বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৭

ভিটামিন ই/VITAMIN E

প্রাথমিক ধারনাঃ
ভিটামিন ই ট্যাবলেটে আছে সিনথেটিক ভিটামিন ই।
এর সম্পূর্ণ কার্যকারিতা এখনও অজানা।তবে একথা প্রমানিত যে,ভিটামিন ই এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেব কাজ করে।
ভিটামিন ই প্রানী দেহের জন্য এক অপরিহার্য উপাদান।
এর অভাবে অপ্রাপ্ত বয়স্কদের ইডিমা,শরীরে জ্বালা,থ্রম্বসিস হতে পারে।
তাছাড়া এর অভাবে প্রাপ্তবয়স্করা ক্রিয়াটিনুরিয়া,মাংস পেশীর দূরবলতা,রক্তের শ্বেত কনিকা কমে যেতে পারে।
তাছাড়া এর অভাবে পুরুষের পুরুষত্ব ক্ষমতা লোপ পেতে পারে।

ভিটামিন ই  যকৃতে পরিপাক হয়।এবং  প্রাথমিকভাবে বাইল এর মাধ্যমে রেচন হয়।অল্প পরিমানে মূত্রের সাথে বের হয়ে যায়।

উপাদানঃ
প্রতিটি সুগার কোটেড ট্যাবলেটে আছে ভিটামিন ই ইউএসপি ২০০মিঃলিঃ এবং ৪০০মিঃলিঃ গ্রাম।

নির্দেশনাঃ
খাদ্যে ভিটামিন ই এর সম্পুরক হিসেবে কাজ করে।খাদ্যের দুর্বল বিশেষনের জন্য ভিটামিন ই এর অভাব এবং খাদ্যে পলিয়ান্স্যাচুরেটেড স্নেহ পদার্থের আধিক্যহেতু ভিটামিন ই এর প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পায়।
গর্ভ ধারনের সমস্যা,স্টাসিস আলসার,কানেকটিভ টিস্যুর দুর্বলতা,তাছাড়া কোন কোন ক্ষেত্রে পেশির গোলমালের জন্যও ব্যবহার হয়।

সেবন বিধি ও মাত্রাঃ
ভিটামিন ই ২০০মিঃলিঃগ্রামের ক্ষেত্রে,প্রত্যহ ১+০+১ অথবা ০+০+১ আহারের পর চুসে বা পানি দিয়ে গিলে সেব্য।
৪০০মিঃলিঃগ্রামের ক্ষেত্রে ০+০+১ করে আহারের পর সেব্য।

ভিটামিন ই একাধারে ১মাস বা দেড় মাসের বেশি সেবন করা অনুচিত।

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াঃ
ভিটামিন ই সাধারনত সু সহনিয়।
তবে দীর্ঘদিন ব্যবহারে চোখে ঝাপসা দেখা,ডায়রিয়া,মাথা ঝিমুনি,বমি বমি ভাব,পাকস্তলী মোচড়ানোর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
তাছাড়া এটি দীর্ঘদিন সেবনে পুরুষ বা মহিলাদের স্তন বৃদ্ধি পেতে পারে।

বাজারে প্রচলিত ঔষধঃ
বাজারে বিভিন্ন নামে ভিটামিন ই পাওয়া যায়।
যেমন___ ecap,etab,evit,ecovit.

ভিটামিন ই সেবন করার আগে দেহে এর প্রয়োজনীয়তা যাচাই করতে হবে।
তাছাড়াও একজন ভালো বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরী।

বুধবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০১৭

কোষ্ঠকাঠিন্য (CONSTIPATION)


        প্রতিদিন খাদ্যসমুহ খাবার পর সঠিক মাত্রায় এবং সঠিক সময়ে অভুক্ত অংশ শরীর থেকে বের না হওয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য।
খাদ্যের অসাড় দ্রব্য ২৪ হতে ৬ ঘন্টার মধ্যে শরীর থেকে বের হওয়াই নিয়ম।একটি সুস্থ্য মানুষ স্বাভাবিক খাদ্য খেয়ে প্রতিদিন ১/২ বার মল ত্যাগ করে।
তবে অনেকের খাদ্যবাসের হেরফেরের কারনে মল ত্যাগ করার অভ্যাসও ভিন্ন হতে পারে।
তবে যদি দীর্ঘদিন ধরে চলা প্রাকৃতিক নিয়ম হটাত করে বেশি পরিবর্তন হয়ে মল ত্যাগের নির্দিষ্ট সময়ের অনেক দেরীতে হয়,তবে তা কোষ্ঠকাঠিন্য হয়েছে বলে ধরা যায়।

এটি আসলে রোগ নয়।একটি বা অনেকগুলো রোগের লক্ষন হয়ে এটি প্রকাশ পায়।
তাই এমনটি হলে অবহেলার কোন সুযোগ নেই।
কেউ কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে আক্রান্ত হলে,সেই বোঝে এর নিরব যন্ত্রনা।কেননা শারীরিক অসস্থির সাথে সাথে,কোন কাজে মন বসানো যায় না।মল পরিস্কার না হওয়া পর্যন্ত যে কোন খাবার গ্রহন ভালোভাবে করা দুস্কর।সবমিলিয়ে একটা বিরক্তিকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয়।

বিভিন্ন কারনে কোস্টকাঠিন্যে আক্রান্ত হতে হয়,তবে এর অন্যতম কারন শরীরে জলীত দ্রবনের ঘাটতি।যার জন্য বেশিরভাগ আমরা নিজেরাই দায়ী।
মল শক্ত হলে অনেকসময় পায়ু পথ ছিলে যেতে পারে বা ফেটে যেয়ে মলের সাথে রক্ত আসতে পারে।
ভয় না পেয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা নিলে আরোগ্য হওয়া যায়।

কারনঃ
           @স্বাভাবিক শাকসবজি খাবার পর পানি কম খাওয়া,অল্প পরিমান খাদ্য খেয়ে পাকস্তলীর                          দুই-ত্রিতীয়াংশ খালি রেখে আর এভাবে দীর্ঘদিন চললে এমনটি হতে পারে।
           @অত্যাধিক পরীশ্রমে শরীর বেশি ঘামলে,শরীরে জলীয় দ্রবনের ঘাটতি হয়,এ জন্য প্রচুর পানি                 বা তরল পান না করলে।
           @স্নায়ুতন্ত্রীয় রোগে,প্যারালাইসিস,মানসিক উত্তেজনা বা দীর্ঘদিনের পেটের ব্যাথা ইত্যাদিতে                       ভুগলে ক্ষুদ্রান্ত ও ব্রিহদান্তের সঙ্কোচনের কারনেও এমনটি হতে পারে।
           @উত্তেজক খাবার বা বিভিন্ন মাদক বা ধুমপান গ্রহনের কারনে এমনটি হতে পারে।

          #কুঅভ্যাস জনিত কারন যেমন,মল ত্যাগের চাপ অনুভব করলেও,তা ইচ্ছা করে আটকিয়ে                     রাখা বা দেরীতে করা।
         #সঠিক সময়ে মল ত্যাগের অভ্যাস না করা।
         #মল নালীর শেষ প্রান্তে পাইলস,ফিস্টুলা,অরশ প্রভৃতি আক্রমন করে,মল নালীর প্রান্ত ভাগ সরু             হয়ে এ রোগ হতে পারে।
         #মলাশয়ের ভেতর কোন প্রতিবন্ধকতা যেমন,টিউমার হলে এমনটি হতে পারে।

লক্ষনঃ
        *মল অত্যন্ত শক্ত হয়,মল ত্যাগে কস্ট হয়।কোন ভাবেই মল বাহির হতে চায় না।
        *সঠিক সময়ে মল ত্যাগ করা যায় না,মলে প্রচন্ড দুর্গন্ধ হয়।
        *মল ত্যাগের সময় প্রচুর চাপ দিতে হয়।
        *মুখে দুর্গন্ধ বা মুখ শুস্ক থাকতে পারে।
        *শরীরে অস্থিরতা বা অনিদ্রা হতে পারে।কোন ভাবেই শান্তিবোধ হয় না।
        *মাথা ব্যাথা বা ঝিমুনি বা মাথা ধরা হতে পারে।
        *পেটে গ্যাস জমা হয় এবং সুচি বায়ু দেখা দেয়।
        *পেট ভারি ভারি লাগে।
        *ক্ষুদা থাকে না,খাদ্যে অনিহা জন্মে।
        *কখন কখন পেটে ব্যাথা হতে পারে।
        *পেট ফাঁপা বা বুক জ্বলা থাকতে পারে।

চিকিৎসাঃ
১।মল শক্ত হলে বা বের হতে না চাইলে LACTULOSE জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন____SOLU__avolac,lactu,acilac.
মাত্রা____প্রত্যহ ২/৩ চা চামচ করে ২/৩ বার সেব্য।

             অথবা,
         SOLU____ Milk of Magneshia
মাত্রা____প্রত্যহ ২/৩ চা চামচ করে ২/৩ বার সেব্য।

২।পেট ব্যাথা থাকলে  HYOSCINE BUTYL BROMIDE জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB___brospan,butapan,lopan,belcopan
মাত্রা____প্রত্যহ ১+০+১ করে পেট ব্যাথা থাকলে।

৩।পেটে অম্ল বা গ্যাস জমা হলে  ESOMEPRAZOLE  জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB__esotid-20/40mg,nexam-20/40mg
মাত্রা____প্রত্যহ ১+০+১ করে আহারের ২০মিনিট আগে সেব্য.১০-১৪দিন পর্যন্ত।

৪।পেট ফাঁপা বা বুক জ্বালা থাকলে  DOMPERIDONE জাতীয় ঔষধ খাওয়া যায়।
যেমন___TAB_motigut-10mg,omidon-10mg.don-a-10mg.
মাত্রা____প্রত্যহ ১+১+১ করে আহারের ২০মিনিট আগে সেব্য.১০-১৪দিন পর্যন্ত।

৫।বুক ধরফর বা মানসিক অশান্তি থাকলে  NORTRYPTYLIN & TRYFLUPERAZINE জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB__norflu,norzin,moodon.permival
মাত্রা____প্রত্যহ 0+0+১ করে ঘুমনোর আগে ৭দিন সেব্য।

৬।পেটে কৃমি হলে ALBENDAZOLE জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB__alben-ds-400mg
মাত্রা____১বড়ি রাত্রে চুষে খেতে হয়।
                 এভাবে ৩ দিন অন্তর মোট ২বড়ি খাবে।
                            গর্ভবতী মহিলা বা ২বছরের নিচের শিশুদের দেয়া যাবে না।

৭।মলদ্বারে ফাটল বা অর্শ ,ফিস্টুলা,পাইলস থাকলে মলদ্বারে ব্যবহারে জন্য,
          OINT____ANUSTAT.
পায়ূ পথের ভেতর ব্যবহার করতে হত,প্রত্যহ অন্তত ২ বার।
তবে মল ত্যাগের পরপর ব্যবহার করায় উত্তম।

পথ্যঃ
        #প্রচুর পরিমানে পানি ও তরল খাবার খাবে।
        #প্রচুর শাকসবজি খাবে।
        #প্রতিদিন সকালে মল ত্যাগ করার অভ্যাস করতে হবে।
        #প্রতি তিন মাস অন্তর কৃমির ঔষধ খাবে।

কোষ্ঠকাঠিন্য হলে দেরী না করে দ্রুত নিকটস্থ্য চিকিৎসা কেন্দ্রে যাবে।

মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০১৭

এমিট্রিপটাইলিন শ্রেনীভুক্ত ঔষধ (AMETRYPTYLINE HCL)


 বিবরনঃ
             AMETRYPTYLINE/এমিট্রিপটাইলিন একটি ট্রাইসাইক্লিক এন্টিডিপ্রেসান্ট,যার এসিটাইকোলিন বিরোধী এবং সুপ্তিকর বৈশিস্ট্য রয়েছে।এটি স্নায়ু প্রান্তে নড়এড্রিনালিন এবং সেরোটোনিন পুনঃ গ্রহনে বাধা প্রদান করে।
এমিট্রিপটাইলিন পরিপাকনালীতে দ্রুত শোষিত হয়।
এটি প্রধারনত মেটাবোলাইট হিসেবে প্রসাবের মাধ্যমে শরীর থেকে নিঃসৃত হয়।

উপাদানঃ
           প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে এমিট্রিপটাইলিন  হাইড্রোক্লোরাইড ইউএসপি ১০ ও ২৫ মিঃগ্রাঃ

বাজারে প্রচলিত এমিট্রিপটাইলিন শ্রেনীভুক্ত ঔষধঃ

              TAB____tryptin,amilin,saronil.

নির্দেশনাঃ
           বিষন্ন জনিত অসুস্থ্যতা,বিশেষভাবে মানসিক দুশ্চিন্তা, কিংবা মানসিক ভীতিপ্রবন লোকের জন্য ব্যবহার করা হয়।
তাছাড়া যে সব মানুষ বা শিশু মুত্র বেগ ধারনে অক্ষম বা রাত্রীকালীন বিছানায় মুত্রত্যাগ করা শিশুদের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।

ব্যবহারবিধি/মাত্রাঃ
             এটি সাধারনত ১০মিঃগ্রাঃ মাত্রার একটি ট্যাবলেট মুখে গ্রহন করতে হয়, ১ কিংবা ২ বার,প্রত্যহ।
এবং ২০মিঃগ্রাঃ মাত্রা একটি ট্যাবলেট মুখে গ্রহন করতে হয় প্রত্যহ ১ বার।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
             অস্পস্ট দৃষ্টি,শুস্ক মুখ,কোস্টহকাঠিন্য,বমি বমি ভাব,প্রসাবে অসুবিধা বা মাথা ঝিমুনি দেখা দিতে পারে। কম বয়স্কদের ক্ষেত্রে কখন কখন শরীরে চুলকানি দেখা দিতে পারে।
আবার বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে অস্বাভাবিক আচরন বা নানা রকম ভ্রান্তি হতে পারে।
দীর্ঘ দিন সেবনে যৌন অনিচ্ছা দেখা দিতে পারে।

সাবধানতাঃ
            এটি সেবনের পরপর চোখে ঝপসা দেখা বা অস্পস্ট দৃষ্টি হলে যানবাহন বা ভারি যন্ত্রপাতি চালাবে না। মৃগী রোগের ইতিহাস আছে এমন রোগীর জন্য খুবই সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে।

সতর্কতাঃ
          কারডিয়াকে অসুস্থ্যতা বা বহুমূত্র রোগীদের ক্ষেত্রে ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
গর্ভাবস্থায় ব্যবহারে সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠিত হয়নি।

ডায়াজিপাম শ্রেনীভুক্ত ঔষধ (DIZEPAM)


বিবরনঃ
            ডায়াজিপাম একটি বেনজোডায়াজিপিন জাতীয় ট্রাঙ্কুলাইজার।এর কার্যকারিতার মধ্যে সুপ্তিকরন,পেশী শিথিলকরন,খিচুনী নিবারন অন্যতম।এটি কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রকে সামগ্রিক ভাবে নিস্তেজ করে কার্যকারিতা প্রদর্শন করে।এই শ্রেণীভুক্ত ঔষধ সমুহের মুল লক্ষ্য হচ্ছে মানসিক উদ্দ্যেগ ও অস্থিরতা উপশম করে সুপ্তি আনয়ন করা।

উপাদানঃ
             ট্যাবলেট আকারেঃ এর প্রতিটি ট্যাবলেটে আছে ডায়াজিপাম বিপি ৫ মিলিগ্রাম।
             ইনজেকশন আকারেঃ প্রতিটি ২মিলিঃ এম্পুলে আছে ডায়াজিপাম বিপি ১০মিঃগ্রাঃ।

নির্দেশনাঃ
              প্রশান্তি আনয়নকারী হসেবে এর জুড়ি নেই।এটি মানসিক দুশ্চিন্তা,অস্থিরতা, উতকন্ঠা,চাপা উত্তেজনা বা মানসিক চাপের রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়। পেশীর খিচুনী ও কম্পন উপশমের জন্য এবং বিভিন্ন রকম মাদকে আসক্ত ব্যক্তিদের আসক্তি কমানোর জন্য এটি সফলতার সাথে ব্যবহার করা হয়। 
মৃগী রোগীদের ক্ষেত্রেও এটি খুব সফলতার সাথে কাজ করে,তবে এ রোগীদের জন্য মুখে খাবার চেয়ে ইনজেকশন আকারে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

বাজারে প্রচলিত কিছু ঔষধঃ
                TAB________sedil,easium,rozam,relexen,seduxen.
                INJ_________easium,sedil.

ব্যবহারবিধি/মাত্রাঃ 
                মুখে খাওয়াঃ ডায়াজিপাম সুসহনীয় ও দ্রুত কার্যকর হবার জন্য খুবই নিরাপদ ও গুরুত্বপূর্ণ ঔষধ।এটি রাত্রে ঘুমোনোর ২০মিনিট আগে খাওয়া উচিত।প্রত্যহ ১বার।
                ইনজেকশনঃএটি শিরাপথে প্রয়োগ করতে হয়।খুব ধীরে ধীরে।১ এম্পুল প্রত্যহ।তবে প্রয়োজনীতার উপর ভিত্তি করে চিকিৎসক মাত্রা বিভক্ত করে থাকেন।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াঃ
                এ শ্রেনীভুক্ত ঔষধ খুবই সহনীয়।এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া খুবই মৃদু।তবে এটি সেবনে ঘুম ঘুম ভাব,মুখ শুস্কতা,অমনযোগীতা,রক্তচাপ কমে যাওয়া,অন্যতম।
তবে দীর্ঘদিন ব্যবহারে মাত্রা বাড়ালে যৌন আকাঙ্খা কমে যেতে পারে।

সাবধানতাঃ
              খুবই বৃদ্ধ ও দুর্বল রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই সাবধানতার সাথে এটি ব্যবহার করা উচিৎ। 
লিভার এর কাজে বিঘ্ন থাকলে কিংবা গ্লোকোমা থাকলেও ব্যবহারে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। 
ইনজেকশন আকারে ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুবই সতর্কতা প্রয়োজন,বিশেষ করে দুর্বল ও পীড়িত ও অতিবয়স্কদের বেলায় শ্বাসযন্ত্রের রোগ থাকলে এটি ইনজেক্ট করা থেকে বিরত থাকা উচিৎ।
কেউ মদ্যপ বা মাদক দ্বারা বিষক্রিয়া ঘটলে সেক্ষেত্রেও সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

সতর্কতাঃ
            এটি ইনজেকশন আকারে ব্যবহার করলে অন্য ঔষধের সাথে মিলিয়ে পুশ করা উচিৎ নয়।
গর্ভাবস্থার প্রথম পর্যায়ের দিকে ইহা সেবন উচিৎ নয়।

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০১৭

স্টেরয়েড ঔষধ খেয়ে মোটা হওয়া ভালো ?? না খারাপ ??


                        অনেকদিন ধরেই ভাবছি যে বিষয়টা,তা হল_যারা একেবারেই হাড্ডিসার,তারা অনেকের কুমন্ত্রনায় পড়ে,নিজের শরীর মোটা করার জন্য নানা রকম স্টেরয়েড ঔষধ সেবন করে থাকেন।যা যমদূত কে আগাম কাছে টানার শামিল।
কেন বলছি ??

             (আগেই বলি,বুঝানোর সুবিধার্থে আমার জীবনের এক দুঃখ জনক ঘটনার বর্ণনা করছি)

শুনুন তাহলে..................

                                       আজ থেকে প্রায় ১০বছর আগের কথা বলছি।আমার বয়স ১৮ বছর এর কাছাকাছি। আমি তখন চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ লাইন এলাকায় থাকি,আমার বাবা মা এবং ছোট বোনকে নিয়ে।কেননা আমার বাবা তখন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।
এবার আসল কথায় আসি।
আমার এক হাড্ডিসার পাতলা চিকন বন্ধু রাসেল (ফেক নাম) হটাত করেই,মানে বলতে পারেন অনেকটা রাতারাতি,
মাত্র ৭/১০ দিনের মাথায় নিজের ওজন ৫/৬ কেজি বারিয়ে ফেলে।দেখতেও অনেকটা গোলগাল লাগছিল।মুখটা ছিলো মাংসে পরিপূর্ণ।মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানেই কেমন আমূল পরিবর্তন,ওর শারীরিক গড়নে।
আমরাতো সব বন্ধু মিলে খুবই অবাক।তারপরও ওর স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য অনেক বাহবা দিলাম।
তারপর,যথারীতি মাত্র ১/২ মাসের মধ্যেই নাদুসনুদুস হয়ে উঠলো রাসেল।
১/২ মাস অগেও যে ছিলো মাত্র ৫০ কেজি, সে এখন হয়ে গেলো ৭৫ কেজি।
অনেকটা আশ্চর্যের ব্যাপর।এত জলদি একটা মানুষ কি ভাবে এত ওজন বাড়াতে পারে।
যাইহোক,আমরা সকল বন্ধুরা মিলে এই সুস্বাস্থ্যের চেরাগের খবর জানতে চাইলাম।
বন্ধুতো বলে না।শুধু একই উত্তর,খাওয়া বাড়িয়ে।আমাদেরও তখন জানা হল না।

                                     এখন একটু চুপ থাকি।মাঝের কথা ছেড়ে শেষের দিকে অসি।
যেখানে শুরু করেছিলাম সেখান থেকে ৪/৫ বছর পর.................................

                                        আমি তখন ফরিদপুর।আমার পড়াশুনা নিয়ে আছি।আমার স্টাডি ছিলো ফার্মেসী ডিপার্টমেন্ট এ। এর পাশাপাশি প্যারামেডিকেল ও শেষ করেছি।
 একদিন রাতে আমার এক বন্ধু আমায় মোবাইল কল করে বলে রাসেল খুবই অসুস্থ্য। হাসপাতালে ভর্তি আছে।
জানতে চাইলাম কি সমস্যা।
বলল,অ সঠিক জানে না,পরেরদিন জানাবে।
আমি ভেবেছিলাম,মনে হয়  জ্বর  হয়ে বেহুশ,আর না হয় ফেনসিডিল  জাতীয় কিছু খেয়ে পড়ে আছে,তায় সবাই  ভয় পেয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেছে।

আসলে ব্যাপারটা তা ছিল না।আসল কারন জানলাম পরের দিন।
চুয়াডাঙ্গায় রাসেলের চিকিৎসা সম্ভব নয়।তায় ঢাকা মেডিকেলে নিতে হয়েছে।
পরে আরও খোজ নিয়ে যা জানতে পেরেছিলাম,তা হল...............

রাসেলের লিভারে কোনভাবে রক্ত বা রক্তের জলীয় পদার্থ জমে মারাত্তক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিলো।জটিলতা এত বেড়েছিলো যে,ওর জীবনের ঝুকিই ছিল বেশি।বেশ কয়েকবার লিভার থেকে পানি বা জলীয় পদার্থ অপসারন করতে হয়েছিল।যা খুবই জটিল প্রক্রিয়া। লিভারের পাশাপাশি কিডনীতে সমস্যা ধরা পরে।তবে সামান্য পরিমানে।
তবে হ্যা,আরেকটি ব্যপার জটিলতা আরও বাড়িয়ে দেয়,তা হল,রাসেলের পেটের ভেতর জল জমে ফুলে উঠেছিলো।পেটের অভ্যন্তরের অন্ত্র,অগ্নাশ্যায়,প্লীহা এবং লিভারের আশেপাশে কিছু খালি জায়গা থাকে,যেখানে রক্ত রসের জলীয় অংশ জমা হয়ে এ ধরনের জটিলতা তৈরী করে।

সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে রাসেল জীবন পায়।কিন্তু রাসেল হাসপাতালে ১/২মাস অবস্থান করার পরও পুরোপুরি সুস্থ্য হতে পারেনি।শুনাছিলাম পরবর্তীতে ভারতের কোন এক রাজ্যে চিকিৎসা সম্পন্ন করে সুস্থ্য হয়।
তবে এ সুস্থ্যতা একেবারেই আগের মত নয়। মৃত্যুর খুব কাছে থেকে ফিরে আসে রাসেল।
তবে নিজের শরীরের অনেক ক্ষতি করে ফেলেছে ততোক্ষণে।
এতে রাসেলের দেহের এন্টিঅক্সিডেন্টের ভারসাম্য বা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা প্রায়ই দুই তৃতীয়াংশ শেষ।আর স্বাস্থ্য বলতে পূর্বে যা ছিলো,পরে তাও হারাতে হল।মানে একে বারেই লিকলিকে,আর শারীরিক দুর্বলতাতো আছেই।

অনেক পরে অবশ্য রাসেল বলেছিলো,কেন ওর এত জটিলতা তৈরী হল।
আর তা হচ্ছে,মোটা হবার আশায় দীর্ঘদিন স্টেরয়েড ঔষধ সেবন।এর সাথে অবশ্য বিভিন্ন নামধারী হারবাল/ইউনানি ঔষধও ছিল।
ভারতের ডাক্তাররা আরও বলেছিলেন,রাসেল হয়তোবা সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা হারেতে পারে।
এর মানে এই নয় যে,পুরুষত্ব পুরোপুরি হারিয়েছে বা নস্ট করেছে।

                   তবে যেটা ঘটেছে,তা অনেক ব্যপক।
                    আপসোস !!
                   দোয়া করি,ভাই সুস্থ্য থাক,ভালো থাক।

এরপর কেটে গেছে আরও ১/২ টা বছর।কিন্তু আর কথা বা দেখা হয়নি রাসেলের সাথে।
ফরদপুর মেডিকেল কলেজ হসপিতালে ইন্টার্নশীপ করার সময় এক লোক মারফত জানতে পেরেছেলাম,রাসেল এখন কনোরকম আছে।এই আর কি!!!!!!!
তবে,রাসেলের সম্পর্কে আজও ঐ ই শেষ খবর আমার কাছে।
আর এখন কেটে গেছে আরও ৪/৫ বছর।
এখন আর জানিনা কিছুই,রাসেলের ব্যাপারে।কোন সোশাল সাইটেও পাইনি ওকে।
তাই স্বার্থপরের মত খোজ করাটাও ছেড়েই দিয়েছি।

                         এই বাস্তব গল্পটা আমার জীবনের এক ট্রাজেডী।বছর খানিক আগে আমি আমার স্কুল জীবনের বন্ধুকেও সড়ক দুর্ঘটনায় হারিয়েছি,কিন্তু রাসেলের অসুস্থ্যতার কথা আমার হৃদয়কে যতটা আলোড়িত করেছিলো,তেমনটি করেনি এখনো।

আসল কথা/শেষ কথা/কাজের কথা..............................  

                     স্টেরয়েড একটি জীবন রক্ষাকারী ঔষধ।এটি নিয়িমিত বা দীর্ঘদিন সেবনের প্রয়োজন হয় না। নির্দিষ্ট রোগের চিকিৎসার জন্য এর ব্যাবহার করা হয়।শরীর মোটা করা বা রুচি বর্ধক ঔষধ হিসেবে এর ব্যবহার করার পরিনতি খুব খারপ হতে পারে।

বাজারে বিভিন্ন নামে স্টেরয়েড পাওয়া যায়।

                               DEXAMETHASON  শ্রেনীভুক্ত ঔষধ হতে খুব সতর্ক এবং একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ব্যাতিত সেবন নয়।
যেমন_____TAB__oradexon,decason,steron,dexameson,dexan, ইত্যাদি।

                             আর নিয়ন্ত্রনহীন খোলা বাজারে এই স্টেরয়েড ব্যপক ভাবে হাত বদল হয়।যার লাগাম টানার উপায় পাওয়া দায়।
আমাদের দেশে ভারতীয় স্টেরয়েড প্রচুর পাওয়া যায়।যেগুলো দেখতে কাগজের পাতার মত এবং ঔষধের পাতার বর্ণ হয় লাল কিংবা সাদা।
আর এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ীরা বা হাতুড়ে ডাক্তার রা নিজেদের সুনাম বাড়ানোর জন্য,মানুষের রুচি বর্ধক হিসেবে স্টেরয়েড দেয়।যা সম্পূর্ণ বেইমানী ও প্রাতারনার শামিল।
এ ঔষধ প্রানীর বা মানুষের শরীর মোটা করার জন্য বা মানুষের রুচি বর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা একদম অনুচিত।
এই ঔষধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেই মুখের রুচি বৃদ্ধি পেয়ে খাবার খাওয়ার পরিমান বাড়ে।
খাবার বেশি খেতে পারছি ভেবে,এই স্টেরয়েড নিয়মিত সেবন মারত্নক বিপদ দেকে আনতে পারে।

স্টেরয়েড ঔষধের কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষতিকর দিকঃ
                          # দীর্ঘদিন এটা সেবনে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
                          #শরীরে নানাবিধ রোগ জন্ম নিতে পারে।
                          #দীর্ঘদিন সেবনে দেহের গুরুত্বপূর্ণ অংগ যেমন, হার্ট,লিভার,কিডনী ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
                          #যৌন সক্ষমতা কমে যেতে পারে।
                          #চিরদিনের জন্য বন্ধাত্ব হতে পারে।
                          #দেহের বিভিন্ন অংশে এমনকি গোটা দেহে বিভিন্ন প্রকার চর্ম রোগ হয়।
                          #রক্তে দূষিত পদার্থ বেড়ে যায়।
                          #শরীরের স্বাভাবিক ভারসাম্য নস্ট হয়।

ভাই/বোন,মোটা তাজা হওয়া অনেকটা ভাগ্যের ব্যাপার।
খেয়াল করে দেখবেন,রাস্তা ঘাটে কত পাগল পড়ে আছে,খাবার পায় না,সে কি সুন্দর নাদুসনুদুস।
আর আপনি এত পুস্টিকর খাবার খেয়েও চিকন,পাতলা।

হ্যাঁ ভাই/বোন,পুস্টিকর খাবারই খেতে হবে এবং তা প্রয়োজন অনুযায়ী।
বাজে অভ্যাস,যেমন_ধুমপান,বিভিন্ন প্রকার মাদক গ্রহন,অধিক রাত্র জাগা,সময়মত খাবার গ্রহন না করা, এইসব বাজে অভ্যাস ছেড়ে ভালো অভ্যাস করুন।
বেশি বেশি পুস্টকর খাবার গ্রহন,আর নিয়মতান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থ্যাই আপনার বা আমার সুসাস্থ্যের চাবি।

এখন,এত কিছুর পরও যদি আপনার অবস্থার উন্নতি না হয়,তবে কোন ভালো স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের কাছে পরামর্শ শুনুন আর সেই তালিকা অনুযায়ী জীবিন সাজান।আর অপেক্ষা করুন।

আর একদমই কোন ভাবেই না হলে,হাল ছেড়ে দিন।আর বুঝে নিবেন এটা আপনার জন্য সৃষ্টিকর্তার পক্ষ থেকেই নেই।
তবে একদমই হতাশ হবেন না। কেননা সৃষ্টিকর্তা তাকে ততটাই দেন,যার যতটা প্রয়োজন।

সুতরং কারো কুপরামর্শে নিজের ক্ষতি ডেকে আনবেন না।
তাছাড়া গ্রামের কিছু হাতুড়ে ডাক্তার বা ঔষধ ব্যবসায়ী রুচি বর্ধক ঔষধ বলে স্টরয়েড ঔষধ চালিয়ে দেয়।এ ব্যপারে খুব সাবধান।

বুধবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০১৭

আপনি গর্ভবতী ?? তাহলে মোবাইল ফোন দূরে ঠেলুন।



                     মোবাইল ! বর্তমান সময়ের অকৃতিম বন্ধু। প্রয়োজনের সময়,কাউকে পাশে না পেলেও,মোবাইলটি কিন্তু আপনার কাছেই।
যাই হোক, কমিউনিকেশনে মোবাইলের জুড়ি নেই।
তাছাড়া বিনোদন দিতেও ওস্তাদ এই মোবাইল ফোন।
কেউ গেমস খেলছে,কেই গান শুনছে,আবার কেউ ছবি তুলছে,যেন সময়ের সকল দাবী মিটিয়েছে এই মোবাইল।
আমরাও মোবাইলকে এতটাই যত্ন করি,যেন নিজের একটা অঙ্গই এই মোবাইল। অথচ এই সাধের মোবাইলটি আমাদের যে নিরবে শেষ করছে,তার খবর রাখছি কজন।

হ্যাঁ। এই মোবাইল আমাদের উপকারের সাথে সাথে ক্ষতিও করছে।
আমাদের শরীরের জন্য নিরব ঘাতক রুপে কাজ করে চলেছে এই মোবাইল।
বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা বেশি ঝুকির মধ্যে থাকেন।

          গর্ভবতী নারী মোবাইল ব্যাবহার করলে গর্ভস্থ শিশুর বিপদের আশংকা থাকে।গর্ভাবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যাবহার করলে শিশুর মস্তিস্কে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।শিশু অস্থির প্রকৃতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

          যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়য়ের প্রসূতি বিদ্যা,স্ত্রী রোগ ও প্রজনন বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডঃ হফ টেইলর ও তার সহযোগীরা এ বিষয়ে গবেষনা চালান। গর্ভবতী ইঁদুরের উপর তারা মোবাইল ফোনের বিকিরনের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করেন।
গবেষকরা কিছু ইঁদুরের খাচার উপর চালু করা মোবাইল ফোন রাখেন এবং অন্য খাচায় মোবাইল ফোন বন্ধ করে রাখা হয়,যেটি কোন সিগনাল পাবে না।
এবার,যতদিনে ইঁদুরের বাচ্চা প্রসব ও সেগুলো যথেস্ট বড় হয়,সে পর্যন্ত অপেক্ষা করেন।
এরপর এগুলোর আচরন পর্যবেক্ষণ করেন।
টেইলর বলেন,মোবাইল ফোন চালু ছিলো এমন খাচার বাচ্চা গুল বেশি অস্থির ছিল।বাচ্চা গুলোর কোন কিছুর প্রতিই তেমন কোন মনোযোগ ছিল না।

          টেইলর বলেন, গর্ভাবস্থায় মোবাইল ফোনের বিকিরন প্রভাব ফেলে,এটা বলার মত যথেষ্ট ভিত্তি এ গবেষনায় পাওয়া গেছে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, গর্ভাবস্থায় মোবাইল ফোন নিজেদের শরীরের কাছ থেকে দূরে রাখা উচিৎ।

         এ কথার সত্যতা স্বীকার করে ব্ল্যাকবেরী ও এপলের মতো মোবাইল ফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানও নিরাপত্তা ঝুঁকির কারনে মোবাইল ফোন শরীর থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দেয়।তবে তা ডিভাইস ম্যানুয়ালে লেখার কারনে,লেখাটি সহজেই ব্যবহারকারীর নজরে পড়ে না।

        তাই যারা গর্ভবতী রয়েছেন,তারা তাদের আগত সন্তানের কথা চিন্তা করে মোবাইল ফোন ব্যাবহারে সতর্ক হোন।

                                                                                                     সূত্র>>হেলথ ডেস্ক

বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০১৭

টনসিলের ব্যাথা (TONSILITIS)


                    টনসিলের সাথে আমরা সবাই কমবেশি পরিচিত।এই টনসিলের প্রদাহ একবারেই সেরে যায় না।তবে সঠিক চিকিৎসা করালে এ রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়।

মুখের ভিতর ফ্যারিংস এর দুই পাশের দেয়ালে দুটি টোনসিল গ্ল্যান্ড থাকে।বিশেষ করে মুখ বড় করে হা করলে জিহবার শেষ প্রান্তের পার্শ্বে টনসিলের অবস্থান।এটি লিম্ফয়েড দ্বারা গঠিত এবং উপোরিভাগ মিউকাস মেম্ব্রেন নামক পাতলা পর্দা দ্বারা আবৃত।

                  টনসিল গ্লান্ডের যে রস নিঃসৃত হয় সেটিকে ভ্যাকাস ক্ষরন বলে।এ রসে লিম্ফসাইট থাকে।
এটি মুখের ভেতর আত্নরক্ষার বিশেষ কাজ করে।যদি কোনভাবে এর স্বভাবিকতা বন্ধ হয় অথবা কোন জীবানু দ্বারা আক্রান্ত হলে টনসিলাইটিস রোগ হয়।

                 আমাদের মুখ গহ্বর জীবানুর ভান্ডার।বিশেষ করে আমাদের দাঁতের ফাঁকে ফাঁকে জীবানু সর্বক্ষণ লেগেই থাকে।অনেক সময় ঠান্ডা আবহাওয়ার তারতম্যে জীবানুগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং টনসিল গ্লান্ড দুটি আক্রমন করে,টনসিলাইটিস রোগের জন্ম দেয়।

                যারা মুখ গহ্বর নিয়মিত পরিস্কার রাখে না,তাছাড়া,যারা নিয়মিত ঠান্ডা বা সর্দিতে আক্রান্ত হয়,সাধারনত তারাই বেশি টনসিলাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়।

লক্ষনঃ
         #গলার ভেতরে ব্যাথা হয়।কিছু গিলতে কস্ট হয়।বা ঢেকুর তুলতে কস্ট হয়।
         #শরীরে জ্বর থাকতে পারে।জ্বর ১০০/১০৩ ডিগ্রী ফারেনহাইট হতে পারে।
         #টনসিল দুটি আকারে বৃদ্ধি পায়,বা ফুলে ওঠে।
         #টনসিল দুটি লাল বর্ণ ধারন করে,ব্যাথা হতে পারে।
         #শ্বাস প্রাশ্বাসে সমস্যা হতে পারে।


*** টনসিলাইটিস রোগে আক্রান্ত হলে মোটেও অবহেলা নয়।এর জন্য একজন ভালো চিকিৎসকের তত্বাবধানে চিকিৎসা করাতে হবে। অপারেশন দরকার হলে করিয়ে নিবে।***


চিকিৎসাঃ
১।গলা ব্যাথা কিংবা জ্বর থাকলে PARACETAMOL জাতীয় ঔষধ খেতে হয়।
যেমন___TAB__napa-500mg,ace-500mg,fast-500mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে ভরা পেটে ৩/৫ দিন সেব্য।

              or     SYP___napa,ace,fast,xpa
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২ চামচ করে ৩/৫ দিন সেব্য।

২।ব্যাথার তীব্রতা বেশি হলে  DICLOFENAC POTASSIUM জাতীয় ঔষধ খেতে হয়।
যেমন___TAB__cataflam-25/50mg,a-fenac-k-025/50mg.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে ভরা পেটে,ব্যাথা না পড়া  পর্যন্ত সেব্য।

৩।ঠান্ডা বা সর্দি থাকলে  CHLORPHENIRAMIN MELEATE  জাতীয় ঔষধ খেতে হয়।
যেমন___TAB__histacin.histalex.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+0+১ করে ভরা পেটে ৩/৫ দিন সেব্য।

           or         SYP__histacin.histalex.
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২ চা চামচ করে ৩/৫ দিন সেব্য।

৪।টনসিলের ইনফেকশন বা ফোলা কমানোর জন্য  CEFIXIME  জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___CAP__fix-a-200mg,ceftid-200mg
মাত্রা___প্রত্যহ ১+0+১ করে ৭/১৪ দিন সেব্য।

             or     SUSP__fix-a,ceftid,roxim.
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২ চা চামচ করে ৭ দিন সেব্য।

৫।শারীরিক দুর্বলতার জন্য  VITAMIN-B COMPLEX  জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___CAP____b-50fort
                 TAB____opsovit,aristovit b.
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে ভরা পেটে, ১৫/৩০ দিন সেব্য।
          or       SYP__-b-50fort,opsovit,aristovit b.v plex
মাত্রা___প্রত্যহ ১/২ চা চামচ করে ১৫ দিন সেব্য।

৬।পেটে গ্যাস হলে ESEMOPRAZOL জাতীয় ঔষধ ভালো কাজ করে।
যেমন___TAB__nexam-20/40mg,esotid-20/40mg
মাত্রা___প্রত্যহ ১+১+১ করে বা ১+০+১ কর আহারে ২০মিনিট আগে , ১৫/৩০ দিন সেব্য।

পথ্যঃ
        #হালকা উষ্ণ খাবার বা পানীয় ব্যবহার করা উচিৎ।
        #গলায় কাপড় পেচিয়ে রাখা উচিৎ,যাতে বাতাস না লাগে।
        # ঠান্ডা বাতাসে চলাফেরা থেকে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিৎ। 
        #ঠান্ডা খাবার পরিহার করতে হবে।

টনসিলাইটিস হলে মোটেই অবহেলা করা ঠিক হবে না।অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত চিকিৎসা কেন্দ্রে যাবে।

ভিটামিন ই/VITAMIN E

প্রাথমিক ধারনাঃ ভিটামিন ই ট্যাবলেটে আছে সিনথেটিক ভিটামিন ই। এর সম্পূর্ণ কার্যকারিতা এখনও অজানা।তবে একথা প্রমানিত যে,ভিটামিন ই এন্টিঅক্সিড...