মোবাইল ! বর্তমান সময়ের অকৃতিম বন্ধু। প্রয়োজনের সময়,কাউকে পাশে না পেলেও,মোবাইলটি কিন্তু আপনার কাছেই।
যাই হোক, কমিউনিকেশনে মোবাইলের জুড়ি নেই।
তাছাড়া বিনোদন দিতেও ওস্তাদ এই মোবাইল ফোন।
কেউ গেমস খেলছে,কেই গান শুনছে,আবার কেউ ছবি তুলছে,যেন সময়ের সকল দাবী মিটিয়েছে এই মোবাইল।
আমরাও মোবাইলকে এতটাই যত্ন করি,যেন নিজের একটা অঙ্গই এই মোবাইল। অথচ এই সাধের মোবাইলটি আমাদের যে নিরবে শেষ করছে,তার খবর রাখছি কজন।
হ্যাঁ। এই মোবাইল আমাদের উপকারের সাথে সাথে ক্ষতিও করছে।
আমাদের শরীরের জন্য নিরব ঘাতক রুপে কাজ করে চলেছে এই মোবাইল।
বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা বেশি ঝুকির মধ্যে থাকেন।
গর্ভবতী নারী মোবাইল ব্যাবহার করলে গর্ভস্থ শিশুর বিপদের আশংকা থাকে।গর্ভাবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যাবহার করলে শিশুর মস্তিস্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।শিশু অস্থির প্রকৃতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রসূতি বিদ্যা,স্ত্রী রোগ ও প্রজনন বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডঃ হফ টেইলর ও তার সহযোগীরা এ বিষয়ে গবেষনা চালান। গর্ভবতী ইঁদুরের উপর তারা মোবাইল ফোনের বিকিরনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন।
গবেষকরা কিছু ইঁদুরের খাচার উপর চালু করা মোবাইল ফোন রাখেন এবং অন্য খাচায় মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখা হয়,যেটি কোন সিগনাল পাবে না।
এবার,যতদিনে ইঁদুরের বাচ্চা প্রসব ও সেগুলো যথেস্ট বড় হয়,সে পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
এরপর এগুলোর আচরন পর্যবেক্ষণ করেন।
টেইলর বলেন,মোবাইল ফোন চালু ছিলো এমন খাচার বাচ্চা গুল বেশি অস্থির ছিল।বাচ্চা গুলোর কোন কিছুর প্রতিই তেমন কোন মনোযোগ ছিল না।
টেইলর বলেন, গর্ভাবস্থায় মোবাইল ফোনের বিকিরন প্রভাব ফেলে,এটা বলার মত যথেষ্ট ভিত্তি এ গবেষনায় পাওয়া গেছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, গর্ভাবস্থায় মোবাইল ফোন নিজেদের শরীরের কাছ থেকে দূরে রাখা উচিৎ।
এ কথার সত্যতা স্বীকার করে ব্ল্যাকবেরী ও এপলের মতো মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারনে মোবাইল ফোন শরীর থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দেয়।তবে তা ডিভাইস ম্যানুয়ালে লেখার কারনে,লেখাটি সহজেই ব্যবহারকারীর নজরে পড়ে না।
তাই যারা গর্ভবতী রয়েছেন,তারা তাদের আগত সন্তানের কথা চিন্তা করে মোবাইল ফোন ব্যাবহারে সতর্ক হোন।
সূত্র>>হেলথ ডেস্ক
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন