আইয়ুব (আঃ) এর কথা উল্লেখযোগ্য।

              সৃষ্টি জগতে আল্লাহর সবচেয়ে বেশি পছন্দের,হলে মহানবী (সাঃ)।তিনি আল্লাহর বন্ধু।আল্লাহ তায়ালা তাকেও রোগ ব্যধি দিয়েছেন।কস্টে ফেলেছেন।আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,_- আমি রাসুল (সাঃ) এর চেয়ে আর কাউকে বেশি রোগ যন্ত্রনা ভোগ করতে দেখিনি।_-(বোখারিঃ৫৬৪৬)

              অসুস্থ্যতা প্রভুর দয়া। তাঁর পক্ষ হতে বান্দার উপর প্রদত্ত রহমত।তিনি বান্দার কল্যানারথে,অসুস্থ্য করেন।বান্দার ভরপুর কামিয়াবি দান করতে ব্যধিগ্রস্থ করেন।অসুস্থ্যতা হা-হুতাশ বা নিরাশের বিষয় নয়।অসুস্থ্যতা শুকরিয়া আদায়ের জায়গা।
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত _-রাসুল (সাঃ) বলেন,আল্লাহ যে ব্যক্তির কল্যান কামোনা করেন,তিনি তাকে দুঃখ কস্টে পতিত করেন।_-(বোখারিঃ৫৬৪৫)

              মানুষ বিভিন্ন পাপাচারে লিপ্ত হয়ে গোনাহ করে।গোনাহ করা মানুষের স্বভাব।গোনাহ বা পাপ করলে আল্লাহ নারায হন।যার দরুন পরকালে অশান্তিতে থাকতে হয়।
অসুস্থ্যতা গোনাহ মাপের সহায়ক।অসুস্থ্য থাকলে পাপ মাফ হয়।কলব পরিস্কার হয়,পাপ ক্ষয় হয়।
নবী (সাঃ) এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত --রাসুল (সাঃ) বলেন,মুসলিম ব্যাক্তির উপর যে সব বিপদ-আপদ আসে,এর দ্বারা অল্লাহ বান্দার পাপ মচন করেন,এমনকি যে কাটা তাঁর শরীরে ফুটে,তার থেকেও পাপ মোচন হয়।_-(বোখারিঃ৫৬৪০)

               আল্লাহ সুমহান,অতি দয়ালু।বান্দার শরীরের বিন্দু কাটার আঘাতেও আল্লাহ গোনাহ মাফ করেন।অসুস্থ্যতায় পাপ ক্ষয় হয়,গোনাহ দূর হয়,এটা চিরন্তন সত্য।
রোগ ব্যধি,দুঃখ কস্টের দ্বারা বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।প্রভুর নৈকট্য অর্জন হয়।
পাতা যেমন ঝরে বৃক্ষ থেকে,অসুস্থ্য বান্দার গোনাহ সে ভাবে ঝরে যায়।বান্দা তখন পাক পবিত্র হয়ে যায়।

                 অসুস্থ্যতা,হতাশা বা দুরাশার কারন নয়।অসুস্থ্যতা গোনাহ কে গাছের পাতার মত ঝরিয়ে দেয়।আব্দুল্লাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন_-আমি নবী (সাঃ) এর অসুস্থ্য অবস্থায় তাঁর কাছে গেলাম,ওই সময় তিনি অনেক জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন।আমি বললাম,নিশ্চয় আপনি ভীষন জ্বরে আক্রান্ত,আমি এও বললাম যে,আপনার জন্য দ্বিগুন সওয়াব।তিনি বললেন,হ্যা।যে কেউ  রোগাক্রান্ত হয় তা থেকে গোনাহ গুলো এভাবে ঝরে যায়,যে ভাবে গাছ থেকে পাতাগুল ঝরে যায়।_- (বোখারিঃ৫৬৪৭)।

                  তাই,আমাদের উচিৎ,আমরা কোনা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে,হা-হুতাশ না করে আল্লাহর কাছে রোগ মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা।কেননা আল্লাহ রোগ দিয়েছেন আবার রোগের শেফাও দিয়েছেন।

                                                                       >>>সংগ্রহ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

ভিটামিন ই/VITAMIN E

প্রাথমিক ধারনাঃ ভিটামিন ই ট্যাবলেটে আছে সিনথেটিক ভিটামিন ই। এর সম্পূর্ণ কার্যকারিতা এখনও অজানা।তবে একথা প্রমানিত যে,ভিটামিন ই এন্টিঅক্সিড...