স্ত্রীদের মা হওয়া কিংবা পুরুষের বাবা হওয়া,একটা চিরায়িত আকাংখা।আর সন্তান জন্মদান,পুরুষ কিংবা স্ত্রী লোকের সক্ষমতার পরিচয়ক।
আগে ধারনা করা হত,শুধুমাত্র বেশি বয়সে মা হলে সন্তানের নানা রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে,কিন্ত গবেষনায় বেরিয়ে এসেছে,শুধু মা নয় বরং বেশি বয়সে বাবা হলেও এর প্রভাব সন্তানের উপর পড়ে।
বিয়ের পর যারা সন্তান নিচ্ছেন না তাদের জেনে রাখা ভালো যে,বেশি বয়সের বাবা হয়ার অনেক ঝুকি আছে।কেননা বাবার বয়স সন্তানের বংশগত জটিলতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে,মায়ের চেয়ে বাবার বয়সই প্রভাবক হয়ে কাজ করে।অসুস্থ্য,আস্বাভাবিক সন্তান জন্ম হলে বেশিরভাগ সমাজ ব্যবস্থা মায়েদেরই দোষ দিয়ে থাকে।কিন্তু সম্প্রতি গবেষনায় দেখা যায় যে,অটিজম,সিজোফ্রানিয়া কিংবা মানসিক ও শারীরিক বিকলাঙ্গতা নিয়ে যে সব শিশু জন্ম নিচ্ছে এর একটি প্রধান কারন বেশি বয়সে বাবা হওয়া।
অর্থাৎ বাবা হিসেবে বেশি বয়সে সন্তান জন্ম দিতে চাইলে,আগত শিশুর মানসিক ও শারীরিক জটলতা থাকার সম্ভাবনার ঝুকি বহু গুন বেড়ে যায়।
গবেষনায় দেখা যায়,২০বছরের বেশি বয়সের বাবার সন্তানদের ২৫টির মত জটিলতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।সেখানে ৪০বছর বয়সের বাবার সন্তান্দের সে সম্ভাবনা ৬৫টি জটিলতার।
অর্থাৎ বাবার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর জটিলতার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।
মোট কথা,শিশুদের শারীরিক ও মানসিক জটলতার ৯৭ ভাগ কারন বেশি বয়সে বাবা হওয়া বা সন্তান জন্ম দেওয়া।
গবেষনায় আরও দেখা যায় যে,১৯৭০ সাল থেকে উন্নত দেশগুলোতে শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছে,আর এ শিল্প বিপ্লবের কারনে পুরুষেরা বেশি বয়সে বাবা হচ্ছে,আর এতে উন্নত বিশ্বে অটিজম ও অন্যন্ন মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধি শিশুর জন্ম নেওয়ার হারও বেড়ে গেছে।
তাই বলা যায়,সুস্থ্য স্বাভাবিক শিশু জন্ম দিতে চাইলে অন্তত প্রথম সন্তানটি ৩০-৩৫বছরের মধ্যে জন্ম দিন নতুবা বাবা হিসেবে আপনাকে ঝুকির মধ্যে থেকে একটা অজানা শঙ্কায় থাকতেই হবে।
একারনে ঝুকিমুক্ত বাবা হতে আপনাকে কিন্তু ভাবতেই হবে।
সুত্র>>> হেলথ ডেস্ক।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন