বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭

কোষ্ঠকাঠিন্য (CONSTIPATION)


        প্রতিদিন খাদ্যসমুহ খাবার পর সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক সময়ে অভুক্ত অংশ শরীর থেকে বের না হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য।
খাদ্যের অসাড় দ্রব্য ২৪ হতে ৬ ঘন্টার মধ্যে শরীর থেকে বের হওয়াই নিয়ম।একটি সুস্থ্য মানুষ স্বাভাবিক খাদ্য খেয়ে প্রতিদিন ১/২ বার মল ত্যাগ করে।
তবে অনেকের খাদ্যবাসের হেরফেরের কারনে মল ত্যাগ করার অভ্যাসও ভিন্ন হতে পারে।
তবে যদি দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রাকৃতিক নিয়ম হটাত করে বেশি পরিবর্তন হয়ে মল ত্যাগের নির্দিষ্ট সময়ের অনেক দেরীতে হয়,তবে তা কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে বলে ধরা যায়।

এটি আসলে রোগ নয়।একটি বা অনেকগুলো রোগের লক্ষন হয়ে এটি প্রকাশ পায়।
তাই এমনটি হলে অবহেলার কোন সুযোগ নেই।
কেউ কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত হলে,সেই বোঝে এর নিরব যন্ত্রনা।কেননা শারীরিক অসস্থির সাথে সাথে,কোন কাজে মন বসানো যায় না।মল পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত যে কোন খাবার গ্রহন ভালোভাবে করা দুস্কর।সবমিলিয়ে একটা বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।

বিভিন্ন কারনে কোস্টকাঠিন্যে আক্রান্ত হতে হয়,তবে এর অন্যতম কারন শরীরে জলীত দ্রবনের ঘাটতি।যার জন্য বেশিরভাগ আমরা নিজেরাই দায়ী।
মল শক্ত হলে অনেকসময় পায়ু পথ ছিলে যেতে পারে বা ফেটে যেয়ে মলের সাথে রক্ত আসতে পারে।
ভয় না পেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা নিলে আরোগ্য হওয়া যায়।

কারনঃ
           @স্বাভাবিক শাকসবজি খাবার পর পানি কম খাওয়া,অল্প পরিমান খাদ্য খেয়ে পাকস্তলীর                          দুই-ত্রিতীয়াংশ খালি রেখে আর এভাবে দীর্ঘদিন চললে এমনটি হতে পারে।
           @অত্যাধিক পরীশ্রমে শরীর বেশি ঘামলে,শরীরে জলীয় দ্রবনের ঘাটতি হয়,এ জন্য প্রচুর পানি                 বা তরল পান না করলে।
           @স্নায়ুতন্ত্রীয় রোগে,প্যারালাইসিস,মানসিক উত্তেজনা বা দীর্ঘদিনের পেটের ব্যাথা ইত্যাদিতে                       ভুগলে ক্ষুদ্রান্ত ও ব্রিহদান্তের সঙ্কোচনের কারনেও এমনটি হতে পারে।
           @উত্তেজক খাবার বা বিভিন্ন মাদক বা ধুমপান গ্রহনের কারনে এমনটি হতে পারে।

          #কুঅভ্যাস জনিত কারন যেমন,মল ত্যাগের চাপ অনুভব করলেও,তা ইচ্ছা করে আটকিয়ে                     রাখা বা দেরীতে করা।
         #সঠিক সময়ে মল ত্যাগের অভ্যাস না করা।
         #মল নালীর শেষ প্রান্তে পাইলস,ফিস্টুলা,অরশ প্রভৃতি আক্রমন করে,মল নালীর প্রান্ত ভাগ সরু             হয়ে এ রোগ হতে পারে।
         #মলাশয়ের ভেতর কোন প্রতিবন্ধকতা যেমন,টিউমার হলে এমনটি হতে পারে।

লক্ষনঃ
        *মল অত্যন্ত শক্ত হয়,মল ত্যাগে কস্ট হয়।কোন ভাবেই মল বাহির হতে চায় না।
        *সঠিক সময়ে মল ত্যাগ করা যায় না,মলে প্রচন্ড দুর্গন্ধ হয়।
        *মল ত্যাগের সময় প্রচুর চাপ দিতে হয়।
        *মুখে দুর্গন্ধ বা মুখ শুস্ক থাকতে পারে।
        *শরীরে অস্থিরতা বা অনিদ্রা হতে পারে।কোন ভাবেই শান্তিবোধ হয় না।
        *মাথা ব্যাথা বা ঝিমুনি বা মাথা ধরা হতে পারে।
        *পেটে গ্যাস জমা হয় এবং সুচি বায়ু দেখা দেয়।
        *পেট ভারি ভারি লাগে।
        *ক্ষুদা থাকে না,খাদ্যে অনিহা জন্মে।
        *কখন কখন পেটে ব্যাথা হতে পারে।
        *পেট ফাঁপা বা বুক জ্বলা থাকতে পারে।

চিকিৎসাঃ
১।মল শক্ত হলে বা বের হতে না চাইলে LACTULOSE জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন____SOLU__avolac,lactu,acilac.
মাত্রা____প্রত্যহ ২/৩ চা চামচ করে ২/৩ বার সেব্য।

             অথবা,
         SOLU____ Milk of Magneshia
মাত্রা____প্রত্যহ ২/৩ চা চামচ করে ২/৩ বার সেব্য।

২।পেট ব্যাথা থাকলে  HYOSCINE BUTYL BROMIDE জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB___brospan,butapan,lopan,belcopan
মাত্রা____প্রত্যহ ১+০+১ করে পেট ব্যাথা থাকলে।

৩।পেটে অম্ল বা গ্যাস জমা হলে  ESOMEPRAZOLE  জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB__esotid-20/40mg,nexam-20/40mg
মাত্রা____প্রত্যহ ১+০+১ করে আহারের ২০মিনিট আগে সেব্য.১০-১৪দিন পর্যন্ত।

৪।পেট ফাঁপা বা বুক জ্বালা থাকলে  DOMPERIDONE জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB_motigut-10mg,omidon-10mg.don-a-10mg.
মাত্রা____প্রত্যহ ১+১+১ করে আহারের ২০মিনিট আগে সেব্য.১০-১৪দিন পর্যন্ত।

৫।বুক ধরফর বা মানসিক অশান্তি থাকলে  NORTRYPTYLIN & TRYFLUPERAZINE জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB__norflu,norzin,moodon.permival
মাত্রা____প্রত্যহ 0+0+১ করে ঘুমনোর আগে ৭দিন সেব্য।

৬।পেটে কৃমি হলে ALBENDAZOLE জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB__alben-ds-400mg
মাত্রা____১বড়ি রাত্রে চুষে খেতে হয়।
                 এভাবে ৩ দিন অন্তর মোট ২বড়ি খাবে।
                            গর্ভবতী মহিলা বা ২বছরের নিচের শিশুদের দেয়া যাবে না।

৭।মলদ্বারে ফাটল বা অর্শ ,ফিস্টুলা,পাইলস থাকলে মলদ্বারে ব্যবহারে জন্য,
          OINT____ANUSTAT.
পায়ূ পথের ভেতর ব্যবহার করতে হত,প্রত্যহ অন্তত ২ বার।
তবে মল ত্যাগের পরপর ব্যবহার করায় উত্তম।

পথ্যঃ
        #প্রচুর পরিমানে পানি ও তরল খাবার খাবে।
        #প্রচুর শাকসবজি খাবে।
        #প্রতিদিন সকালে মল ত্যাগ করার অভ্যাস করতে হবে।
        #প্রতি তিন মাস অন্তর কৃমির ঔষধ খাবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে দেরী না করে দ্রুত নিকটস্থ্য চিকিৎসা কেন্দ্রে যাবে।

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭

এমিট্রিপটাইলিন শ্রেনীভুক্ত ঔষধ (AMETRYPTYLINE HCL)


 বিবরনঃ
             AMETRYPTYLINE/এমিট্রিপটাইলিন একটি ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসান্ট,যার এসিটাইকোলিন বিরোধী এবং সুপ্তিকর বৈশিস্ট্য রয়েছে।এটি স্নায়ু প্রান্তে নড়এড্রিনালিন এবং সেরোটোনিন পুনঃ গ্রহনে বাধা প্রদান করে।
এমিট্রিপটাইলিন পরিপাকনালীতে দ্রুত শোষিত হয়।
এটি প্রধারনত মেটাবোলাইট হিসেবে প্রসাবের মাধ্যমে শরীর থেকে নিঃসৃত হয়।

উপাদানঃ
           প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে এমিট্রিপটাইলিন  হাইড্রোক্লোরাইড ইউএসপি ১০ ও ২৫ মিঃগ্রাঃ

বাজারে প্রচলিত এমিট্রিপটাইলিন শ্রেনীভুক্ত ঔষধঃ

              TAB____tryptin,amilin,saronil.

নির্দেশনাঃ
           বিষন্ন জনিত অসুস্থ্যতা,বিশেষভাবে মানসিক দুশ্চিন্তা, কিংবা মানসিক ভীতিপ্রবন লোকের জন্য ব্যবহার করা হয়।
তাছাড়া যে সব মানুষ বা শিশু মুত্র বেগ ধারনে অক্ষম বা রাত্রীকালীন বিছানায় মুত্রত্যাগ করা শিশুদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

ব্যবহারবিধি/মাত্রাঃ
             এটি সাধারনত ১০মিঃগ্রাঃ মাত্রার একটি ট্যাবলেট মুখে গ্রহন করতে হয়, ১ কিংবা ২ বার,প্রত্যহ।
এবং ২০মিঃগ্রাঃ মাত্রা একটি ট্যাবলেট মুখে গ্রহন করতে হয় প্রত্যহ ১ বার।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
             অস্পস্ট দৃষ্টি,শুস্ক মুখ,কোস্টহকাঠিন্য,বমি বমি ভাব,প্রসাবে অসুবিধা বা মাথা ঝিমুনি দেখা দিতে পারে। কম বয়স্কদের ক্ষেত্রে কখন কখন শরীরে চুলকানি দেখা দিতে পারে।
আবার বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক আচরন বা নানা রকম ভ্রান্তি হতে পারে।
দীর্ঘ দিন সেবনে যৌন অনিচ্ছা দেখা দিতে পারে।

সাবধানতাঃ
            এটি সেবনের পরপর চোখে ঝপসা দেখা বা অস্পস্ট দৃষ্টি হলে যানবাহন বা ভারি যন্ত্রপাতি চালাবে না। মৃগী রোগের ইতিহাস আছে এমন রোগীর জন্য খুবই সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।

সতর্কতাঃ
          কারডিয়াকে অসুস্থ্যতা বা বহুমূত্র রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ব্যবহারে সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

ডায়াজিপাম শ্রেনীভুক্ত ঔষধ (DIZEPAM)


বিবরনঃ
            ডায়াজিপাম একটি বেনজোডায়াজিপিন জাতীয় ট্রাঙ্কুলাইজার।এর কার্যকারিতার মধ্যে সুপ্তিকরন,পেশী শিথিলকরন,খিচুনী নিবারন অন্যতম।এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সামগ্রিক ভাবে নিস্তেজ করে কার্যকারিতা প্রদর্শন করে।এই শ্রেণীভুক্ত ঔষধ সমুহের মুল লক্ষ্য হচ্ছে মানসিক উদ্দ্যেগ ও অস্থিরতা উপশম করে সুপ্তি আনয়ন করা।

উপাদানঃ
             ট্যাবলেট আকারেঃ এর প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে ডায়াজিপাম বিপি ৫ মিলিগ্রাম।
             ইনজেকশন আকারেঃ প্রতিটি ২মিলিঃ এম্পুলে আছে ডায়াজিপাম বিপি ১০মিঃগ্রাঃ।

নির্দেশনাঃ
              প্রশান্তি আনয়নকারী হসেবে এর জুড়ি নেই।এটি মানসিক দুশ্চিন্তা,অস্থিরতা, উতকন্ঠা,চাপা উত্তেজনা বা মানসিক চাপের রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। পেশীর খিচুনী ও কম্পন উপশমের জন্য এবং বিভিন্ন রকম মাদকে আসক্ত ব্যক্তিদের আসক্তি কমানোর জন্য এটি সফলতার সাথে ব্যবহার করা হয়। 
মৃগী রোগীদের ক্ষেত্রেও এটি খুব সফলতার সাথে কাজ করে,তবে এ রোগীদের জন্য মুখে খাবার চেয়ে ইনজেকশন আকারে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

বাজারে প্রচলিত কিছু ঔষধঃ
                TAB________sedil,easium,rozam,relexen,seduxen.
                INJ_________easium,sedil.

ব্যবহারবিধি/মাত্রাঃ 
                মুখে খাওয়াঃ ডায়াজিপাম সুসহনীয় ও দ্রুত কার্যকর হবার জন্য খুবই নিরাপদ ও গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ।এটি রাত্রে ঘুমোনোর ২০মিনিট আগে খাওয়া উচিত।প্রত্যহ ১বার।
                ইনজেকশনঃএটি শিরাপথে প্রয়োগ করতে হয়।খুব ধীরে ধীরে।১ এম্পুল প্রত্যহ।তবে প্রয়োজনীতার উপর ভিত্তি করে চিকিৎসক মাত্রা বিভক্ত করে থাকেন।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
                এ শ্রেনীভুক্ত ঔষধ খুবই সহনীয়।এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুবই মৃদু।তবে এটি সেবনে ঘুম ঘুম ভাব,মুখ শুস্কতা,অমনযোগীতা,রক্তচাপ কমে যাওয়া,অন্যতম।
তবে দীর্ঘদিন ব্যবহারে মাত্রা বাড়ালে যৌন আকাঙ্খা কমে যেতে পারে।

সাবধানতাঃ
              খুবই বৃদ্ধ ও দুর্বল রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই সাবধানতার সাথে এটি ব্যবহার করা উচিৎ। 
লিভার এর কাজে বিঘ্ন থাকলে কিংবা গ্লোকোমা থাকলেও ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। 
ইনজেকশন আকারে ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা প্রয়োজন,বিশেষ করে দুর্বল ও পীড়িত ও অতিবয়স্কদের বেলায় শ্বাসযন্ত্রের রোগ থাকলে এটি ইনজেক্ট করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
কেউ মদ্যপ বা মাদক দ্বারা বিষক্রিয়া ঘটলে সেক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

সতর্কতাঃ
            এটি ইনজেকশন আকারে ব্যবহার করলে অন্য ঔষধের সাথে মিলিয়ে পুশ করা উচিৎ নয়।
গর্ভাবস্থার প্রথম পর্যায়ের দিকে ইহা সেবন উচিৎ নয়।

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৭

স্টেরয়েড ঔষধ খেয়ে মোটা হওয়া ভালো ?? না খারাপ ??


                        অনেকদিন ধরেই ভাবছি যে বিষয়টা,তা হল_যারা একেবারেই হাড্ডিসার,তারা অনেকের কুমন্ত্রনায় পড়ে,নিজের শরীর মোটা করার জন্য নানা রকম স্টেরয়েড ঔষধ সেবন করে থাকেন।যা যমদূত কে আগাম কাছে টানার শামিল।
কেন বলছি ??

             (আগেই বলি,বুঝানোর সুবিধার্থে আমার জীবনের এক দুঃখ জনক ঘটনার বর্ণনা করছি)

শুনুন তাহলে..................

                                       আজ থেকে প্রায় ১০বছর আগের কথা বলছি।আমার বয়স ১৮ বছর এর কাছাকাছি। আমি তখন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ লাইন এলাকায় থাকি,আমার বাবা মা এবং ছোট বোনকে নিয়ে।কেননা আমার বাবা তখন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
এবার আসল কথায় আসি।
আমার এক হাড্ডিসার পাতলা চিকন বন্ধু রাসেল (ফেক নাম) হটাত করেই,মানে বলতে পারেন অনেকটা রাতারাতি,
মাত্র ৭/১০ দিনের মাথায় নিজের ওজন ৫/৬ কেজি বারিয়ে ফেলে।দেখতেও অনেকটা গোলগাল লাগছিল।মুখটা ছিলো মাংসে পরিপূর্ণ।মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানেই কেমন আমূল পরিবর্তন,ওর শারীরিক গড়নে।
আমরাতো সব বন্ধু মিলে খুবই অবাক।তারপরও ওর স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য অনেক বাহবা দিলাম।
তারপর,যথারীতি মাত্র ১/২ মাসের মধ্যেই নাদুসনুদুস হয়ে উঠলো রাসেল।
১/২ মাস অগেও যে ছিলো মাত্র ৫০ কেজি, সে এখন হয়ে গেলো ৭৫ কেজি।
অনেকটা আশ্চর্যের ব্যাপর।এত জলদি একটা মানুষ কি ভাবে এত ওজন বাড়াতে পারে।
যাইহোক,আমরা সকল বন্ধুরা মিলে এই সুস্বাস্থ্যের চেরাগের খবর জানতে চাইলাম।
বন্ধুতো বলে না।শুধু একই উত্তর,খাওয়া বাড়িয়ে।আমাদেরও তখন জানা হল না।

                                     এখন একটু চুপ থাকি।মাঝের কথা ছেড়ে শেষের দিকে অসি।
যেখানে শুরু করেছিলাম সেখান থেকে ৪/৫ বছর পর.................................

                                        আমি তখন ফরিদপুর।আমার পড়াশুনা নিয়ে আছি।আমার স্টাডি ছিলো ফার্মেসী ডিপার্টমেন্ট এ। এর পাশাপাশি প্যারামেডিকেল ও শেষ করেছি।
 একদিন রাতে আমার এক বন্ধু আমায় মোবাইল কল করে বলে রাসেল খুবই অসুস্থ্য। হাসপাতালে ভর্তি আছে।
জানতে চাইলাম কি সমস্যা।
বলল,অ সঠিক জানে না,পরেরদিন জানাবে।
আমি ভেবেছিলাম,মনে হয়  জ্বর  হয়ে বেহুশ,আর না হয় ফেনসিডিল  জাতীয় কিছু খেয়ে পড়ে আছে,তায় সবাই  ভয় পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।

আসলে ব্যাপারটা তা ছিল না।আসল কারন জানলাম পরের দিন।
চুয়াডাঙ্গায় রাসেলের চিকিৎসা সম্ভব নয়।তায় ঢাকা মেডিকেলে নিতে হয়েছে।
পরে আরও খোজ নিয়ে যা জানতে পেরেছিলাম,তা হল...............

রাসেলের লিভারে কোনভাবে রক্ত বা রক্তের জলীয় পদার্থ জমে মারাত্তক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো।জটিলতা এত বেড়েছিলো যে,ওর জীবনের ঝুকিই ছিল বেশি।বেশ কয়েকবার লিভার থেকে পানি বা জলীয় পদার্থ অপসারন করতে হয়েছিল।যা খুবই জটিল প্রক্রিয়া। লিভারের পাশাপাশি কিডনীতে সমস্যা ধরা পরে।তবে সামান্য পরিমানে।
তবে হ্যা,আরেকটি ব্যপার জটিলতা আরও বাড়িয়ে দেয়,তা হল,রাসেলের পেটের ভেতর জল জমে ফুলে উঠেছিলো।পেটের অভ্যন্তরের অন্ত্র,অগ্নাশ্যায়,প্লীহা এবং লিভারের আশেপাশে কিছু খালি জায়গা থাকে,যেখানে রক্ত রসের জলীয় অংশ জমা হয়ে এ ধরনের জটিলতা তৈরী করে।

সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে রাসেল জীবন পায়।কিন্তু রাসেল হাসপাতালে ১/২মাস অবস্থান করার পরও পুরোপুরি সুস্থ্য হতে পারেনি।শুনাছিলাম পরবর্তীতে ভারতের কোন এক রাজ্যে চিকিৎসা সম্পন্ন করে সুস্থ্য হয়।
তবে এ সুস্থ্যতা একেবারেই আগের মত নয়। মৃত্যুর খুব কাছে থেকে ফিরে আসে রাসেল।
তবে নিজের শরীরের অনেক ক্ষতি করে ফেলেছে ততোক্ষণে।
এতে রাসেলের দেহের এন্টিঅক্সিডেন্টের ভারসাম্য বা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা প্রায়ই দুই তৃতীয়াংশ শেষ।আর স্বাস্থ্য বলতে পূর্বে যা ছিলো,পরে তাও হারাতে হল।মানে একে বারেই লিকলিকে,আর শারীরিক দুর্বলতাতো আছেই।

অনেক পরে অবশ্য রাসেল বলেছিলো,কেন ওর এত জটিলতা তৈরী হল।
আর তা হচ্ছে,মোটা হবার আশায় দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ঔষধ সেবন।এর সাথে অবশ্য বিভিন্ন নামধারী হারবাল/ইউনানি ঔষধও ছিল।
ভারতের ডাক্তাররা আরও বলেছিলেন,রাসেল হয়তোবা সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা হারেতে পারে।
এর মানে এই নয় যে,পুরুষত্ব পুরোপুরি হারিয়েছে বা নস্ট করেছে।

                   তবে যেটা ঘটেছে,তা অনেক ব্যপক।
                    আপসোস !!
                   দোয়া করি,ভাই সুস্থ্য থাক,ভালো থাক।

এরপর কেটে গেছে আরও ১/২ টা বছর।কিন্তু আর কথা বা দেখা হয়নি রাসেলের সাথে।
ফরদপুর মেডিকেল কলেজ হসপিতালে ইন্টার্নশীপ করার সময় এক লোক মারফত জানতে পেরেছেলাম,রাসেল এখন কনোরকম আছে।এই আর কি!!!!!!!
তবে,রাসেলের সম্পর্কে আজও ঐ ই শেষ খবর আমার কাছে।
আর এখন কেটে গেছে আরও ৪/৫ বছর।
এখন আর জানিনা কিছুই,রাসেলের ব্যাপারে।কোন সোশাল সাইটেও পাইনি ওকে।
তাই স্বার্থপরের মত খোজ করাটাও ছেড়েই দিয়েছি।

                         এই বাস্তব গল্পটা আমার জীবনের এক ট্রাজেডী।বছর খানিক আগে আমি আমার স্কুল জীবনের বন্ধুকেও সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়েছি,কিন্তু রাসেলের অসুস্থ্যতার কথা আমার হৃদয়কে যতটা আলোড়িত করেছিলো,তেমনটি করেনি এখনো।

আসল কথা/শেষ কথা/কাজের কথা..............................  

                     স্টেরয়েড একটি জীবন রক্ষাকারী ঔষধ।এটি নিয়িমিত বা দীর্ঘদিন সেবনের প্রয়োজন হয় না। নির্দিষ্ট রোগের চিকিৎসার জন্য এর ব্যাবহার করা হয়।শরীর মোটা করা বা রুচি বর্ধক ঔষধ হিসেবে এর ব্যবহার করার পরিনতি খুব খারপ হতে পারে।

বাজারে বিভিন্ন নামে স্টেরয়েড পাওয়া যায়।

                               DEXAMETHASON  শ্রেনীভুক্ত ঔষধ হতে খুব সতর্ক এবং একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ব্যাতিত সেবন নয়।
যেমন_____TAB__oradexon,decason,steron,dexameson,dexan, ইত্যাদি।

                             আর নিয়ন্ত্রনহীন খোলা বাজারে এই স্টেরয়েড ব্যপক ভাবে হাত বদল হয়।যার লাগাম টানার উপায় পাওয়া দায়।
আমাদের দেশে ভারতীয় স্টেরয়েড প্রচুর পাওয়া যায়।যেগুলো দেখতে কাগজের পাতার মত এবং ঔষধের পাতার বর্ণ হয় লাল কিংবা সাদা।
আর এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা বা হাতুড়ে ডাক্তার রা নিজেদের সুনাম বাড়ানোর জন্য,মানুষের রুচি বর্ধক হিসেবে স্টেরয়েড দেয়।যা সম্পূর্ণ বেইমানী ও প্রাতারনার শামিল।
এ ঔষধ প্রানীর বা মানুষের শরীর মোটা করার জন্য বা মানুষের রুচি বর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা একদম অনুচিত।
এই ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেই মুখের রুচি বৃদ্ধি পেয়ে খাবার খাওয়ার পরিমান বাড়ে।
খাবার বেশি খেতে পারছি ভেবে,এই স্টেরয়েড নিয়মিত সেবন মারত্নক বিপদ দেকে আনতে পারে।

স্টেরয়েড ঔষধের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতিকর দিকঃ
                          # দীর্ঘদিন এটা সেবনে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
                          #শরীরে নানাবিধ রোগ জন্ম নিতে পারে।
                          #দীর্ঘদিন সেবনে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অংগ যেমন, হার্ট,লিভার,কিডনী ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
                          #যৌন সক্ষমতা কমে যেতে পারে।
                          #চিরদিনের জন্য বন্ধাত্ব হতে পারে।
                          #দেহের বিভিন্ন অংশে এমনকি গোটা দেহে বিভিন্ন প্রকার চর্ম রোগ হয়।
                          #রক্তে দূষিত পদার্থ বেড়ে যায়।
                          #শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য নস্ট হয়।

ভাই/বোন,মোটা তাজা হওয়া অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার।
খেয়াল করে দেখবেন,রাস্তা ঘাটে কত পাগল পড়ে আছে,খাবার পায় না,সে কি সুন্দর নাদুসনুদুস।
আর আপনি এত পুস্টিকর খাবার খেয়েও চিকন,পাতলা।

হ্যাঁ ভাই/বোন,পুস্টিকর খাবারই খেতে হবে এবং তা প্রয়োজন অনুযায়ী।
বাজে অভ্যাস,যেমন_ধুমপান,বিভিন্ন প্রকার মাদক গ্রহন,অধিক রাত্র জাগা,সময়মত খাবার গ্রহন না করা, এইসব বাজে অভ্যাস ছেড়ে ভালো অভ্যাস করুন।
বেশি বেশি পুস্টকর খাবার গ্রহন,আর নিয়মতান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থ্যাই আপনার বা আমার সুসাস্থ্যের চাবি।

এখন,এত কিছুর পরও যদি আপনার অবস্থার উন্নতি না হয়,তবে কোন ভালো স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ শুনুন আর সেই তালিকা অনুযায়ী জীবিন সাজান।আর অপেক্ষা করুন।

আর একদমই কোন ভাবেই না হলে,হাল ছেড়ে দিন।আর বুঝে নিবেন এটা আপনার জন্য সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকেই নেই।
তবে একদমই হতাশ হবেন না। কেননা সৃষ্টিকর্তা তাকে ততটাই দেন,যার যতটা প্রয়োজন।

সুতরং কারো কুপরামর্শে নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন না।
তাছাড়া গ্রামের কিছু হাতুড়ে ডাক্তার বা ঔষধ ব্যবসায়ী রুচি বর্ধক ঔষধ বলে স্টরয়েড ঔষধ চালিয়ে দেয়।এ ব্যপারে খুব সাবধান।

বুধবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭

আপনি গর্ভবতী ?? তাহলে মোবাইল ফোন দূরে ঠেলুন।



                     মোবাইল ! বর্তমান সময়ের অকৃতিম বন্ধু। প্রয়োজনের সময়,কাউকে পাশে না পেলেও,মোবাইলটি কিন্তু আপনার কাছেই।
যাই হোক, কমিউনিকেশনে মোবাইলের জুড়ি নেই।
তাছাড়া বিনোদন দিতেও ওস্তাদ এই মোবাইল ফোন।
কেউ গেমস খেলছে,কেই গান শুনছে,আবার কেউ ছবি তুলছে,যেন সময়ের সকল দাবী মিটিয়েছে এই মোবাইল।
আমরাও মোবাইলকে এতটাই যত্ন করি,যেন নিজের একটা অঙ্গই এই মোবাইল। অথচ এই সাধের মোবাইলটি আমাদের যে নিরবে শেষ করছে,তার খবর রাখছি কজন।

হ্যাঁ। এই মোবাইল আমাদের উপকারের সাথে সাথে ক্ষতিও করছে।
আমাদের শরীরের জন্য নিরব ঘাতক রুপে কাজ করে চলেছে এই মোবাইল।
বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা বেশি ঝুকির মধ্যে থাকেন।

          গর্ভবতী নারী মোবাইল ব্যাবহার করলে গর্ভস্থ শিশুর বিপদের আশংকা থাকে।গর্ভাবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যাবহার করলে শিশুর মস্তিস্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।শিশু অস্থির প্রকৃতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

          যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রসূতি বিদ্যা,স্ত্রী রোগ ও প্রজনন বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডঃ হফ টেইলর ও তার সহযোগীরা এ বিষয়ে গবেষনা চালান। গর্ভবতী ইঁদুরের উপর তারা মোবাইল ফোনের বিকিরনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন।
গবেষকরা কিছু ইঁদুরের খাচার উপর চালু করা মোবাইল ফোন রাখেন এবং অন্য খাচায় মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখা হয়,যেটি কোন সিগনাল পাবে না।
এবার,যতদিনে ইঁদুরের বাচ্চা প্রসব ও সেগুলো যথেস্ট বড় হয়,সে পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
এরপর এগুলোর আচরন পর্যবেক্ষণ করেন।
টেইলর বলেন,মোবাইল ফোন চালু ছিলো এমন খাচার বাচ্চা গুল বেশি অস্থির ছিল।বাচ্চা গুলোর কোন কিছুর প্রতিই তেমন কোন মনোযোগ ছিল না।

          টেইলর বলেন, গর্ভাবস্থায় মোবাইল ফোনের বিকিরন প্রভাব ফেলে,এটা বলার মত যথেষ্ট ভিত্তি এ গবেষনায় পাওয়া গেছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, গর্ভাবস্থায় মোবাইল ফোন নিজেদের শরীরের কাছ থেকে দূরে রাখা উচিৎ।

         এ কথার সত্যতা স্বীকার করে ব্ল্যাকবেরী ও এপলের মতো মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারনে মোবাইল ফোন শরীর থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দেয়।তবে তা ডিভাইস ম্যানুয়ালে লেখার কারনে,লেখাটি সহজেই ব্যবহারকারীর নজরে পড়ে না।

        তাই যারা গর্ভবতী রয়েছেন,তারা তাদের আগত সন্তানের কথা চিন্তা করে মোবাইল ফোন ব্যাবহারে সতর্ক হোন।

                                                                                                     সূত্র>>হেলথ ডেস্ক

বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০১৭

টনসিলের ব্যাথা (TONSILITIS)


                    টনসিলের সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত।এই টনসিলের প্রদাহ একবারেই সেরে যায় না।তবে সঠিক চিকিৎসা করালে এ রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

মুখের ভিতর ফ্যারিংস এর দুই পাশের দেয়ালে দুটি টোনসিল গ্ল্যান্ড থাকে।বিশেষ করে মুখ বড় করে হা করলে জিহবার শেষ প্রান্তের পার্শ্বে টনসিলের অবস্থান।এটি লিম্ফয়েড দ্বারা গঠিত এবং উপোরিভাগ মিউকাস মেম্ব্রেন নামক পাতলা পর্দা দ্বারা আবৃত।

                  টনসিল গ্লান্ডের যে রস নিঃসৃত হয় সেটিকে ভ্যাকাস ক্ষরন বলে।এ রসে লিম্ফসাইট থাকে।
এটি মুখের ভেতর আত্নরক্ষার বিশেষ কাজ করে।যদি কোনভাবে এর স্বভাবিকতা বন্ধ হয় অথবা কোন জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হলে টনসিলাইটিস রোগ হয়।

                 আমাদের মুখ গহ্বর জীবানুর ভান্ডার।বিশেষ করে আমাদের দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে জীবানু সর্বক্ষণ লেগেই থাকে।অনেক সময় ঠান্ডা আবহাওয়ার তারতম্যে জীবানুগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং টনসিল গ্লান্ড দুটি আক্রমন করে,টনসিলাইটিস রোগের জন্ম দেয়।

                যারা মুখ গহ্বর নিয়মিত পরিস্কার রাখে না,তাছাড়া,যারা নিয়মিত ঠান্ডা বা সর্দিতে আক্রান্ত হয়,সাধারনত তারাই বেশি টনসিলাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়।

লক্ষনঃ
         #গলার ভেতরে ব্যাথা হয়।কিছু গিলতে কস্ট হয়।বা ঢেকুর তুলতে কস্ট হয়।
         #শরীরে জ্বর থাকতে পারে।জ্বর ১০০/১০৩ ডিগ্রী ফারেনহাইট হতে পারে।
         #টনসিল দুটি আকারে বৃদ্ধি পায়,বা ফুলে ওঠে।
         #টনসিল দুটি লাল বর্ণ ধারন করে,ব্যাথা হতে পারে।
         #শ্বাস প্রাশ্বাসে সমস্যা হতে পারে।


*** টনসিলাইটিস রোগে আক্রান্ত হলে মোটেও অবহেলা নয়।এর জন্য একজন ভালো চিকিৎসকের তত্বাবধানে চিকিৎসা করাতে হবে। অপারেশন দরকার হলে করিয়ে নিবে।***


চিকিৎসাঃ
১।গলা ব্যাথা কিংবা জ্বর থাকলে PARACETAMOL জাতীয় ঔষধ খেতে হয়।
যেমন___TAB__napa-500mg,ace-500mg,fast-500mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে ভরা পেটে ৩/৫ দিন সেব্য।

              or     SYP___napa,ace,fast,xpa
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২ চামচ করে ৩/৫ দিন সেব্য।

২।ব্যাথার তীব্রতা বেশি হলে  DICLOFENAC POTASSIUM জাতীয় ঔষধ খেতে হয়।
যেমন___TAB__cataflam-25/50mg,a-fenac-k-025/50mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে ভরা পেটে,ব্যাথা না পড়া  পর্যন্ত সেব্য।

৩।ঠান্ডা বা সর্দি থাকলে  CHLORPHENIRAMIN MELEATE  জাতীয় ঔষধ খেতে হয়।
যেমন___TAB__histacin.histalex.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+0+১ করে ভরা পেটে ৩/৫ দিন সেব্য।

           or         SYP__histacin.histalex.
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২ চা চামচ করে ৩/৫ দিন সেব্য।

৪।টনসিলের ইনফেকশন বা ফোলা কমানোর জন্য  CEFIXIME  জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___CAP__fix-a-200mg,ceftid-200mg
মাত্রা___প্রত্যহ ১+0+১ করে ৭/১৪ দিন সেব্য।

             or     SUSP__fix-a,ceftid,roxim.
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২ চা চামচ করে ৭ দিন সেব্য।

৫।শারীরিক দুর্বলতার জন্য  VITAMIN-B COMPLEX  জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___CAP____b-50fort
                 TAB____opsovit,aristovit b.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে ভরা পেটে, ১৫/৩০ দিন সেব্য।
          or       SYP__-b-50fort,opsovit,aristovit b.v plex
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২ চা চামচ করে ১৫ দিন সেব্য।

৬।পেটে গ্যাস হলে ESEMOPRAZOL জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB__nexam-20/40mg,esotid-20/40mg
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে বা ১+০+১ কর আহারে ২০মিনিট আগে , ১৫/৩০ দিন সেব্য।

পথ্যঃ
        #হালকা উষ্ণ খাবার বা পানীয় ব্যবহার করা উচিৎ।
        #গলায় কাপড় পেচিয়ে রাখা উচিৎ,যাতে বাতাস না লাগে।
        # ঠান্ডা বাতাসে চলাফেরা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। 
        #ঠান্ডা খাবার পরিহার করতে হবে।

টনসিলাইটিস হলে মোটেই অবহেলা করা ঠিক হবে না।অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে যাবে।

কান পাকা (ACUTE OTITIS MEDIA)



                    কান পাকা! কি দুরগনদ্ধ! যার এ সমস্যা আছে ,একমাত্র সেই বোঝে,এর যন্ত্রনা।
কান পাকা রোগ একমাত্র নিজের অসতর্কতার জন্যই হয়।যে কন বয়সে এ রোগ হতে পারে।
বিশেষ করে যাদের নদি কিংবা পুকুরে ডুব দিয়ে গোছল করার অভ্যাস আছে,তাদের কানে পানি ঢুকে এই সমস্যার সৃষ্টি করে।তাছাড়া ডুব দিয়ে গোছল ছাড়াও অসতর্কতার জন্য কানে পানি ঢুকে কিংবা কান খোচাখুচির স্বভাব জনিত কারনেও ইনফেকশনের দ্বারা কান পাকা সমস্যা হতে পারে।

                   সাধারনত মধ্য কর্ণে এ সমস্যা হয়।নানাবিধ কারনে জীবানুর দূষন থেকে এ সমস্যা হয়।
জীবানু সমুহের মধ্যে স্টেফাইলকক্কাস, স্ট্রেপ্টকক্কাস,নিউমোকক্কাস,হেমোফাইলাস, ইনফ্লুয়েঙ্গা প্রধান।এরা মধ্য কর্ণে ক্ষত সৃষ্টি করে কান পাকা রোগের জন্ম দেয়।

লক্ষনঃ
          #আক্রান্ত ব্যক্তির প্রায়ই সর্দিই লেগে থাকে।
          #অনেক সময় কানে কম শোনা যায়।
          #কান দিয়ে পুঁজ পড়তে থাকে।অনেক সময় বিশ্রি গন্ধ হয়।
          #কান পাকালে শরীরে জ্বর থাকতে পারে।
          #শরীর ম্যাজম্যাজ করে।
          #কানে ব্যাথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে।

চিকিৎসাঃ
 ১।শরীরে জ্বর বা ব্যাথা থাকলে PARACITAMOL  জাতীয় ঔষধ খাবে।
যেমন___TAB__ace-500mg,napa-500mg,fast-500mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে ভরা পেটে ৩/৫ দিন সেব্য।

            or    SYP__napa,ace,fast,xpa
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২ চা চামচ করে ২/৩বার সেব্য।জ্বর/ব্যাথা অনুভুত হওয়া পর্যন্ত।

২।ব্যাথা তীব্র থেকে তীব্রতর হলে DICLOFENAC POTASSIUM  জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB__kataflam-25/50mg,a-fenac-k-25/50mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে ভরা পেটে ৩/৫ দিন সেব্য।

৩।কানের মধ্যে পুঁজ হলে CLOXACILLIN জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___CAP__a-clox-500mg,fluclox-500mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১+১ করে ভরা পেটে ৭/১৪ দিন সেব্য। ৬ ঘন্টা পরপর খাওয়া ভালো।

             or    SUSP___a-clox,fluclox,cloxil.
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২চা চামচ করে ভরা পেটে ৭/১৪ দিন সেব্য। ৬ ঘন্টা পরপর খাওয়া ভালো।

৪।কানের মধ্যে ব্যাবহারের জন্য CLORAMPHENICOL জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করা যায়।
যেমন___DROP__otophenicol,a-phenicol.
মাত্রা___প্রত্যহ ২/৩ ফোঁটা করে দিনে ২/৩ বার কানের মধ্যে ব্যাবহার করবে।

৫।প্রচুর পরিমান VITAMIN-C খাবে।
যেমন___TAB__ceevit,ascobex,ceecon.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে চুষে ৭/১০ দিন সেব্য।

৬।পেটে গ্যাস হলে ESEMOPRAZOL জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB__nexam-20/40mg,esotid-20/40mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করতে আহারের ২০মিনিট আগে,ব্যাথার ঔষধ চলাকালীন পর্যন্ত সেব্য।


পথ্যঃ
         # ঠান্ডা লাগতে দিবে না।
         #সবরকম খাবার খাওয়া যাবে।
         # খালি পায়ে চলাচল না করায় ভাল।
         # নিয়মিত কান পরিস্কার রাখার চেস্টা করবে।


খেয়াল রাখতে হবে যে,কানের মধ্যভাগ ফাঁকা স্থানের মত।এর শেষপ্রান্তে হালকা পর্দা থাকে,যার জন্য আমরা শ্রবন শক্তি অনুভব করি।
সুতরাং কানের প্রতি যত্নশীল হতে হবে।অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত নিকিটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যাবে।

বুধবার, ৪ জানুয়ারি, ২০১৭

নাস্যাল পলিপ (NASAL POLYP)


                             নাক শরীরের অতিমুল্যবান একটি অংগ।নাক আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে এবং কোন কিছুর গন্ধ বুঝতে সাহায্য করে ।নাকের দুই পাশে দুটি ছিদ্র যুক্ত কক্ষ থাকে।নাকের দুই কক্ষের মাঝের দেয়ালের নাম নাস্যাল সেপ্টাম।
যখন নাকের দু পাশের দেয়ালের মিউকাস মেমব্রেন গুলো ফুলে ওঠে,তখন এটিকে অনেকটা কাঁঠালের মুচির মত দেখায়।এই ফোলা মুচির মত মেমব্রেন এর মাঝে একরকম তরল পদার্থ জমে নাস্যাল পলিপের সৃষ্টি করে।
এই পলিপ একত্রে বেশ কয়েকটি হতে পারে।তখন এটিকে আঙ্গুরের থোকার মত দেখায়।এই পলিপ প্রায় আলগা মাংস পিন্ডের মত লাল বর্ণের হয়।
সাধারন অবস্থায় পলিপ চেনা খুবই কস্টসাধ্য।একমাত্র চিকিৎসকরাই এটা ধরতে পারেন।

কারনঃ
          #বাইরে থাকে শক্ত কিছু ঢুকে আটকে থাকলে,এর ফলে সৃষ্ট ক্ষত থেকে পলিপ হতে পারে।
          #নাকের সেপ্টামে ফোঁড়া হলে পলিপ হতে পারে।
          #নাকের সেপ্টামে মাংসবৃদ্ধি পেলে এমনটি হতে পারে।
          #নাকের মধ্যে টিউমার জনিত কারনে এমনটি হতে পারে।
          #সাইনুসাইটিস এর প্রভাবেও এমনটি হতে পারে।
          #যারা বেশি নাকের মধ্যে খোঁচাখুঁচি করেন,তাদের ইনফেকশন এর দ্বারা এমনটি হতে পারে।

লক্ষনঃ
         #নাকের উপোরিভাগ প্রায়ই লাল বর্ণ ধারন করে।
         #প্রায়ই নাক বন্ধ হয়ে যা।বিশেষ করে রাতের বেলায় কিংবা হালকা ঠান্ডার প্রভাবে।
         #শ্বাস প্রশ্বাসে কস্ট হয়।
         #নাকের মধ্যে শিরশির করে,মনে হয় নাকের ভেতর কিছু আটকে আছে।
         #নাক ভারী বোধ হয় ও চুলকায়।
         #শরীরের জ্বর থাকতে পারে।
         #নাকে ব্যাথা হতে পারে।

***নাকের মধ্যে টিউমার বা পলিপ উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা।এ চিকিৎসার জন্য একজন ভালো বিশেষজ্ঞের প্রয়োজন।  অপারেশন/অস্ত্রপাচার দরকার হলে,করিয়ে ফেলা উচিৎ।এবং ঠিকমত ঔষধ চালাতে হবে।আর রোগের শুরুতেই চিকিৎসা করাতে হবে।***

আমি নিচে নাস্যাল পলিপের সাধারন লক্ষন প্রকাশ পেলে যে চিকিৎসার দরকার,তা প্রকাশ করছি______

চিকিৎসাঃ
১।শরীরে জ্বর কিংবা ব্যাথা হলে PARACITAMOL জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB__fast-500mg,napa-500mg,ace-500mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে আহারের পর ৩/৫ দিন সেব্য।

২।পলিপের সংক্রমণ ঠেকানোর জন্য AZITHROMYCIN  জাতীয় ঔষোধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB__zimax-250/500mg,azin-250/500mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ০+০+১ করে আহারের ২০মিনিট আগে ৫দিন সেব্য।বয়সভেদে মাত্রার তারতম্য হবে।

৩।নাকের ভেতর চুলকালে নাক বন্ধ করতে   CETRIZINE HCL জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB__alatrol,cetizin,atrizen.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+0+১ করে আহারের পর ৩/৫ দিন সেব্য।

৪।সর্দি জনিত কারনে নাকবন্ধ হলে  XYLOMETAZOLINE  জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
যেমন___DROP__antazol-0.05/1.0%
ব্যবহার__অপ্রাপ্ত বয়স্ক 0.05% এবং প্রাপ্ত বয়স্ক 1.0% অনুসারে ১/২ ফোঁটা করে দিনে ৩/৪ বার নাকের ছিদ্র পথে টানতে হবে।

বর্তমানে কিছু হাতুড়ে ডাক্তাররা নাকের পলিপ ঠিকমত না চিনেই,একটু লক্ষন প্রকাশ পাওয়া মাত্রই নাকের মধ্যে একপ্রকার এসিড জাতীয় ঔষধ প্রবেশ করিয়া, বৃদ্ধি পাওয়া মাংস পুড়িয়ে দেয়।যা সম্পূর্ণ ভুল চিকিৎসা পদ্ধতি।এর জন্য অনেক সময় রোগটি জটিল হয়ে যেতে পারে।এমনকি নাকের সেপ্টামে ইনফেকশন হয়ে অনেক জটিল অবস্থার সম্মুখিন হতে হয়।এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
এ রোগের চিকিৎসা জন্য একজন ভাল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

পথ্যঃ
        #এ রোগে আক্রান্ত হলে বেশি ঠাণ্ডায় চলাফেরা করবে না।
        #নাকে ধুলাবালুর প্রবেশ ঠেকাতে, ডাস্ট মাস্ক ব্যবহার করবে।
        #নাকে আঙ্গুল ঢুকিয়ে খুচাখুচি করার অভ্যাস পরিহার করতে হবে।

নাস্যাল পলিপ কোন স্বাভাবিক ব্যাধি নয়।এটি নিয়ে গাফলতি করলে, পরবর্তীতে নাকে ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি থাকে।তাই পলিপের কোন লক্ষন প্রাকাশ পেলেই দ্রুত ভালো চিকিৎসকের তত্বাবধানে চিকিৎসা করাতে হবে।

সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০১৭

শিশুর খিঁচুনি জ্বর (FEBRAIL CONVALTION)


              শিশুর খিঁচুনি জ্বর,কোন সাধারন জ্বর নয়।এর সঠিক কারন খুজে চিকিৎসা না করাতে পারলে,পরিনাম হতে পারে ভয়াবহ।

              সাধারনত ৬মাস থেকে ৬বছর বয়সের শিশুর জ্বর ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইট হলেই অনেক সময় খিঁচুনি শুরু হয়।এটা ভাবব্রাইল কনভালশন নামে পরিচিত।
সব ক্ষেত্রে খিঁচুনি বা কনভালশনের কারন খুজে পাওয়া যায় না।তবে কিছু কিছু কারনে জ্বরের মাত্রা তীব্র হলে কনভালশেন শুরু হয়।এসব রোগের মধ্যে,তীব্র কাশি,নিউমনিয়া,ডায়রিয়া,প্রসাবের নালিতে ইনফেকশন অন্যতম।

করণীয়ঃ
              যেসব শিশুদের কনভালশন হয়,তাদের জ্বরের শুরুতেই প্যারাসিটামল সিরাপ খাওয়াতে হবে,যা বয়স ও ওজন অনুযায়ী মাত্রা নির্ধারণ করতে হবে।
বাজেরে প্যারাসিটামল সিরাপ>এইস,নাপা,এক্সপা,ফাস্ট প্রভৃতি নামে পাওয়া যায়।
প্যারাসিটামল খাওয়ানোর পর,ডায়াজিপাম গ্রুপের ঔষধ,যেমন>সেডিল ট্যাবলেট এর অর্ধেক বা পরিমানমত গুড়া করে পানিতে গুলিয়ে খাওয়ানো যায়।
দুই দিনের মধ্যে জ্বরের কোন প্রকার উন্নতি না হলে,দ্রুত কোন শিশু চিকিৎসকের নিকট নিতে হবে।

             কোন শিশুর প্রথমবার কনভালশন হবে,তা আগে থেকে কোনভাবেই বলা সম্ভব নয়।কাজেই প্রথম কনভালশন দেখা দেওয়া মাত্রই ডাক্তারের কাছে নিতে হবে।সঠিক পরীক্ষা নীরিক্ষার মাধ্যমে কনভালশনের আসল কারন খুজে চিকিৎসা দিতে হবে।

ঝুঁকিপূর্ণ শিশুঃ
                      যেসব শিশু ১বছর বয়সের আগেই কনভালশন শুরু হয়,সে সব শিশু খুবই ঝুকিতে থাকে।যদি মা বাবার কারোও কনভালশন সমস্যা থাকে,তহলে ১বছরের নিচের শিশুদের এ রোগ হবার স্মভাবনার হার অনেক বেশি।
                      যদি শিশুর কনভালশন ১৫মিনিটের এর বেশি হয়,কিংবা ঘন ঘন হয়,সেসব শিশু বেশি ঝুঁকির মধ্যে থাকে।

সতর্কতাঃ
              কনভালশন নিয়ন্ত্রন করা না গেলে,শিশুর ব্রেন ক্ষতিগ্রস্থ হয়।ফলে শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাপ্রাপ্ত হয়।এতে শরীরের যে কোন অংশ প্যারালাইসড হতে পারে।
মৃগী বা এপিলেপ্সি বা সারা জীবনের কনভালশন সমস্যা থেকে যেতে পারে।
সুতরাং শিশুর জ্বরের সাথে খিঁচুনি থাকলে,মোটেও সাধারন ব্যাপার ভেবে সময় নস্ট করবে না।দ্রুত একজন শিশু ডাক্তারের শরণাপন্ন হবে।

শেষ কথাঃ
                ফেব্রাইল কনভালশন জ্বরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।তাই জ্বরকে অবহেলা না করে সঠিক সময় সঠিক নিয়মে ঔষধ সেবন করতে হবে।এ রোগের যথাযথ চিকিৎসা করালে শিশুর কোন প্রাকার ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে না।

                                                                                                     

কোমল পানীয় পান ক্যান্সারের কারন।



                   কোমল পানীয়,আমাদের মাঝে কার অপছন্দের?
আমরা সবাই, এক অদ্ভুদ তৃষ্ণা নিয়ে এটা পান করি।এ যেন স্বারাব পানের মত ব্যাপার।এটা পানের জন্য আমাদের মস্তিস্কে আস্বাভাবিক এক নেশা ছড়িয়ে দেয়।
যদিও এটা কোন মাদক নয়।কিন্তু এর ভয়াবহতা মাদকের চেয়েও কম নয়।

                  বর্তমানে অনেকে আবার এটাকে রুটিনমাফিক প্রতিদিন ১/২ টা করে পান করে থাকেন।যারা এই কোমল পানীয় প্রত্যহ পান করছেন,তাদের সতর্ক হওয়া জরুরী।কেননা এই কোমল পানীয় আসলেই কোমল কিনা,তা নিয়ে বিস্তর গবেষনা হয়েছে বা এখনও হচ্ছে।

                 সম্প্রতি সুইডিশ বিজ্ঞানীরা বলেছেন,কোমল পানীয় আসলে কোমল নয়।প্রতিদিন একটি কোমল পানীয় পানে মূত্রথপলিতে ক্যান্সারের ঝুকি প্রায় ৪০শতাংশ বৃদ্ধি পায়।১৫বছর ধরে গবেষনার পর বিজ্ঞানীরা বলেন,যারা প্রতিদিন ৩০০মিলিলিটার কোমল পানিয় পান করেন,অন্য মানুষের চেয়ে তাদের মুত্রথলিতে ক্যান্সার হওয়ার আশংকা ৪০শতাংশ বেশি।তারা প্রায় ৪৫-৭৬বছর বয়সি ৮হাজার সুস্থ্য মানুষের উপর ১৫বছর ধরে গবেষনা চালান।

                  পরীক্ষা চলাকালীন সময় তাদের খাদ্যাভ্যাস পর্যবেক্ষণ করা হয়।গবেষনা শেষে যাদের মূত্রথলিতে ক্যান্সার হয়েছে তাদের খাদ্যাভাসের সংগে সুস্থ্য মানুষের খাদ্যাভ্যাস মিলিয়ে দেখেন।
এতে দেখা গেছে,যারা কোমল পানীয় পান করেননি,তাদের চেয়ে যারা কমল পানীয় পান করেছেন তাদের মূত্রথলিতে ক্যান্সারের হওয়ার হার ৪০শতাংশ বেশি।
এই গবেষনায় প্রাপ্ত ফল প্রকাশের পর,তারা এও বলেন,কোমল পানীয় পানের সঙ্গে মূত্রথলির ক্যান্সারের কি সম্পর্ক রয়েছে,এ বিষয়ে আরও গবেষনা প্রয়োজন।

                  গবেষনায় মূত্রথলির ক্যান্সারের সঙ্গে জুস,ডায়েট ড্রিঙ্কস,চা এবং কফির কোন সম্পর্ক খুজে পাননি বিজ্ঞানীরা।শুধুমাত্র কোমল পানীয়র সম্পর্কই পাওয়া গেছে।

                 সুতরাং এ কথা বলা যায় যে,যারা নিয়মিত কোমল পানীয় পানে বেশি আসক্ত,তারা আজ থেকেই সাবধান হয়ে যান।আমাদের বাজারে বিভিন্ন নামে কোমল পানীয় পাওয়া যায়।
তাই নিজের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে চাইলে,আজ থেকেই কমল পানীয়কে দূরে ঠেলুন।

                                                                                                  সূত্র>>>>হেলথ ডেস্ক।

রবিবার, ১ জানুয়ারি, ২০১৭

বাতজ্বর (RHEUMATIC FEVER)



             বাতজ্বর,আমাদের দেশে মুটামুটি পরিচিত রোগ।
সাধারনত স্ট্রেপ্টোকক্কাস বিশেষ প্রজাতি বা স্ট্রেপ্টকক্কাস হেমোলাইটিকাস এর সংক্রমনের জন্য ৫-১৫বছরের ছেলেমেয়েদের গলাব্যাথা হয়।যার ফলশ্রুতিতে বাতজ্বর হবার সম্ভাবনা থাকে।
            এ রোগের প্রধান লক্ষন যেমন,বড় বড় গিরা বা হাটু,পায়ের গিরা,হাতের কুনুই,কিংবা হাতের কব্জি ফুলে ব্যাথা হলে এবং তাঁর সাথে জ্বর থাকলে সাধারনত আমরা বাতজ্বর বুঝি।
           স্ট্রেপ্টকক্কাসের এন্টিজেন শরীরের বিভিন্ন কোষ কলা বিশেষ করে হৃদপিণ্ডের ভাল্বের গ্লাইকোপ্রটিনের সাথে বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়ার ফলে বাতজ্বরের সৃষ্টি হয়,এর সাথে সাথে হৃদপিণ্ডের ভাল্ব নস্ট হতে পারে।
           তাই কখনও এই রোগের লক্ষন প্রকাশ পেলে, দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেয়ে যাবতীয় পরীক্ষা নীরীক্ষার মাধ্যমে বাতজ্বরের ব্যপারে নিশ্চিত হতে হবে।
          পুস্টির অভাব,অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এ রোগ বেশি দেখা যায়।এ রোগ হবার নির্দিষ্ট কোন দিন বা মাস নেই,যে কোন ঋতুতেই এ রোগ হতে পারে।সাধারনত বর্ষা বা শিতকালে এ রোগের প্রকোপ দেখা দেয়।এ রোগ একটি পরিবারের ভিন্ন ভিন্ন সদস্যের হতে পারে আবার একা একজনেরও হতে পারে।

লক্ষনঃ
           #শরীরে জ্বর থাকে,এবং দীর্ঘ দিন যাবত জ্বর লেগেই থাকে।
           #গলার ভেতরের দিকে ব্যাথা হয়।ঢোক গিলতে অসুবিধা হয়।
           #হাত পায়ের আঙ্গুল বা অস্থিসন্ধিতে ব্যাথা হয়,আবার কখনও ফুলে যাতে পারে।
           #কখনও কখনও বুকের বাম পাশে বা বাম স্তনের নিচে চাপা ব্যাথা অনুভুত হতে পারে।
           #হাত বা পায়ের কোন একটা জয়েন্ট এর ব্যাথা ও ফোলা কমলেও আবার অন্যটি আক্রান্ত হতে               পারে।
          #শরীরে ব্যাথা থাকতে পারে।
          #রোগী শারীরিক দুর্বলতা অনুভব করে।
          #জিহ্বা কালচে বর্ণের দেখায়।
          #শ্বাস-প্রশ্বাসে কস্ট হয় বা বুক ধড়ফর করে।

রোগ নির্ণয়ঃ
                 শুধুমাত্র লক্ষনের উপর ভিত্তি করেই বাতজ্বর রোগের উপস্থিতি পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায় না।এর জন্য যথেস্ট পরীক্ষা-নীরীক্ষার প্রয়োজন আছে।এজন্য একজন ভালো বিশেষজ্ঞের তত্বাবধানে রোগীর চিকিৎসা করাতে হবে।
              মনে রাখবে,এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি অল্পদিনে পুরোপুরি আরোগ্য হতে পারে না।এজন্য পূরন মেয়াদে ঔষধ সেবন করতে হয়।

বাতজ্বরের উপস্থিতির ব্যাপারে নিশ্চিত হবার পর,নিম্নের চিকিৎসা বা ব্যবস্থাপত্র অনুসরন করা যেতে পারে।

চিকিৎসাঃ
১।শরীরের জ্বর বা ব্যাথা কিংবা ফোলা কমানোর জন্য SALICYLET জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB_ecosprin-75/300mg,aspin-75mg
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১করে বেশ কিছুদিন ধরে রাখতে হবে,তবে প্রয়োজন অনুযায় মাত্রা বাড়ানো বা কমানো যাবে। বয়সভেদে মাত্রা তারতম্য হবে।

২।এর সাথে PENICILLIN জাতীয় ঔষধ,
                     INJECTION__benzapen-12lac/6lac.

মাত্রা___চিকিৎসার শুরু থেকে প্রত্যহ ১বার ১০/১২ লাখ ইউনিট গভির মাংসপেশীতে ইনজেক্ট করতে হবে,প্রায় ১/২ সপ্তাহ।

৪।ইনজেকশন ব্যাবহার শেষ হলে, PENICILLIN জাতীয় ঔষধ
                                         TAB__oracyn-K-250mg,penvik-250mg  খেতে হয়।
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১করে এক নাগাড়ে ৪/৫বছর ধরে রাখতে হবে,তবে ৪/৫ দিন করে মাঝে গ্যাপ দেওয়া অনুচিত হবে।

৫।বুকে ব্যাথা থাকলে স্টেরয়েড PREDNISOLUN জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB_deltason-5mg,deltapred-5mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১ করে  বেশ কিছুদিন ধরে রাখতে হবে।তবে ঔষধ একবারে ছেড়ে দেয়া ঠিক  হবে না।এরজন্য ক্রমে ক্রমে মাত্রা কমিয়ে বাদ দেওয়া যেতে পারে।

৬।পেটে গ্যাস থাকলে RANITIDINE জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB_neotack-150,ranidin-150mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+০+১করে আহারের ২০মিনিট আগে সেব্য।ব্যাথার ঔষধ চলাকালীন পর্যন্ত।

পথ্যঃ
         #পূর্ণ বিশ্রাম নিবে।
         #স্বাভাবিক পুস্টিকর খাবার খাবে।
         #ভারী কোন কাজ বা শরীরের চাপ সৃষ্টি করে এমন কোন কাজ হতে দূরে থাকবে।

মনে রাখবে,এ রোগের জন্য ঔষধ পূর্ণ মেয়াদে সেবন না করলে বারবার শরীর রোগাক্রান্ত হবে।
সুতরাং লক্ষন দেখা মাত্রই বাতজ্বর সম্পর্কে নিশ্চিত হবার জন্য,দ্রুত নিকটস্থ চিকিৎসা কেন্দ্রে যাবে।

অসুস্থতায় রয়েছে সৃষ্টিকর্তার প্রভুত কল্যান।


               শারীরিক সুস্থ্যতা সৃষ্টিকর্তার এক বৃহৎ নেয়ামত।মানুষ মাত্রই সুস্থ্য থাকতে চাই। সবল বা যৌবনদীপ্ত থাকতে ভালোবাসে।সুস্থাতার জীবনতরী চালাতে চায়।কেউ অসুস্থ্য হতে চায় না।শরীরের রোগব্যধি বা কোন প্রকার ক্ষত পছন্দ করে না। মুমূরষ হতে না হতেই হা-হুতাশ আরম্ভ করে দেয়।অনেকে আবার আক্ষেপের সাথে নানা রকম মন্দ কথা বলা শুরু করে দেয়,যা একদমই অনুচিত।

             সুস্থ্যতা যেমন আল্লাহর নেয়ামত,তেমনি অসুস্থ্যতাও আল্লাহর নেয়ামত।আল্লাহ যাকে পছন্দ করেন,তাকেই রোগ ব্যাধি বা কস্ট দুঃখ দেন।রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়েছেন অনেক নবি-রাসুল ,সাহাবি,বুজুরগ ও আল্লাহর ভালোবাসার ব্যক্তিরা।
বিশেষ করে আইয়ুব (আঃ) এর কথা উল্লেখযোগ্য।

              সৃষ্টি জগতে আল্লাহর সবচেয়ে বেশি পছন্দের,হলে মহানবী (সাঃ)।তিনি আল্লাহর বন্ধু।আল্লাহ তায়ালা তাকেও রোগ ব্যধি দিয়েছেন।কস্টে ফেলেছেন।আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,_- আমি রাসুল (সাঃ) এর চেয়ে আর কাউকে বেশি রোগ যন্ত্রনা ভোগ করতে দেখিনি।_-(বোখারিঃ৫৬৪৬)

              অসুস্থ্যতা প্রভুর দয়া। তাঁর পক্ষ হতে বান্দার উপর প্রদত্ত রহমত।তিনি বান্দার কল্যানারথে,অসুস্থ্য করেন।বান্দার ভরপুর কামিয়াবি দান করতে ব্যধিগ্রস্থ করেন।অসুস্থ্যতা হা-হুতাশ বা নিরাশের বিষয় নয়।অসুস্থ্যতা শুকরিয়া আদায়ের জায়গা।
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত _-রাসুল (সাঃ) বলেন,আল্লাহ যে ব্যক্তির কল্যান কামোনা করেন,তিনি তাকে দুঃখ কস্টে পতিত করেন।_-(বোখারিঃ৫৬৪৫)

              মানুষ বিভিন্ন পাপাচারে লিপ্ত হয়ে গোনাহ করে।গোনাহ করা মানুষের স্বভাব।গোনাহ বা পাপ করলে আল্লাহ নারায হন।যার দরুন পরকালে অশান্তিতে থাকতে হয়।
অসুস্থ্যতা গোনাহ মাপের সহায়ক।অসুস্থ্য থাকলে পাপ মাফ হয়।কলব পরিস্কার হয়,পাপ ক্ষয় হয়।
নবী (সাঃ) এর সহধর্মিণী আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত --রাসুল (সাঃ) বলেন,মুসলিম ব্যাক্তির উপর যে সব বিপদ-আপদ আসে,এর দ্বারা অল্লাহ বান্দার পাপ মচন করেন,এমনকি যে কাটা তাঁর শরীরে ফুটে,তার থেকেও পাপ মোচন হয়।_-(বোখারিঃ৫৬৪০)

               আল্লাহ সুমহান,অতি দয়ালু।বান্দার শরীরের বিন্দু কাটার আঘাতেও আল্লাহ গোনাহ মাফ করেন।অসুস্থ্যতায় পাপ ক্ষয় হয়,গোনাহ দূর হয়,এটা চিরন্তন সত্য।
রোগ ব্যধি,দুঃখ কস্টের দ্বারা বান্দার মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।প্রভুর নৈকট্য অর্জন হয়।
পাতা যেমন ঝরে বৃক্ষ থেকে,অসুস্থ্য বান্দার গোনাহ সে ভাবে ঝরে যায়।বান্দা তখন পাক পবিত্র হয়ে যায়।

                 অসুস্থ্যতা,হতাশা বা দুরাশার কারন নয়।অসুস্থ্যতা গোনাহ কে গাছের পাতার মত ঝরিয়ে দেয়।আব্দুল্লাহ (রাঃ) বর্ণনা করেন_-আমি নবী (সাঃ) এর অসুস্থ্য অবস্থায় তাঁর কাছে গেলাম,ওই সময় তিনি অনেক জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন।আমি বললাম,নিশ্চয় আপনি ভীষন জ্বরে আক্রান্ত,আমি এও বললাম যে,আপনার জন্য দ্বিগুন সওয়াব।তিনি বললেন,হ্যা।যে কেউ  রোগাক্রান্ত হয় তা থেকে গোনাহ গুলো এভাবে ঝরে যায়,যে ভাবে গাছ থেকে পাতাগুল ঝরে যায়।_- (বোখারিঃ৫৬৪৭)।

                  তাই,আমাদের উচিৎ,আমরা কোনা রোগ ব্যাধিতে আক্রান্ত হলে,হা-হুতাশ না করে আল্লাহর কাছে রোগ মুক্তির জন্য প্রার্থনা করা।কেননা আল্লাহ রোগ দিয়েছেন আবার রোগের শেফাও দিয়েছেন।

                                                                       >>>সংগ্রহ।

ঝুকিমুক্ত বাবা হতে চাইলে,করনীয়......


                    স্ত্রীদের মা হওয়া কিংবা পুরুষের বাবা হওয়া,একটা চিরায়িত আকাংখা।আর সন্তান জন্মদান,পুরুষ কিংবা স্ত্রী লোকের সক্ষমতার পরিচয়ক।
আগে ধারনা করা হত,শুধুমাত্র বেশি বয়সে মা হলে সন্তানের নানা রকম শারীরিক সমস্যা হতে পারে,কিন্ত গবেষনায় বেরিয়ে এসেছে,শুধু মা নয় বরং বেশি বয়সে বাবা হলেও এর প্রভাব সন্তানের উপর পড়ে।

                    বিয়ের পর যারা সন্তান নিচ্ছেন না তাদের জেনে রাখা ভালো যে,বেশি বয়সের বাবা হয়ার অনেক ঝুকি আছে।কেননা বাবার বয়স সন্তানের বংশগত  জটিলতার সঙ্গে সরাসরি জড়িত।
শিশুর স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে,মায়ের চেয়ে বাবার বয়সই প্রভাবক হয়ে কাজ করে।অসুস্থ্য,আস্বাভাবিক সন্তান জন্ম হলে বেশিরভাগ সমাজ ব্যবস্থা মায়েদেরই দোষ দিয়ে থাকে।কিন্তু সম্প্রতি গবেষনায় দেখা যায় যে,অটিজম,সিজোফ্রানিয়া কিংবা মানসিক ও শারীরিক বিকলাঙ্গতা নিয়ে যে সব শিশু জন্ম নিচ্ছে এর একটি প্রধান কারন বেশি বয়সে বাবা হওয়া।
অর্থাৎ বাবা হিসেবে বেশি বয়সে সন্তান জন্ম দিতে চাইলে,আগত শিশুর মানসিক ও শারীরিক জটলতা থাকার সম্ভাবনার ঝুকি বহু গুন বেড়ে যায়।

                       গবেষনায় দেখা যায়,২০বছরের বেশি বয়সের বাবার সন্তানদের ২৫টির মত জটিলতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।সেখানে ৪০বছর বয়সের বাবার সন্তান্দের সে সম্ভাবনা ৬৫টি জটিলতার।
অর্থাৎ বাবার বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুর জটিলতার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।

                         মোট কথা,শিশুদের শারীরিক ও মানসিক জটলতার ৯৭ ভাগ কারন বেশি বয়সে বাবা হওয়া বা সন্তান জন্ম দেওয়া।
গবেষনায় আরও দেখা যায় যে,১৯৭০ সাল থেকে উন্নত দেশগুলোতে শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছে,আর এ শিল্প বিপ্লবের কারনে পুরুষেরা বেশি বয়সে বাবা হচ্ছে,আর এতে উন্নত বিশ্বে অটিজম ও অন্যন্ন মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধি শিশুর জন্ম নেওয়ার হারও বেড়ে গেছে।

                          তাই বলা যায়,সুস্থ্য স্বাভাবিক শিশু জন্ম দিতে চাইলে অন্তত প্রথম সন্তানটি ৩০-৩৫বছরের মধ্যে জন্ম দিন নতুবা বাবা হিসেবে আপনাকে ঝুকির মধ্যে থেকে একটা অজানা শঙ্কায় থাকতেই হবে।
একারনে ঝুকিমুক্ত বাবা হতে আপনাকে কিন্তু ভাবতেই হবে।

                                                                                    সুত্র>>> হেলথ ডেস্ক।

ভিটামিন ই/VITAMIN E

প্রাথমিক ধারনাঃ ভিটামিন ই ট্যাবলেটে আছে সিনথেটিক ভিটামিন ই। এর সম্পূর্ণ কার্যকারিতা এখনও অজানা।তবে একথা প্রমানিত যে,ভিটামিন ই এন্টিঅক্সিড...