শিশুর খিঁচুনি জ্বর,কোন সাধারন জ্বর নয়।এর সঠিক কারন খুজে চিকিৎসা না করাতে পারলে,পরিনাম হতে পারে ভয়াবহ।
সাধারনত ৬মাস থেকে ৬বছর বয়সের শিশুর জ্বর ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলেই অনেক সময় খিঁচুনি শুরু হয়।এটা ভাবব্রাইল কনভালশন নামে পরিচিত।
সব ক্ষেত্রে খিঁচুনি বা কনভালশনের কারন খুজে পাওয়া যায় না।তবে কিছু কিছু কারনে জ্বরের মাত্রা তীব্র হলে কনভালশেন শুরু হয়।এসব রোগের মধ্যে,তীব্র কাশি,নিউমনিয়া,ডায়রিয়া,প্রসাবের নালিতে ইনফেকশন অন্যতম।
করণীয়ঃ
যেসব শিশুদের কনভালশন হয়,তাদের জ্বরের শুরুতেই প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়াতে হবে,যা বয়স ও ওজন অনুযায়ী মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।
বাজেরে প্যারাসিটামল সিরাপ>এইস,নাপা,এক্সপা,ফাস্ট প্রভৃতি নামে পাওয়া যায়।
প্যারাসিটামল খাওয়ানোর পর,ডায়াজিপাম গ্রুপের ঔষধ,যেমন>সেডিল ট্যাবলেট এর অর্ধেক বা পরিমানমত গুড়া করে পানিতে গুলিয়ে খাওয়ানো যায়।
দুই দিনের মধ্যে জ্বরের কোন প্রকার উন্নতি না হলে,দ্রুত কোন শিশু চিকিৎসকের নিকট নিতে হবে।
কোন শিশুর প্রথমবার কনভালশন হবে,তা আগে থেকে কোনভাবেই বলা সম্ভব নয়।কাজেই প্রথম কনভালশন দেখা দেওয়া মাত্রই ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।সঠিক পরীক্ষা নীরিক্ষার মাধ্যমে কনভালশনের আসল কারন খুজে চিকিৎসা দিতে হবে।
ঝুঁকিপূর্ণ শিশুঃ
যেসব শিশু ১বছর বয়সের আগেই কনভালশন শুরু হয়,সে সব শিশু খুবই ঝুকিতে থাকে।যদি মা বাবার কারোও কনভালশন সমস্যা থাকে,তহলে ১বছরের নিচের শিশুদের এ রোগ হবার স্মভাবনার হার অনেক বেশি।
যদি শিশুর কনভালশন ১৫মিনিটের এর বেশি হয়,কিংবা ঘন ঘন হয়,সেসব শিশু বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে।
সতর্কতাঃ
কনভালশন নিয়ন্ত্রন করা না গেলে,শিশুর ব্রেন ক্ষতিগ্রস্থ হয়।ফলে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।এতে শরীরের যে কোন অংশ প্যারালাইসড হতে পারে।
মৃগী বা এপিলেপ্সি বা সারা জীবনের কনভালশন সমস্যা থেকে যেতে পারে।
সুতরাং শিশুর জ্বরের সাথে খিঁচুনি থাকলে,মোটেও সাধারন ব্যাপার ভেবে সময় নস্ট করবে না।দ্রুত একজন শিশু ডাক্তারের শরণাপন্ন হবে।
শেষ কথাঃ
ফেব্রাইল কনভালশন জ্বরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।তাই জ্বরকে অবহেলা না করে সঠিক সময় সঠিক নিয়মে ঔষধ সেবন করতে হবে।এ রোগের যথাযথ চিকিৎসা করালে শিশুর কোন প্রাকার ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন